মোঃ হাবিবুল্লাহ খান রাব্বী ॥
বাবার বাড়িতে বেড়াতে এসে স্বামীকে তালাক দিয়ে আরেক স্বামীর সাথে বিয়ে ও সংসার করার ঘটনা ঘটেছে। গত ১০ মে ২০২০ ইংরেজী পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর থানার মহিপুর সদর ইউনিয়নের ইউসুফ পুর গ্রামের বধু আর কুয়াকাটা পৌর সভা’র বর মিলে এ ঘটনা সৃষ্টি করে।
গতকাল ৬ জুন বেলা ১১টার দিকে মোঃ পলাশ জানান, এদিকে ইউসুফ পুর গ্রামের মোঃ নুরুল ইসলামের কন্যা মোসাঃ রিয়া মনি (২১)’র সাথে-কেরানীগঞ্জ জেলার কদমতলী এলাকার মোঃ নুরুল ইসলামের পুত্র নজুল ইসলাম পলাশ (২৬) এর ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক ২৪ মে ২০১৯ ইংরেজী বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করে পলাশ’র বেশ ভালোই চলছিল সংসার জীবন। মহামারী করোনা ভাইরাসের আক্রমনে যখন সারা বিশ্ব থমকে যায়, তখন বেকারত্ব জীবনের পাশাপাশি অনেকের বেড়ানোর সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিলো। আর তা কাজে লাগাতে সু-দূর ঢাকা কেরানী গঞ্জ স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে আসে রিয়ামনিকে তার বাবা-মা। ৯ মে ২০২০ ইংরেজী পর্যন্ত পলাশের সাথে রিয়ামনির মুঠো ফোনে কথা হয়। মাত্র দুদিনের ব্যাবধানে রিয়ামনির অন্যত্র কুয়াকাটা পৌর সভা এলাকার মোঃ আলতাফ গাজীর পুত্র মোঃ আবু তাহেরের সাথে বিবাহ বন্ধনের সংবাদ ছড়িয়ে পরে। এক স্বামী থাকা অবস্থায় তালাক প্রদান না করে অন্য স্বামী গ্রহণের বিষয়টি অত্যন্ত পরিকল্পিত বিধায় মোকাম বিজ্ঞ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত নং-৩, ঢাকা, (দক্ষিন কেরানীগঞ্জ আমলী), সি আর মামলা নং-৫৫৪/২০২০ আনায়ন করেন পলাশ।
তথ্য সংকলে প্রথমেই সরকার নিষিদ্ধ নোটারী ১ তর্ফা তালাক সৃষ্টি করায় প্রতারণার অভিযোগ। অপরদিকে একওই দিনের পাশাপাশি সিরিয়াল নম্বরের স্ট্যাম্প ক্রয়ের মাধ্যমে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ে কার্য ও ১ তর্ফা তালাক প্রদান করে এবং মহিপুর থানা কাজী অফিসের বালাম নং-৫১, পৃষ্ঠা নং-৬৮তে নিকাহ নামা রেজিঃ করা হয়।
বধুর তালাক নামা কাজি অফিসে গ্রহণ না করে পুনরায় নিকাহনামা রেজিঃ করেছেন কি ভাবে? এমন প্রশ্নের জবাবে, কাজী তার ভুল শিকার করে নিকাহনামা বাতিলের প্রত্যয়নপত্র দিতে বাধ্য হয়েছেন।
কিন্তু রিয়ামনির আগের স্বামীকে বৈধভাবে তালাকের কাগজ গ্রহণ না করে অবৈধ ভাবে আবু তাহের বিয়ের পিড়িতে বসেছে। ফলে পলাশের জীবন সংসারে নেমে এসেছে অপূরনীয় ক্ষতি।
নিজের সর্বস্ব শেষ করে হলেও অপরাধীদের বিচার আদালতের কাঠ গোড়াই হবে। যাতে করে এই পৃথিবীতে এ ধরণের কাজ আরেকটির পুনরাবৃত্তি না ঘটে। ন্যায়ের শক্ত হাতিয়ার নিয়েই- অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সাহস যোগিয়ে দিয়েছে ওই মানুষ নামের অমানুষ গুলি।
এতোক্ষন স্ত্রী কর্তৃক স্বামী নির্যাতন ও পরিত্যাগের লোমহর্ষক বর্ননা দিয়ে, ভুক্তভোগী পলাশ সংশ্লীষ্ট কর্তৃপক্ষের সরেজমিনে তদন্ত পূর্বক জরুরী হস্তক্ষেপের মাধ্যমে বিচার প্রার্থনা করেণ।
এব্যাপারে বর ও কনের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করতে চাইলে তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি।