ণির্ভূল বার্তা ডেক্সঃ
কলাপাড়া উপজেলার ১১ নং ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নে চলছে উপ-নির্বাচন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত ২০ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যা ৬টার দিকে আ’লীগ নেতা কর্মীরা স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম ওয়ালিউল্লাহ উদ্দিন নান্নু সিকদারের সমর্থক কুদ্দুস গাজী(৪০)কে বেধরক মারধর করে গুরুতর আহত করে। প্রত্যক্ষদর্শী বেল্লাল, শাহালম মাষ্টার, আজিজ দফাদার ও তার পুত্র তৈয়ব কুদ্দুসকে উদ্ধার করে স্থানীয় ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কলাপাড়া ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসা চলছে কধাহত কুদ্দুসের। ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের পেয়ারপুর গ্রামের আজিজ দফাদার বাড়ির সামনে এ ঘটনাটি ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী বেল্লাল জানান, কুদ্দুস ও তার বাড়ি পাশাপাশি। প্রতিদিনের ন্যায় সন্ধ্যার সময় এক সঙ্গেই গাববাড়িয়া ষ্টেশনে চায়ের আড্ডা দিতে যাচ্ছিলেন তারা। আজিজ দফাদার বাড়ির সামনে আসতেই একটি মটর বাইকে শিবলু গাজী(৪০) নামের এক আ’লীগ নেতা রাস্তায় না ওাার হুমকী দিয়ে বলে, তোকে রাস্তায় ওঠতে না করে ছিলাম তার পরেও তুই রাস্তায় ওঠছো কেনো এবং অশ্লীল আচারণ করে। এক পর্যায় আরো দুটি মটরবাইক চলে আসে। এতে আনছার দফাদার ও ছবুর এবং অন্য বাইক থেকে কাওছার ফরাজী নেমেই মারধর শুরু করতেই সকলে মারতে শুরু করে কুদ্দুসকে এবং কিল ঘুষি ও লাথি দিতে দিতে বলে এখন আ’লীগের দিন এইয়ার মধ্যে তুই ঘোড়া মার্কা করো সঙ্গে অশ্লীল আচারণতো আছেই।
অপর দিকে ঘোড়া প্রতীকের প্রচার মাইকের তার ছিড়ে ফেলে বাইক চালক আরিফ (২৮)’র মুঠোফোন ছিনিয়ে নেয়। আরিফের একটি বাড়ি ও একটি খামারের কিস্তি ও মাইক ভাড়া ৫ হাজার টাকা পকেট হাতিয়ে নিয়ে যায়। আ’লী সমর্থীত ওই কাওসার গ্রুপের কাওসার ও শিবলু গাজী।
এ ব্যাপারে স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম ওয়ালিউল্লাহ উদ্দিন নান্নু সিকদার (ঘোড়া প্রতীক) জানিয়েছেন, নির্বাচনের টাকা দাখিলের পর এলাকায় প্রবেশ করতেনা করতেই নানা ধরণের নির্যাতনের শিকার হয়ে চলছে তারা। গত ১৬ ফেব্রুয়ারী সাড়ে ১১টার দিকে পশ্চিম মনোশাতলী নির্বাচনী প্রচারনায় গেলে সেখানে বরকুতিয়া গ্রামের আ’লীগ নেতা জাহাঙ্গীর মাষ্টার নামের এক অমানুষ দলবদ্ধভাবে এসে অতির্কিত হামলা চালিয়ে ৫জনকে আহত করে। আহতরা হলো ডালবুগঞ্জ গ্রামের আলা উদ্দিন (৩৫), মোশারেফ(২৫), আনছার(৩৫), জহিরুল খান (৩৫), জব্বার(৩০)। তাতেও খ্যান্ত হয়নি ওই জাহাঙ্গীর বাহিনী অবরুদ্ধ রাখে সকলকে। নির্বাচন কমিশনের সহায়তা চাইলে তিনি পুলিশকে ফোন দিতে বলে। পরে পুলিশে ফোন দিলেও কঠোর অবস্থানে থাকে ওই জাহাঙ্গীর ওরপে ত্রাস বাহিনী। একপর্যায় গণমাধ্যম আসলে পালিয়ে যায় ওরা। এছাড়াও গ্রামে গ্রামে ঘোড়া প্রতীকের নারী সমর্থক যারা আছে এবং যারা ক্যাম্পিনে যাচ্ছে, তাদের ইজ্জৎ কেড়ে নেয়ার হুমকী দিচ্ছে আ’লীগের আরেকটি চক্র। প্রতি পদে পদে নির্বাচনী বিধি বা আচারণ ভঙ্গ করে যাচ্ছে। অবরুদ্ধ থাকেন পুলিশ উদ্ধার করে কিন্তু অভিযুক্তদের ব্যাপারে পুলিশ কর্তৃক আটক বা গ্রেপ্তারের কোন ঘটনা দেখা যাচ্ছেনা।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত কাওসার ও শিবলু জানিয়েছেন, ২০ ফেব্রুয়ারী এ ধরণেষর কোন ঘটনার সাথে তারা সম্পৃক্ত হয়নি। তবে একওই গ্রামে তাদের সকলের বাড়ি-ঘর এবং জমা-জমি সংক্রান্ত বিরোধ থাকায় কুদ্দুস ও তার সহযোগিরা তাদের ফাঁসাতে চায়।
অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর মাস্টারের সন্ত্রাসী কার্যকলাপের ভিডিও দৃশ্য সরাসরি সতন্ত্র প্রার্থী নান্নু সিকদারকে মামলা তুলে নেয়ার হুমকী। এ ব্যাপারে জাহাঙ্গীর মাষ্টারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, থানায় অভিযোগ হয়েছে ক্ষমতা থাকলে পুলিশ ধরবে! তার আচারণে পুলিশকে তারা বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে চলছে।
এ ব্যাপারে মহিপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামান জানিয়েছেন, তারা আইনানুগভাবে খুবই জোরদার এবং তৎপর।