শামীম ওসমান হীরাঃ-
কামরাঙ্গীরচর থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এম এইচ মাসুদ মিন্টুর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার সহ নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে থানা ছাত্রলীগ।
থানা ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায় একটি রাজনৈতিক মহলের প্রতিহিংসার উদ্দেশ্যে মূলক যড়যন্ত্রের কবলে পড়ে মিথ্যা মামলায় আটক হয়েছে থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মিন্টু।ষড়যন্ত্র মূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার সহ নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে কামরাঙ্গীরচর এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে সংগঠনের নেতাকর্মীরা এসময় একজন ছাত্র নেতা বলেন। দলের প্রয়োজনে মিন্টু সবসময়ই নিবেদিতপ্রাণ, হেফাজতের তান্ডব কিংবা ছাত্রদলের ক্যাডারদের সহিংসতার বিরুদ্ধে যেই নামটি বেশ কিছুদিন আগেও সবচাইতে আলোচিত ছিলো সে আজ কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে নিমজ্জিত এটা ভাবতে কষ্ট হয়।
স্থানীয় রাজনীতির প্রতিহিংসার শিকার ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের অন্তর্গত অন্যতম সুপার ইউনিট, কামরাঙ্গীর চর থানা ছাত্রলীগের বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক এম ,এইচ ,মাসুদ মিন্টুর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে থানা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মাঝে প্রতিবাদ ও ক্ষোভের ঝড় সৃষ্টি হয়েছে। ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতি শুরু করে শত ঘাত প্রতিঘাতের মধ্যে দিয়ে তীলে তীলে নিজেকে ছাত্রর রাজনীতিতে তৈরি করছে। তার আদর্শ ছাত্র রাজনীতিকে কূলষিত করতে প্রতিপক্ষরা নানামুখী অপকৌশলে তৎপর রয়েছে। গত ছয় মাস আগে পরিকল্পিত ভাবে ২ নং আসামী সবুজকে শামীম ও তার পেটুয়া বাহিনী এলোপাথাড়ি ভাবে মারধর করে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ জখমসহ গুরুতর আহত করে ।তখনকার ঘটনায় দূষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় একটি মামলা হয়।
এজাহার ভুক্ত আসামীরা পুলিশের হাতে আটকের পূর্বেই কোর্ট থেকে জামিনে এসে বাদী পক্ষের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের বিভিন্ন বিড়ম্বনার ফাঁদে জড়ানোর চেষ্টায় অব্যাহত রয়েছে বলে ভুক্তভোগীরা জানান। উক্ত ঘটনার জেরে দূষ্কৃতকারী চক্ররা তাদের পরিকল্পিত উদ্দেশ্য অনুযায়ী গত ১৬-৬-২১ ইং তারিখ রাত আনুমানিক ১১:২০ মিনিটের দিকে ঘটনা স্থলের কাছে কথাকাটাকাটির তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সৃষ্টি করে এতে উভয় পক্ষের লোক আহত হয়।
কিন্তূ নুরুল আমিন তাদের পূর্বের আক্রোশ স্বার্থক করার জন্য তার পুত্র মোঃ শামীম (২৭) কে মারধর করেছে বলে হয়রানির উদ্দেশ্যে একটি নাটক সাজিয়ে কামরাঙ্গীর চর থানায় বাদী হয়ে ১০ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করে । মামলার এজাহারভুক্ত ১নং আসামী এম এইচ মাসুদ মিন্টু ২নং আসামী সবুজকে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের ইন্দ্রনে প্রতিহিংসা মুলক ভাবে ষড়যন্ত্র করে আসামী করা হয়েছে বলে তাদের পরিবার দাবি করছে।
সক্রিয় ছাত্র নেতাদের নিষ্ক্রিয় করে কোন না কোন রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে মরিয়া হয়ে উঠেছে একটি মহল । অভিযুক্তরা আরো জানিয়েছেন, নুরুল আমিনের পরিবারের সাথে তাদের কোন প্রকার পূর্ব শত্রুতা নেই।
২০১৩/২০১৪ সালে বি,এন,পির জ্বালাও পোড়াও আন্দোলনে ছাত্র রাজনীতির প্রবল ইচ্ছা শক্তিতে ধাবিত হয়ে নিজের জীবন উৎসর্গ করে রাজপথে সক্রিয় ছিলেন তৎকালিন ছাত্রলীগ কর্মী মিন্টু। ফলশ্রুতিতে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে গ্রহণযোগ্যতায় হয়েছিলেন কামরাঙ্গীরচর থানা ছাত্রলীগ রতন-শাহীন কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক।
ঢাকা মহানগর দক্ষিন ছাত্রলীগের ডাকে ছাত্র রাজনীতির মাঠে সংগঠনের প্রয়োজনে সকল কার্যক্রমে নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন বার বার। তারই ধারাবাহিকতায় সাংগঠনিক সম্পাদক থেকে যুগ্ম আহ্বায়ক পদে অধিষ্ঠিত হন ,পরবর্তীতে কামরাঙ্গীরচর থানা ছাত্রলীগের পূর্নাঙ্গ কমিটির সাধারন সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন এম,এইচ,মাসুদ মিন্টু। ত্যাগ,তীক্ষা,শিক্ষাগত যোগ্যতা,দীর্ঘদিন সাংগঠনিক পরিশ্রমের ফলে ঢাকা মহানগরীর অন্যতম সুপার ইউনিট হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে কামরাঙ্গীরচর থানা ছাত্রলীগ।
দায়িত্বের বোঝাটা একটু বেশি অর্পিত হয়, সাধারন সম্পাদক হবার পরে নিজের জীবন উৎসর্গ করে বাংলাদেশ আওয়ামীগ ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিটি রাজনৈতিক কার্যক্রমে সফল ভাবে অংশ গ্রহণ করেছেন। ঢাকা মহানগরীর রাজপথে সামনের সারিতে থেকে সকল প্রকার আন্দোলনে অগ্রনী ভূমিকা পালন করেছেন এই তুখোড় ছাত্র নেতা। হেফাজতের সকল প্রকার নাশকতা,অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে বেশ কয়েকবার গুরত্বর আহত হয়েছিলেন প্রতিবাদী ছাত্রনেতা এম এইচ মাসুদ মিন্টু। হেফাজত তান্ডব প্রতিরোধের কারনে মিন্টুর বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের-সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে সারা দেশে পোষ্টার লাগানো হয়।
একটি স্বার্থনেশ্বী রাজনৈতিক মহল কামরাঙ্গীরচর থানা ছাত্রলীগের নেতৃত্ব শূন্য করে নিজেদের ফায়দা লুটার জন্য বারবার তাকে টার্গেট করে মিথ্যা মামলা দিয়ে একাধিক বার জেল হাজতে প্রেরন করে। মামলার বাদী নুরুল আমিনের সাথে প্রতিবেদক তার ছেলে শামীমের মুঠোফোন নং০১৬৭৬৪১৪৩২৩ তে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে প্রথমে ফোন রিসিভ কারী নাম না বলে শামীমের ছোট ভাই বলে জানান তার কাছে তার পিতা বা ভাইকে চাইলে তারা বাহিরে আছে বলে জানান। এরপর একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ফোন রিসিভ করেননি।