মোঃ হাবিবুল্লাহ খান রাব্বী
কুয়াকাটা পৌর সভার ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৈয়বুর রহমান খান, পিতা আঃ গণি খান কর্তৃক দীর্ঘ ১০ বছর ধরে জোর-যবর ৪.১৮ একর ভূমি ভোগ দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগকারী মোঃ হাসান মাহামুদ (হাউজিং কোম্পানি) জিন্নাত ফ্যাশন লিঃ কোম্পানির লিগ্যাল এ্যাডভেরাইজার তিনি বলেন, নবোদয় হাউজিং লিমিটেড নামের আরেকটি কোম্পানির কাছ থেকে মোট ৪.১৮ একর জমি ক্রয় সূত্রে মালিক হন। জে এল ৩৪ নং মৌজার এস এ আগত খতিয়ান-১৫৪৭। আগত খতিয়ান ৮৬,৪১৫, ১৪৩তৎসহ ১১৭ ধারা বিধান মতে ২৩ কে/২০১৯-২০ নং নামজারীসহ জমা খারিজ কেসের আদেশ বলে ৫৭ নং কুয়াকাটা মৌজার বি এস ৮৫ ও ৮৬ নং খতিয়ানের রেকর্ডীয় নবোদয় হাউজিং লিঃ এর অংশ হতে যথাক্রমে ২.১৯+ ০.৪৫ এশর একুনে ২.৬৪ এশর ভূমি কর্তন করে বার্ষিক ২৬৪০০ টাকা ধার্যে অত্র নতুন খতিয়ান খোলা হয়েছে। ১৪,১৫, ১৬, ২৩, ২৫, ২৬, ২৯, ১০০৪, ১০০৬, ১০০৭, ১০০৮, ১০০, ১০০৫, ১৭, ১৯, ২০ নং দাগের অংশ হইতে ২.৬৪ একর। কিসমতে হাল এস এ ১১৭৬ নং খতিয়ান, কুয়াকাটা পৌরসভা গঠিত হওয়ার পর জে এল নং ৫৭ কুয়াকাটা মৌজায় অর্ন্তভুক্ত হয়। খতিয়ান-১৫৪৮ নং, আগত খতিয়ান ৭৯১,১৫৪,১৪৩ তৎসহ ১১৭ ধারা বিধান মতে ২৩৫ কে/২০১৯-২০ নং নামজারীসহ জমাখারিজ কেসের আদেশ বলে ৫৭ নং কুয়াকাটা মৌজার বি এস ৭৯১,১৫৪ নং খতিয়ানের ১০৪১,১০৪২ নং দাগে রেকর্ডীয় নবোদয় হাউজিং লিঃ এর অংশ হইতে যথাক্রমে ০.৪৩+০.১৫ এশর একুনে ০/৫০ একর জমি কর্তন করে বার্ষিক ১ হাজার টাকা ভূমি উন্নয়ন কর ধার্যে অত্র খতিয়ান খোলা হয়েছে। উক্ত জমি কাউন্সিলর তৈয়বুর রহমান, তার ভাই আইওব আলী খান, তৈয়বুর রহমানের পুত্র মিরাজ খান, ও হাসেম খানের দুই পুত্র হাবিব খান এবং হালিম খান পেশী শক্তির জোর খাটিয়ে দীর্ঘ ১০ বছর যাবৎ ভোগ দখল কারার লোমহর্ষক ঘটনার বর্ননা দেন। ওই অভিযুক্ত ভূমি দস্যু কাউন্সিলর গ্রুপ স্থানীয় কতিপয় জেলেদের সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন সময় অঙ্গহানী করে দেয়ার হুমকী দেয়। এ ধরনের ঘটনায় আইনানুগ ব্যাবস্থা নিয়েছেন কিনা ? গনমাধ্যমের এমন প্রশ্নে হাসান মাহামুদ বলেন, অভিযুক্তরা স্থানীয় বিধায় তাদের সাথে বড় ধরনের কোন বিরোধ সৃষ্টি করতে চাননি। বুঝের মাধ্যমে জমি উদ্ধারের চেষ্টা চালাতে গিয়ে কাউন্সিলর তৈয়বুর রহমান খান জমি বুঝিয়ে দেবে এমন কথায় আজ কাল বলে ঘুরাতে ঘুরাতে বর্তমানে পুরোটাই গ্রাস করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এমতাবস্থায় আদালতের স্মরনাপন্ন হবেন এ ছাড়া হয়তোবা ওই ভূমিখেকোদের কাছ থেকে জমি উদ্ধার করা সহজ হবেনা এমন মন্তব্য করেন তিনি।
জমি জোর-যবর দখলের মাধ্যমে দীর্ঘ বছর ভোগ করার ব্যাপারে কাউন্সিলর তৈয়বুর রহমান খান’র কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দীর্ঘ ১০ বছর ধরে জিন্নাত ফ্যাশন লিঃ কোম্পানী কোন আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করতে পারেনাই, কারণ তাদের কাগজ সঠিক নাই। যদিও সেখানে তার নিজের জমি নাই কিন্তু তার পিতা ও চাচারা জমি সেটাই তাদের জমি যথেষ্ট দলিল ও উপযুক্ত কাগজ পত্রাদি আছে। আপনারা যে কোন প্রেসকাবে বা উকিল নিয়ে কিংবা যারা কাগজপত্রাদি ভালো বুঝে তাদেরকে নিয়ে বসতে রাজি আছেন। কাউন্সিলর উল্টো জিন্নাত ফ্যাশন কোম্পানী লিঃ এর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, ওই কোম্পানী কাগজের বলে না পেরে স্থানীয় থানা এলাকার প্রভাবশালীদের নিয়ে জোর-যবর দখল করতে চায় এবং ৫০ বছর ধরে যে বসতঘর তা ভেঙ্গে সরিয়ে নিতে বলে, সরিয়ে না নিলে তারা ভেঙ্গে সরিয়ে দেয়ার হুমকী দেয়।