মোঃ হাবিবুল্লাহ খান রাব্বী
আগের মতো নাইরে আমি
বয়সে বার্ধক্য মনে হয়,
মৃত্যু আমার ঘুরছে সাথে
কবর আযাবের করছে ভয়।
তাইতো আমি কাবু অতি
মুক্তি পেতে দুরুদ পড়ি,
স্বপ্নে যেনো দেখি আমি
মুহাম্মদ(স.)কে ছালাম করি।
ফলবে তখন ধরার সাধন,
শক্ত হবে মায়ার বাধঁন।
থাকবে কবর সুখ বিলাশে,
নূর চমকাবে মরা লাশে।
নইলে মোদের নাইরে উপায়
হিসাব নিকাশ করা শেষ,
নবীর ভালোবাসা পাইতে হলে
মানুষ ভালোবাস তাঁর উপদেশ।
শুক্র বারে পড়লে দুরুদ
বেশী থেকে আরো বেশী,
তাতেই হয়তো মিলবে দেখা
মহানবীর সেই মিসকি হাসি।
কবরে সুখ পাইতে আমি
ধরার মায়া ছাড়তে চাই,
বধু আমায় বলছে ডেকে
সুখ-বিলাশ নিত্য চাই।
খোদার কাছে চায়না তারা
স্বামীর কাছে হাত পাতে,
কমতি হলে দেয়ার অংক
ঝামেলা হয় গভীর রাতে।
পাশের বাড়ির ভাবির ঘরে
আলনা সুকেস-গহনায়ও ভারী,
তলায় তলায় ভবন গড়ে
পরনে দামীয় দামীয় শাড়ী।
মনের মধ্যে চড়ম কষ্ট
গরীব দুঃখীর খাতায় নাম,
বাবা-দাদা খুব অর্থশালী
তারতো নাই কোনো দাম।
কপালে হাত ভাগ্যের দোষ,
জন্ম-মৃত্যুর রাখেনা খোঁজ।
ভাবেনা কেন? ধরার জীবন!
ধর্ম কর্মে বিলাও যৌবন।
এসব কিছু নাইরে মাথায়
ভোগ-বিলাশ আর নোংরামী,
খোদার প্রেমে ঘুরছে যারা-
ওরা বলছে তাদের ভন্ডামী।
জন্ম সূত্রে হয় মুসলমান
নাই যে তাদের মুসলমানীত্ব,
ধর্ম-ভিরু হয়না তারা
বলে বেড়ায় গুরু ভক্ত।
ভুলে-ভালে জীবন গড়ে
যন্ত্রনা নেয় দু’ সংসারে,
ধর্ম কথা লয়না তারা
যা হয় হোক মরার পরে।
থাকে না তার মুসলমানী
ঈমান বলতে কিছু নাই,
বলছে মুখে খোদার বানী
জ্বালাইয়া খুব মজা পাই।
গুনগান খুব চলছে মনে
আমলে তা বাধঁ পায়,
এরুপ হলে বুঝতে হবে
আজাজিল তোরে কাজ করায়।
এস্তেন্জায় টিস্যু-টয়লেটে কুলুখ
দু’টিতে ভুল হাড়াইয়া কুল,
পোষাকে নাস্তিকবাদী-অপবিত্র পথে
ব্যাস্ত ধরার চড়ম ভুল।
ভাবছে- খোদা মাফ করিবে
বিশ্বাস মনে শত ভাগ,
পায়না সময় চাইতে ক্ষমা
লালসায় কয় বছর যাক।
মুহুর্তেই মৃত্যু ঘটতে পারে
সেটাও মনে বিশ্বাস হয়,
নাস্তিকি রুপে দৃষ্টি চলে
আকৃষ্ট হও পাপিষ্ট কয়।
তাতেই লোভে মন দিয়েছে
প্রেম দিয়েছে নরম গায়,
ঈমান হাড়া হয়ে মুসলমান
আসো আমার নরগ যন্ত্রনায়।
যেনে-শুনে তুমি-আমি
কবেরর জীবন করিনা মূল্যায়ন,
এটাই হলো নরগ কামাই
জাহান্নামী চেনার ওই ধরণ।
নিজের ধরন করলে চিন্তা
বুঝতে পারা খুব সোজা,
কবর জীবন বড়ই কঠিন
এই জীবনের হয় সাঁজা।
থাকতে সময় চাইরে ক্ষমা
ইয়া আল্ল-হু আপনি মহান,
আপনি আমায় ক্ষমা করে
স্বপ্নে মুহাম্মদ(সঃ)’র ছবি দেখান।
পরিপূর্ন হেদায়াত পবিত্র আত্মা
কালামের জ্ঞানে ধর্য্য চাই,
দেহের মধ্যে ছয়টি নূরের
খোদা প্রেমী আলাপ পাই।
ঝলক থাকুক খোদার নূরের
কলব থাকুক জীবন্ত,
আমার দেহের মরা লাশে
প্রেমের নূরে জলন্ত।
লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর (রাঃ)
এই কালিমার নূরের জ্যোতি,
জবানে নূর রুহু জগৎে
নফস্-মস্তকে চাই উপস্থিতি।
নভমন্ডল-ভূমন্ডল কেয়ামতের দিন
আল্লাহ্ মালিক এবং বিচারক,
থাকতে বেচেঁ দেখিতে চাই
শ্রেষ্ঠ নবীর চেহারা মোবারক।
জীবন্ত আসা এই ভালোবাসা
কবর আযাবের চাই মুক্তি,
আবেদন নিবেদন মালিকের কাছে
পুলসিরত পাড়াতে দিও শক্তি।
বাবা আদম (আঃ) হতে অদ্যবদি
মা-বাবা পীর-আউলিয়া,
একে একে সবাই যাবো
মহানবী শুইলেন মদিনা যাইয়া।
নর-নারী মুসলিম-মুসলেমাত
কবরে আযাব হচ্ছে যার,
ক্ষমা সুন্দর আপনি আল্লাহ
ক্ষমা চাইলাম আমি তার।
দয়াময় ক্ষমাশীল দেওয়া-নেওয়া
করুনা পবিত্রতা পছন্দ আপনার,
করুন সুরে চোখের জলে
প্রার্থনা ক্ষমা চাই উপহাড়।
বিনতী-মিনতী আঁখি জল
নাকের ডগা করেছে পার,
প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেনা আল্লাহ
নিশ্চিত ক্ষমা হয়েছে সবার।
আল্লাহ এক অদ্বিতীয় হযরত
মুহাম্মদ(সঃ) আল্লাহর প্রেরীত,
নবী ও রাসুল আমরা তার
আদরের উম্মত কালামে সিক্রিতো।
নিস্বাঃসে বিশ্বাস টানি আল্লাহর
গাইবী প্রেমে জিকির করি,
উম্মতে কান্ডারী নবীর ছবি
দেখিত চাই মোন ভরি।
শেষ নবীরে না দেখাইয়া
আল্লাহ মোরে মৃত্যু দিওনা,
কবুল করো এই চাওয়াটু
নরগ জ্বালা সইতে পারবোনা।