নির্ভুল বার্তা ডেস্কঃ
ডন ব্র্যাডম্যানের টেস্ট গড়ের মতোই প্রায় ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গেছেন মুত্তিয়া মুরালিধরন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৩৪৭ উইকেট তাঁর। ১০ বছর আগে অবসর নেওয়া মুরালির ধারেকাছেও কেউ নেই। দুইয়ে যিনি আছেন, সেই শেন ওয়ার্ন শ্রীলঙ্কান অফ স্পিনারের চার বছর আগেই অবসরে চলে গেছেন।
এখনো খেলছেন এমন ক্রিকেটারদের মধ্যে তাঁর সবচেয়ে কাছে আছেন জিমি অ্যান্ডারসন। ৩৯-এ পা রাখতে চলা এই ইংলিশ পেসারও ৪৪৬ উইকেট পেছনে আছেন। শুধু টেস্ট ক্রিকেট হিসাব করলে অবশ্য ব্যবধান কমে ১৮৬ হয়ে যায়। তবু টেস্টেও রেকর্ডটা মুরালির কাছ থেকে নেওয়া প্রায় অসম্ভব অ্যান্ডারসনের পক্ষে।
অ্যান্ডারসনের চেয়েও অনেক পিছিয়ে আছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তবু ব্র্যাড হগের ধারণা, মুরালির রেকর্ড যদি কেউ ভাঙতে পারেন, সেটা অশ্বিনই!বিজ্ঞাপন
টেস্টে শীর্ষ তিন উইকেটশিকারিই স্পিনার। মুরালিধরনের পরে আছেন শেন ওয়ার্ন (৭০৮)। ভারতের অনিল কুম্বলেকে (৬১৯) অবশ্য খুব বেশি দিন তিনে থাকতে দেবেন না অ্যান্ডারসন (৬১৪)। এখনো খেলছেন এমন ক্রিকেটারদের মধ্যে তাঁর নতুন বল সঙ্গী স্টুয়ার্ট ব্রড প্রায় এক শ ব্যবধানে পিছিয়ে (৫১৭)।
সে তুলনায় অশ্বিন এখনো যোজন যোজন পিছিয়ে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে একটু দেরিতে এসেছেন, বয়সও হয়ে গেছে ৩৪। ফলে অশ্বিন কখনো মুরালিধরনকে ছুঁতে পারবেন, এতটা আশা করা কঠিন। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার সাবেক বাঁহাতি লেগ স্পিনার হগের ধারণা, যে গতিতে ছুটছেন, তাতে মুরালির রেকর্ড চেষ্টা করলে ভাঙতেও পারেন অশ্বিন।
৪০৯ উইকেট পাওয়া অশ্বিন এখন ভারতীয়দের মধ্যেই চারে আছেন। কিন্তু অশ্বিনের এই উইকেটগুলো এসেছে মাত্র ৭৮ টেস্টে। আর বর্তমানে ফিটনেস নিয়ে সচেতনতার যুগে অশ্বিনের পক্ষে আরও বহুদিন খেলা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব বলে মনে করেন হগ।
টাইমসনাওনিউজকে বলেছেন, ‘আমার ধারণা, ৪২ বছর পর্যন্ত খেলবে সে। হয়তো ওর ব্যাটিংয়ের মান পড়ে যাবে কিন্তু যত দিন যাবে, বল হাতে আরও ভয়ংকর হবে। অন্তত ৬০০–এর বেশি উইকেট পাবে বলে মনে করি। সে হয়তো মুত্তিয়া মুরালিধরনের রেকর্ডও ভাঙতে পারে!’
ছন্দে থাকা অশ্বিন ভয়ংকর। এরই মধ্যে টেস্টে ৩০ বার ইনিংসে ৫ উইকেট পেয়েছেন, ম্যাচে সাতবার নিয়েছেন ১০ উইকেট। প্রতি ৫২.৬ বলে টেস্টে উইকেট পান অশ্বিন। অন্তত ৩০০ উইকেট পেয়েছেন, এমন স্পিনারদের মধ্যে এদিক থেকে সবচেয়ে এগিয়ে ভারতের এই অফ স্পিনার। একসময় শুধু ঘরের মাঠেই সাফল্য পাওয়ার ‘দাগ’ নামের পাশে লেগে থাকলেও এখন প্রতিপক্ষের মাঠেও সাফল্য পেতে শুরু করেছেন অশ্বিন।
হগের ধারণা, এভাবে নিজের উন্নতি করতে পারাটাই অন্যদের চেয়ে অশ্বিনকে আলাদা করেছে, ‘সে এত ভালো কারণ, সে মানিয়ে নিতে জানে এবং ক্রিকেটার হিসেবে আরও ভালো হওয়ার ক্ষুধা আছে। ইংলিশ কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সে কাউন্টি খেলেছে এবং এ কারণেই গত কয়েক বছরে এত সাফল্য পাচ্ছে।’