ণির্ভূল বার্তা ডেক্স:
পটুয়াখালী জেলাধীন কলাপাড়া উপজেলার মহিপুরে ভূমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে আদালতে চাঁদাবাজী মামলা। ১১ নং ডালবু গঞ্জ ইউনিয়নের ডালবুগঞ্জ গ্রামের মৃত্যু হাচন আলী সিকাদারের পুত্র মোঃ নুরুল ইসলাম (৫৫), গত ২১ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার বাদী হয়ে ১১জনকে আসামী দিয়ে মোকাম কলাপাড়া বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করে। মামলা নং—। মামলার বিবরণে জে এল ২৭ নং মৌজা আর এস খতিয়ান নং ৭৮, এস এ খতিয়ান নং- ২৮৬,২৬৪,১২৭,৯০ মোট জমির পরিমান ১২.৭৬ একর। এর মধ্যে ৭.৬৬ একর জমি ভোগ দখল করেণ।
গত ২৪ জানুয়ারী বিকাল ৪টার দিকে হাজী মোঃ গয়জদ্দিন হাওলাদার জানান, দীর্ঘ ৬০ বছর পূর্ব থেকে উল্লেখিত দাগ খতিয়ান হইতে হাচন আলী সিকদার, ফজলু দফাদার ও মোঃ হাবিব দফাদারের কাছ থেকে ১৯৪২ইং সালে ৮.২০ একর জমি ক্রয় সূত্রে মালিক হয়। যা সংশ্লীষ্ট ভূমি অফিসে আর এস, এস এ এবং বর্তমানে বি এস এ প্রমানিত। সেই থেকে বসত বাড়ি, পুকুর ও গাছ পালা রোপনসহ নাল জমিতে কৃষি আবাদ করে অদ্যবদি ভোগদখলে রয়েছেন। এবং দীর্ঘ বছর ভোগ দখলের পাশা-পাশি সরকারী ভাবে খাজনাদি পরিশোধ করেছেন যা সংশ্লীষ্ট ভূমি অফিস প্রতক্ষ্য রয়েছে। বাদী সমাজে ভূমি দস্যুতাসহ নানাবিধ অপকর্মের সাথে সম্পৃক্ত।
জীবনভর শুনে এসেছেন টাকা-পয়শা, কাগজ-পাতি জাল-জালিয়াতি করা হয় কিন্তু এখন দেখি ভূয়া মা’ দেখিয়ে জালিয়াতি সন্তান সৃষ্টি হচ্ছে। জহুরা নামের এক মহিলার নামে আর এস এ নাম অন্তুর ভুক্ত হওয়ায় ওই আর এস কাগজেই জহুরা অনুপস্থিত লেখা রয়েছে। সেই জহুরা নামের আর এস কাগজ দিয়ে সন্তান পরিচয়ে ওয়ারীশ দাবী করে আদালতে মামলা দায়ের করলে একতর্ফা ডিগ্রি দেয় আদালত। লক্ষনীয় বিষয় হচ্ছে আর এস এ জহুরা স্বামীঃ সুরত খাঁ আর দাবীদার সন্তান বাদী নুর ইসলাম লিখছেন পিতাঃ হাচন আলী সিকদার। অতএব এখানেই পরিলক্ষিত হয় বাদী জমির ভূয়া মালিক। অত্র দাগ খতিয়ানের ভূমিতে বিবাদী ৬০ বছরের মধ্যে কখনো ভোগ দখল করেনি এবং ভোগদখলে আসেওনি। বিবাদী পক্ষ সর্বদা মিথ্যার উপর স্থির রয়েছে। বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক বাদীকে একতর্ফা রায়ে ডিগ্রি প্রদানের ফলে, বাদী ভূমি ভোগদখলে নেয়ার চেষ্টায় মরিয়া হয়ে উঠেছে। বর্তমানে কু-চক্রী মহল একত্রিত হয়ে চাঁদাবাজীর নাটকীয় মামলা দায়েরের পাশাপাশি খুন-যখমের পায়তারা চালাচ্ছে। যে কোন সময় হত্যাকান্ডের মতো ঘটনা ঘটাতে পারে।
তাই বিবাদী জমা-জমি সংক্রান্ত বিষয়গুলির সঠিক কাগজ পর্যালোচনা করে দ্রুত নিস্পত্তি কামনা করছেন সংশ্লীষ্ট উর্দ্বোতন কর্তৃপক্ষের নিকট।