অনলাইন ডেক্স:
ইশরাক হোসেনের বাসায় হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন নেতা-কর্মীরা। ইশরাক বিএনপির বৈদেশিক সম্পর্কবিষয়ক কমিটির সদস্য। রোববার দুপুরে গোপীবাগ এলাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি ও এর অঙ্গসহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা এ কর্মসূচি পালন করেছেন।
১৫ ডিসেম্বর দিবাগত রাত দেড়টা থেকে আড়াইটার দিকে গোপীবাগে ইশরাকের বাসায় হামলার ঘটনা ঘটে। বারান্দার কাচ ভাঙা হয়। এ সময় বাসায় কেউ ছিল না। এই ঘটনায় পরদিন মতিঝিল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন ইশরাক।
পূর্বঘোষিত আজকের কর্মসূচিতে অংশ নিতে বেলা সাড়ে ১১টা থেকেই গোপীবাগে ইশরাক হোসেনের বাসার সামনে জড়ো হতে থাকেন নেতা-কর্মীরা। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাঁরা ইশরাকের বাসার সামনে থেকে স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করেন। মিছিলটি আর কে মিশন রোড, অভয় দাস লেন, সেন্ট্রাল উইমেন কলেজ, আর কে মিশন রোড হয়ে ইশরাকের বাসার সামনে এসে শেষ হয়। ‘মুক্তিযোদ্ধা খোকা ভাই-আমরা তোমায় ভুলি নাই’, ‘ইশরাক ভাইয়ের ভয় নাই-রাজপথ ছাড়ি নাই’, ‘হামলা করে আন্দোলন-বন্ধ করা যাবে না’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।বিজ্ঞাপন
এই কর্মসূচিতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কোনো নেতা উপস্থিত ছিলেন না। এতে মহানগর নেতাদের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির সহসভাপতি সাব্বির আহমেদ, ওয়ারী থানা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার হাজি লিয়াকত আলী, সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার ও ওয়ারী থানা বিএনপির সহসভাপতি মোজাম্মেল হক, গেন্ডারিয়া থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার আব্দুল কাদির, সূত্রাপুর থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আকতার হোসেন, বংশাল থানা বিএনপির সভাপতি তাইজুদ্দীন, সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার ও দক্ষিণ বিএনপির সহসভাপতি, মো. মোহন, কোতোয়ালি থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ, সাবেক মহিলা কমিশনার মনি বেগম, ঢাকা মহানগর যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি শরীফ হোসেন, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি পাভল শিকদার প্রমুখ অংশ নেন।
কর্মসূচিতে শেষে বাসার সামনে এসে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের প্রয়াত মেয়র সাদেক হোসেন খোকার বড় ছেলে ইশরাক হোসেন। এ সময় তিনি বলেন, এই সরকার ভোটের অধিকার হরণ করেছে। কথা বলার অধিকার, বিচার পাওয়ার অধিকার—সবকিছু কেড়ে নিয়েছে। এসব অধিকার ফিরিয়ে আনতে আন্দোলন হচ্ছে, সেই আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য চোরের মতো এসে বাসায় ঢিল মারা হয়েছে। কারও রক্তচক্ষু পরোয়া করেন না—এমন হুঁশিয়ারি দিয়ে ইশরাক বলেন, ‘জন্মমৃত্যুর দিনক্ষণ নির্ধারিত। মানুষকে ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। আমরা সত্য ও ন্যায়ের পথে আছি। যেখানেই হামলা হবে, সেখানেই প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।’