কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা ॥
ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ এর প্রভাবে কলাপাড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত। কুয়াকাটাসহ উপকূলীয় নদ-নদীর পানি স্বাাভাবিক জোয়ারের চেয়ে প্রায় ১০ থেকে ১২ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে কলাপাড়া উপজেলার লালুয়া, ধানখালী ইউনিয়ন ও কুয়াকাটাসহ ৭নং লতাচাপলী ইউনিয়নের খাজুরা (গোড়াখাল) আবাসন এর ৮০ ঘরসহ মহিপুরের নিজামপুর এলাকার শত শত পরিবার পানিবন্দি হয়ে পরেছে।
কুয়াকাটার সমুদ্র সৈকত লাগোয়া ছোট ছোট দোকান পাটের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ বক্স তথা পাবলিক টয়লেট পর্যন্ত ঢেউয়ের তান্ডবে ক্ষত বিক্ষত হয়েগেছে। পুলিশ বক্স রক্ষায় তাৎক্ষনিকভাবে কুয়াকাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদার ও কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের ইনচার্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ সোহরাব হোসেন ইট ও বস্তাভর্তি বালু দিয়ে সংস্কার কাজ করছে। বাংলাদেশ শঙ্কামুক্ত থাকলেও ২৫ মে রাত থেকে উপকূলীয় এলাকায় থেকে থেমে বৃষ্টিপাত হতে দেখাগেছে। বয়ে যাচ্ছে দমকা হাওয়া।
ঘূর্ণীঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচী (সিপিপি) লতাচাপলী ইউনিয়ন টিম লিডার শফিকুল আলম বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ আমাদের এলাকার জন্য ৩নম্বর সংকেত থাকলেও জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে এঅঞ্চল প্লাবিত হতে দেখাগেছে। যেজন্য বেড়ীবাঁধের বাহিরের জনসাধারণকে সতর্ক থাকা তথা ভিতরে আসার জন্য আগ থেকেই বলা হয়েছে।
ঘূর্ণীঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচী (সিপিপি) কলাপাড়ার সহকারী পরিচালক মোঃ আসাদুজ্জামান খান বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ বাংলাদেশে আঘাত হানার কোন সম্ভাবনা নাই, তবে এর প্রভাবে এবং পূর্ণীমার জোঁয়ের কারণে উপকূলীয় এলাকার নদ নদীতে ব্যাপক পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। সিপিপি’র স্বেচ্ছাসেবকগণ সক্রিয় রয়েছে।