প্রকাশকঃ মোঃ শফিকুল আলম বাবুল খান ॥
প্রিয় পাঠক, নির্ভূল বার্তার পক্ষ থেকে সকলকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। নির্ভূল বার্তা অনলাইন পত্রিকাটি পড়ুন এবং অন্য বন্ধুদেরকে শেয়ার করে পড়ার সুযোগ করে দিন।
নির্ভূল বার্তার প্রকাশক হিসাবে ভাস্কর এবং মূর্তির বিষয় আলোকপাত করছি। বেশ কিছুদিন ধরে ভাস্কর এবং মূর্তি নিয়ে বেশ তোলপার চলছে সারাদেশে। ভাস্কর শব্দের আভিধানিক অর্থ পৃথিবীর সৃষ্টির লগ্ন থেকে অতীতের বৃহত্তম কোন বিষয় বস্তু, মানব সৃষ্টির শতাব্দির পর শতাব্দি সমাজে নের্তৃত্ব দানকারী ব্যাক্তিরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের প্রয়োজন মনে করেছেন বলেই এ ভাস্কর্যের বা সংস্কৃতির আবির্ভাব ঘটান।
ইতিহাসের পাতায় তুলে ধরার জন্য সংস্কৃতি বলতে যে, শব্দটি বুঝায় তার বাস্তবা তুলে ধরাই হলো প্রতীক বা ভাস্কর। বর্তমানে বাংলাদেশে চলমান বিতর্ক ভাস্কর্যকে মূর্তির সাথে শামিল করা হয়েছে, এটা সঠিক নয়। আমরা ইতিহাসের পাতায় জেনে এসেছি সনাতন ধর্মসহ বহু সম্প্রদায় মাথানত করে মূর্তি পুঁজা করে থাকে। কিন্তু কোন সম্প্রদায় ভাস্কর্যের কাছে মাথানত করেনা।
প্রশ্ন যাগে মূর্তি আর ভাস্কর্য এক নয়। আজকে যারা ধর্মের নামে অন্ধভিরু মৌলবাদ ব্যাক্তিদ্বয় ভাস্কর্য নিয়ে অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টি করছেন, তাদেরকে গনতন্ত্রের সংবিধান ও ইসলামিক রাষ্ট্রের সংবিধান চর্চা করে আসতে হবে। নছেৎ জাতীয় কোন বিষয়ের উপর হস্তক্ষেপ করা যাবেনা।
সকলের মনে রাখা উচিৎ স্বাধীন বাংলাদেশটি গনতন্ত্রের দেশ, তবে ইসলামিক দেশ নয়। নেহাত উপহাসের আলোকে বলতে হয়। এ যেনো বিরোধিতার করণে বিরোধিতা। যাকে দেখতে ভালোনা,তাকে ভালোবাসা যাবেনা, তাহতে পারেনা।