অনলাইন ডেক্স:
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লেখা তিনটি বই পাঠের প্রতিযোগিতা। আজ রোববার রাজধানীর জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রে বিজয়ী শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন বিশিষ্টজনেরা। ‘পড়ি বঙ্গবন্ধুর বই, সোনার মানুষ হই’ শীর্ষক তিন মাসব্যাপী এ পাঠ কার্যক্রমে রাজধানীর ১০টি বেসরকারি পাঠাগারের ১৫০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন।
এ প্রতিযোগিতায় মাধ্যমিক শ্রেণির জন্য নির্ধারিত ছিল ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বইটি। উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা পড়েন ‘কারাগারের রোজনামচা’ আর বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের জন্য নির্ধারিত ছিল ‘আমার দেখা নয়াচীন’।
শিক্ষার্থীদের হাতে সনদ ও পুরস্কার তুলে দিতে হাজির হয়েছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলমসহ অনেকেই।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পুরস্কার বিজয়ী শিক্ষার্থীরা তাঁদের পাঠোপলব্ধি তুলে ধরেন। প্রতিক্রিয়া জানান সংশ্লিষ্ট পাঠাগারের পক্ষ থেকে দুজন।বিজ্ঞাপন
আলোচনায় অংশ নিয়ে আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, তিনটি বই যিনি পাঠ করবেন, তাঁর দেশপ্রেম, মানবিকতাবোধ অনেক ওপরে উঠে যাবে।
অধ্যাপক শামসুজ্জামান বলেন, যাঁরা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙতে চান, তাঁদের বিরুদ্ধে আমাদের বড় অস্ত্র লাগবে। আর সেটা হলো সাংস্কৃতিক অস্ত্র। এই অস্ত্র দিয়েই তাঁদের পরাজিত করতে হবে। সংস্কৃতির এই অস্ত্র নির্মাণ করার ক্ষেত্রে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বঙ্গবন্ধুর লেখা বই পাঠ প্রতিযোগিতার আয়োজন করায় জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রকে ধন্যবাদ জানান। আলোচনায় আসা বক্তব্য ও দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী জানান, সরকার সারা দেশে ৮০০ বেসরকারি পাঠাগারের গ্রন্থাগারিকের বেতন দেওয়ার জন্য অনুদান দেওয়ার কথা ভাবছে। বঙ্গবন্ধুর লেখা বই তিনটি সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পৌঁছে দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন তিনি।
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. বদরুল আরেফীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক মিনার মনসুর।
প্রতিযোগিতায় মাধ্যমিক পর্যায়ে প্রথম হয়েছে ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল কলেজের শিক্ষার্থী ও বুকল্যান্ড লাইব্রেরির পাঠক সাদমান সামি, উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে প্রথম হামদর্দ পাবলিক কলেজের শিক্ষার্থী ও শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতি পাঠাগারের পাঠক সামিয়া পারভীন, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে প্রথম বাংলাদেশ প্রকৌশল বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শহীদ বাকী স্মৃতি পাঠাগারের জয়তি বিশ্বাস।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী অন্য পাঠাগারগুলো হলো গ্রন্থবিতান, সীমান্ত গ্রন্থাগার, দনিয়া পাঠাগার, সৃষ্টি পাঠোদ্যান, শহীদ রুমী স্মৃতি পাঠাগার, অনির্বাণ পাঠাগার ও তাহমিনা ইকবাল পাবলিক লাইব্রেরি।
পুরো আয়োজনের সমন্বয়ক ছিলেন দনিয়া পাঠাগারের সভাপতি মো. শাহনেওয়াজ।