মোঃ হাবিবুল্লাহ খান রাব্বী, অপরাধ তদন্ত প্রতিবেদক ঃ
চলমান পথে পিছু ফিরে না তাকালে যেমনি পেছনের কিছু দেখা যায়না, ঠিক তেমনি ঘটনার পূর্বের ঘটনা না জানলে, সঠিক তথ্য বের করা বা উপস্থাপন করা যায় না। তাই কলাপাড়া উপজেলার ১০ নং বালিয়াতলী ইউনিয়নের পক্ষিয়াপাড়া গ্রামের হাজী হাতেম আলী হাওলাদার এর দখলীয় ও রেকর্ডীয় ভূমি। সাবেক জেলা বাখেরগঞ্জ হালে-পটুয়াখালী স্টেশন সাব রেজিঃ অফিস খেপুপাড়া অধীনে ৩৮ নং জে এল সোনাপাড়া মৌজা আর এস ১৪৫ তথা এস এ ৩১ নং খতিয়ানে মোট জমির পরিমান ৬৬.১৫ একর, সেখান থেকে ১০.৩০৮৪ একর জমির খরিদিও মালিক। এস এ ৩৪ নং খতিয়ানে মোট জমি ৯.৬৯ একর জমি, সেখান থেকে খরিদিও মালিক ৩. ৯১১৬ একর জমি। যা খরিদিও রেকর্ডীয় এবং নিজের ভোগদখলীয় ভূমি। উল্লেখিত খতিয়ানের ভূমি হাল বি আর এস জরিপে ১.৫১ একর অসুদ্ধ মতে কিছু ভূমি বাংলাদেশ সরকারের নামে এবং কিছু জমি বাংলাদেশ পানিউন্নয়ন বোর্ডের নামে রেকর্ড করা হয়েছে। ফলে ভুল রেকর্ড সংশোধনের জন্য কলাপাড়া বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে জেলা প্রশাসক পটুয়াখালী, সহকারী কমিশনার (ভূমি) কলাপাড়া, ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা নয়াকাটা ও নির্বাহী প্রকৌশলী বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড পটুয়াখালী’কে বিবাদী করে ৩৩/২০২১ নং দেওয়ানী মোকদ্দমা দায়ের করা হয়।
এদিকে ভূমিহীন মাহাবুব মৃধা, আরেফিন আকন, শাহিন সর্ব গ্রামঃ পক্ষিয়া পাড়া, জলিল, বাদল, জুলহাস, কালু, নুরু সর্ব গ্রাম সোনা পাড়া। ৮ জন স্থানীয় ভূমিহীন ব্যাক্তিদের ভূমি বন্দোবস্ত দেওয়া হয়েছে মর্মে বসতঘর ণির্মানের অনুমতি দিয়ে রেকর্ডীয় সম্পত্তিতে লাল নিশান টানানো হয়। কে বা কাহারা লাল নিশান টানিয়েছে আদৌ রেকর্ডীয় ভূমি মালিক হাজী হাতেম আলী হাওলাদারকে অবহিত করেনি এবং উক্ত ফসলী ভূমি এমন ভাবে খনন করে বসত ভিটা স্থাপন করতেছে, পাশ্ববর্তী ফসলী জমি এখনই ফাটল ধরাসহ ভেঙ্গে খনন কূপে নিপতিত হচ্ছে। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে ১৭ জানুয়ারী ২০২১ইং বেলা ১১টার দিকে সরেজমিনে গেলে এর বাস্তব সত্যতা দেখা যায়।
কথা বলা হয় ওখানের শ্রমিকদের সাথে, মাটি কাটতে নিষেধ করা সত্যেও কেন মাটি খনন করছেন। গণমাধ্যমের এমন প্রশ্নে! শ্রমিকদের একটাই উত্তর টাকার বিনীময় শ্রম দিচ্ছেন। বিরোধীয় জমিতে কাজ না করলে পারিবারিক ভাবে কোন ক্ষতিগ্রস্থ হবেন কিনা ? শ্রমিকদের কোন ক্ষতি নেই, দেশে কাজের অভাব নেই, প্রয়োজনে অন্যত্র কাজ করবেন বলে সঙ্গে সঙ্গে মাটি কাটা স্থগিত করেন তারা।
এ বিষয়ে স্বত্ব ভোগদখলীয় ভূমিতে অবৈধভাবে ঘর দরজা নির্মান করা থেকে বন্ধ রাখা প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর ১৩ জানুয়ারী অভিযোগ দায়ের করেছেন হাজী হাতেম আলী।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেছেন, বহু সরকারী খাস জমি রয়েছে সেখানে রেকর্ডীয় মালিকের ভূমিতে অবৈধভাবে ঘর তোলার প্রশ্নই আসেনা। অভিযোগের মাধ্যমে অবহিত হয়েছেন। বিষয়টি সঠিক ভাবে দেখবেন বলে আশ^স্ত করেন তিঁনি।
পাঠক! ভেতরে প্রবেশ করতেই চাঁদনী রাতের জ্যোৎনার রশ্মিতে রাজনৈতিক রেশানলে মনুষ্যত্বহীনের অস্পষ্ট ছায়া ভেষে ওঠে। অনুভব হচ্ছে হয়তোবা কেউ পেছন থেকে কল-কাঠি নাড়ছেন। এবার ভেতর থেকে আরো একটু ভেতরে প্রবেশ করতেই অস্পষ্ট ছায়া ও কালো থাবার ঘরম হাওয়া থেকে স্পষ্ট কিছু রুপ এবং বর্ননার ছন্দ সংশ্লীষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানের দিকে প্রবাহিত হচ্ছে। দীর্ঘ বছর ধরে রাজনৈতিক ভাবে চেয়ারম্যানের বিরোধী দলে যুক্ত থাকায় বিভিন্ন সময় নানা কৌশলে নির্যাতনের স্বীকার হতেন হাজী হাতেম আলী হাওলাদার ও তার পরিবার। একদিকে বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের অধিনস্ত, অপরদিকে নিজেদের জন-জনতা ও অর্থগাম্ভভির্যের ব্যাপকতা। ভয়-ভীতি আর ভালোবাসায় হোকনা কেন! একাধীকবার জনগণের প্রতিনিধি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়াকে পুঁজি করে, এমন দূর্শাসন আর নিরব ঘাতকতার পরিচয়ে অত্র প্রতিবেদনের কলাম কংকরের ন্যায় লিপিবদ্ধ করেছে।
কৃষক হাজী হাতেম আলী হাওলাদারের সাব রেজিঃ দলিল ও এস ভুক্ত বেরীবাধ হইতে নদীর পাড় সংযুক্ত ‘দুই’ একর ভূমি চৌমুখী ভাবে ৪০ বছর ধরে কঠোর পরিশ্রম ও অর্থ ব্যায়ে বেরী বাধঁ দিয়ে ফসলী জমিতে রুপান্তরিত করে। সেখানে নদীর পাড় সংযুক্ত বিধায় সরকারী ২০ শতাংশ জমি থাকলেও চক্রান্তকারীরা হাতে না মারলেও কৌশলে উল্টো রেকর্ডী ২৭ শতাংশ জমি খাস খতিয়ানে হাল বি এস সৃস্টি করে। প্রশ্ন ! সাব রেজিঃ দলিল ও বি এস থাকা সত্ত্বেও চক্রান্তকারীদের শুধু মাত্র হাল বি এস পর্চা দিয়েই কি ! জমি পাবে? না কি সাবরেজিঃকৃত এবং সাবেক বি এস ভুক্ত মালিক জমি পাবে ?
পাঠক! প্রথমেই লেখা হয়েছে পিছু ফিরে তাকালে পেছনকে দেখা যায়। প্রতিবেদক, প্রতিবেদনের ক্ষেত্রে পিছু তাকাতেই বর্তমান হাল- বি এস নামের জরিপের কাগজে কাঠপেন্সিলের কম্পাসের অঙ্কিত চিত্রে ব্যাপক অনিয়েমর বানিজ্যিক রেখা বিদ্যমান দেখেছেন। ভূমি জড়িপের কর্তাব্যাক্তিদের ইউনিয়ন পরিষদে বসতী স্থাপনের সুযোগে পরিষদের কর্তাব্যাক্তির কু-কর্ম আর কু-প্রস্তাবে দ্বায়িত্ববোধ ও ন্যায় পরায়নতাকে হার মানিয়ে, কালোঅর্থে নিজ একাউন্ট ভারী করার মধ্যে দিয়ে সাধারণ খেটে খাওয়া কৃষকের সামান্য ফসলী জমি, কেউ কেউ সরকারী খাস জমিতে বসত ভিটা ণির্মান করে দিন মজুরীতে সংসার চালাচ্ছে সেই জমি, আরেক শ্রমিকের ঘরের বারান্দা পর্যন্ত, ভিন্ন একজনের নামে বন্দোবস্তদেয়াসহ ভূমি অফিস ও হাল-বি এস কর্তা ব্যাক্তিরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বা দালালের মাধ্যমে ব্যাপক ভাবে অনিয়মের শীর্ষে রয়েছে। বর্তমান সরকার তথা বাংলাদেশ আ’লীগের সুদ্ধি অভিযান বন্ধ হওয়ায়, দূর্নীতিবাজ কর্তা ব্যাক্তিরা মুক্তি লাভ করেছে। ডুব দিয়ে জলপান করার মতো বহু জনপ্রতিনিধিরা এখনও পর্দার আড়ালে সাধারণ কৃষক, খেটে খাওয়া মানুষ ও মধ্যবিত্ত পরিবারদের কাছ থেকে অর্থ খসিয়ে নিজের পকেট ভরতে মরিয়া।
এ ব্যাপারে বার বার নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবিরের সাথে মুঠোফোনে একাধীকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও ফোনটি রিসিভ না করায় বক্তব্য লিপিবদ্ধ করা সম্ভব হয়নি।
পাঠক! অপরাধ সংগঠিত রাখা, নয়া কৌশলধারীদের অপরাধ উম্মোচন করে, সমাজে সচেতনতা ফিরিয়ে আনতে, এ প্রতিবেদনে ফুসেঁ ওঠা চক্রদের বিভিন্ন অরাধের আজ প্রথম পর্ব প্রকাশ। দ্বিতীয় পর্ব দেখতে বা জানতে দৈনিক আজকের তালশ পত্রিকাটি পড়–ন, বিজ্ঞাপন দিন এবং আমাদের সঙ্গে থাকতে, আপনার সমাজের নানা অপরাধের সঠিক তথ্যদিন। আমরা ও আমাদের প্রকাশিত ‘দৈনিক আজকের তালাশ পত্রিকা’ এবং অপরাধের সঙ্গে আপোষহীন একঝাক দক্ষ-কলম সৈনিক আপনাদের সঙ্গে আছে, থাকবে।