নির্ভুল বার্তা ডেস্কঃ
তাজমহলের সৌন্দর্য বিরল তা বর্ণনা করে শেষ করতে পারবো না কিন্তু এর ভেতর লুকিয়ে আছে সম্রাজ্ঞী মমতাজ এর কত হাহাকার কত কষ্ট সেটিকেও খুঁজে দেখে? না সেটি দেখার কোন দরকার নেই, আসল সৌন্দর্য বাহ্যিক রূপ। আমি বলব মোটেও তানা তাজমহলে আছে লক্ষ লক্ষ শ্রমিকের হাহাকার কত কষ্ট কত অভিশাপ তাকে খুঁজে সবাই দেখে বাহ্যিক রূপ মনের খবর কেউ রাখে না তো? তাই যদি হও তাজমহলের সৌন্দর্য এর দাম না দিয়ে মানুষ তার প্রতি দিত ধিক্কার,হত সোচ্চার। আর তাই বলি মানুষ বাহ্যিক সৌন্দর্য বিভোর ভিতরে সৌন্দর্য কিংবা হাহাকার দরকার নেই। কেউ কি প্রশ্ন করেছে সম্রাট শাহজাহানকে? সম্রাট তুমি কি তোমার বউকে দিয়েছো একটু ভালোবাসা কিংবা কোনদিন জানতে চেয়েছ তার মনের আকুতি? না সে জানবার সময় কোথায়! আছে এত ভালোবাসা। তাজমহলের প্রতিটি দেয়ালে দেয়ালে মমতাজের চিৎকার লাখ শ্রমিকের হাহাকার যেই স্বামীকে আমি কাছে না পেলাম, তাকে আমার মনের আকুতি শোনাতে না পারলাম। তাহলে কি হবে আমার এই তাজমহল এই তাজমহলের সৌন্দর্য আমার দরকার কি? তাজমহল এর প্রতিটি দেয়ালে মমতাজের হাহাকার প্রতি শ্রমিকের চিৎকার স্বামীকে আমি জীবিত অবস্থায় কাছে না পেলাম ভালোবাসা না পেলাম তাকে আমি মনের আকুতি না শোনাতে পারলাম তাহলে কেন আমার এই তাজমহল এই তাজমহলের সৌন্দর্যের দরকার কি? তুমি বলতে পারো আমায় সম্রাট। বলবে আমার কাছে নেই কোনো উত্তর রানী বলিবে সারাবেলা কাটিয়ে বসে আছি রাত নিশিতে কখন আসবে আমার সম্রাট আমি দেহ-মন জুরাবো স্বামীর কাছে গিয়ে কিন্তু না সেই মন তো হারিয়ে গিয়েছে তার প্রজাদের নিয়ে রাজ্য শাসন করে। সম্রাট বলবে রানী তোমার মতো প্রেম ভালোবাসা দিও আমায় প্রভাতের শুভক্ষণে এখন যে আমার নেই কোন অবসর। প্রভাত যে হয়ে এলো এবার যে আমায় যেতে হবে প্রজাদের গ্লানি মুছতে। আমার এখন বলতে ইচ্ছে হয় যেতে, নাহি দিব তবু দিতে হয় তবু চলে যায়। তাই বলি তাজমহল কে আমি কি দিব? যে তাজমহলে লুকিয়ে আছে লাখ শ্রমিকের হাহাকার!
লেখক-
কবি পারভীন আমিন