দৈনিক ণির্ভূল বার্তা ডেক্স ঃ
কুয়াকাটার বঙ্গপসাগর মোহনায় জলদস্যু জোংলা শাহালম বাহিনী কর্তৃক ট্রলার ডাকাতি ও এক জেলে অপহরণ করার ঘটনা ঘটেছে। অপহরণকৃত জেলে সোহেল গাজী (২৫)। গতকাল ১৯ জানুয়ারী ২০২১ইং মঙ্গলবার বিকাল ৩ টার দিকে অপহরণকৃত জেলে সোহেল গাজীর মা’ মোসাঃ পারভীন বেগম বলেন, গত ২২ নভেম্বর আনুমানিক রাত ১০টার দিকে কলাপাড়া আন্ধার মানিক নদীর মোহনায় জলদস্যু জোংলা শাহালম বাহিনী নাম বিহীন একটি ট্রলার ডাকাতি করে ৫ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে যায়। ট্রলারে ৫ জন জেলে ছিলো। এর মধ্যে ইউনুছ মাঝি, তার দুই পুত্র সোহেল গাজী ও সুমন গাজী এবং মেহেদি, পিতাঃ সুন্দর আলী, হাচান, পিতাঃ ছিদ্দিক হাওলাদার। জেলেদের কলাপাড়া উপজেলার বালিয়াতলী ইউনিয়নের দিঘর-বালিয়াতলী গ্রামের বাড়ি। জলদস্যুদের বেধরক মারধরের কারণে প্রানে বাচঁতে দস্যুদের শিখানো গরু চুরির মিথ্যা অপবাদ ঘারে নিলে ৪ জনকে পুলিশে ছোপর্দ করবে নছেৎ সকলকে প্রানে মেরে ফেলবে। তাই দস্যুদের কথায় রাজি হলে দস্যু জলিল বাদী হয়ে মহিপুর থানায় গুরুচুরির মামলা করে থানা পুলিশে দেয় জেলেদের। মহিপুর থানার মামলা নাং-১২/২০।
এ ঘটনা ফাঁস করলে হত্যা করা হবে সোহেল গাজী (২৫) নামের (এক) জেলেকে। তাই মুক্তিপনের আশায় সোহেল গাজী অপহরণ করে নিয়ে যায় গহীন জঙ্গলে। মাত্র ২০ হাজার টাকা মুক্তিপন দিলেই ছাড়া পাবে একথা জানায় অপহরণকৃত সোহেল গাজী।
ছেলেকে উদ্ধার করতে মহিপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ মনিরুজ্জমানের সাথে মৌখিক আলোচনা করলে থানার মুঠোফোনে আলাপ হয় দস্যুদের সাথে ২০ হাজার টাকা মুক্তিপন দিতে রাজি হয়ে সু-কৌশলে ৩১ ঘন্টা পর ২৩ নভেম্বর রাত সাড়ে ১১টায় উদ্ধার করা হয় অপহরণকৃত সোহেল গাজীকে ও ট্রলার। কিন্তু উদ্ধার হয়নি ট্রলারে থাকা ৫লক্ষাধীক টাকার মালামাল।
উদ্ধারকার্য পরিচালক মহিপুর থানার এস আই মনির ঘটনার সত্যতা শিকার করেন। পরবর্তীতে ট্রলারে থাকা ৫ লক্ষাধীক টাকার মালামাল উদ্ধার করতে পেরেছেন কিনা এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি ব্যাস্ত থাকায় বিস্তারিত জানাতে পারেননি।
জলদস্যু জংলা শাহালম বাহীনির কাছ থেকে অপহরণকৃত জেলে ও ট্রলার মহিপুর থানা পুলিশ উদ্ধার করতে সক্ষম হলেও ট্রলারের মালামাল উদ্ধার এবং জলদস্যুদের কাউকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়নি। দস্যুবাহীনিদের কাউকে গ্রেপ্তার ও ট্রলারের মালামাল উদ্ধার করার অক্ষমতার পেছনে হয়তবা কালো শক্তি ভর করেছে। ফলে মহিপুর থানা পুলিশের সহায়তায় মালামাল উদ্ধার করতে ব্যার্থ হওয়ায় পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ করা হয়েছে বলেও অভিযোগকারী পারভীন বেগম জানান। এবং তিনি আরো বলেন, বর্তমানে দরিদ্রতার কাষাঘাতে কোন মতে খেয়ে না খেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
জলদস্যু বাহীনি কর্তৃক অপহরনের ঘটনায় সরকারের নিযুক্ত যেসকল প্রশাসন রয়েছে তাদের কাছে মানবতার দৃষ্টিকোন থেকে অভিযুক্ত চিহ্নিত জলদস্যুদের গ্রেপ্তার ও ট্রলাওে থাকা মালামাল উদ্ধারে জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছে ভুক্তভোগি ওই পরিবার।