মোঃ হাবিবুল্লাহ খান রাব্বী (সম্পাদক) দৈনিক ণির্ভূল বার্তা :
কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর থানাধীন ১১ নং ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের নির্বাচিত চেয়ারম্যান আঃ ছালাম সিকদারের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোকাহত ইউনিয়নবাসী। সময় নির্ধারিত না হলেও উপজেলা নির্বাচন কমিশন বলছে, অচিরেই উপনির্বাচন শুরু হবে। উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে অনেকেই উকি-ঝুকি দিচ্ছে, কেউ কেউ রঙ্গিন পোষ্টার আর ফেষ্টুন টানিয়ে এলাকাবাসী দোয়া ও সমর্থন কামনা করছে। অর্ধডর্জন প্রার্থীদের প্রতিযোগিতায় জনমত পরিসংখ্যনে শিক্ষা, দক্ষতা ও উন্নয়ন চেতা এবং ণির্লোভী মানুষ হিসাবে একজনকেই প্রাধান্যতা দিয়েছেন। তিনি হচ্ছেন অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন শিকদার, পিতাঃ মৃত্যুঃ- মোঃ ফিরোজ আলী শিকদার,মাতাঃ মোসাঃ হালিমোন নেছা, গ্রামঃ ও ডাকঘরঃ-ডালবুগঞ্জ।
শিক্ষা জীবনে বি কম অনার্স, এম কম। বি এড (১ম শ্রেনী)। পেশাজীবনে ঃ অধ্যক্ষ খেপুপাড়া মোজাহার উদ্দিন বিশ^াস সরকারী অনার্স কলেজ। জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ কলেজ শিক্ষক হিসাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে স্বর্নপদক গ্রহণ করেন। এ ছাড়াও পর পর দু’বার শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ, একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনার ক্ষেত্রে বিভাগের শিক্ষানুরাগী এবং সমাজকর্মী পুরুস্কার লাভ করেণ। ২০১৯ সালের ৭ সেপ্টেম্বর খেপুপাড়া মোজাহার উদ্দিন বিশ^াস সরকারী অনার্স কলেজ থেকে অবসর গ্রহণ করেন।
রাজনৈতিক জীবনে ১৯৭০ এর নির্বাচন এবং ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে ছাত্র জীবনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাথে যুক্ত থেকে মিছিল মিটিং ও সংগ্রামে সরব উপস্থিত। ১৯৭৫ সনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নৃশংস হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে রাজ পথে সোচ্ছার ছিলেন। সরকারী বি এম কলেজ শাখার ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক (১৯৭৭-১৯৮০)। এ সময়ে ছাত্র সংসদে নানক-শহীদ পরিষদ পূর্ন প্যানেলে জয়ী হয়। ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাথে সম্পৃক্ত থেকে আন্দোলনে যুক্ত ও ডাকসু নির্বাচনে কাদের-নানক পরিষদের পক্ষে নিরলস শ্রমদেন তিনি (১৯৮১-১৯৮৩)। অধ্যাপনা কালে বাংলাদেশ আ’লীগ কলাপাড়া উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি ও ১১ নং ডালবুগঞ্জ ইউনিয়ন শাখার ১নং সদস্য ১৯৪৮ থেকে অদ্যবদি (কলাপাড়া উপজেলা শাখার পূর্নাঙ্গ কমিটি এখনও হয়নি)। ঢাকা বিশ^ বিদ্যালয় ও সরকারী বি এম কলেজ ছাত্র রাজনীতির সাথে যুক্ত থাকা কালীন ওবায়দুল কাদের, মস্তোফা জালাল মহিউদ্দিন, আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন, জাহাঙ্গীর নানক এর সাহচর্জে থেকে আন্দোলন সংগ্রাম ও নির্বাচনে নিজেকে যুক্ত রেখেছেন।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন বন্ধ-ুবান্ধব মিলে একজন রাজাকার ধরে মুক্তিযোদ্ধাদের নিকট হস্তান্তর করেণ এবং মাথায় করে মুক্তি যোদ্ধাদের গোপন আস্থানায় খাবার পৌছে দিতেন। ১৯৮২ সনে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে গ্রেপ্তার হয়ে ক্যান্টনম্যান্ট কারাগারে বেশ কিছুদিন নির্যাতনের শিকার হয়েছে, সে আঘাতের চিহ্ন ও ব্যাথা আজও শরীরে বহন করে চলছে।
পেশা ও রাজনৈতিক জীবনের পথ চলার মধ্যদিয়ে সাহিত্য চর্চায় থেমে থাকেনি। মুজিব শতবর্ষে তার লেখা কাব্যগ্রন্থ্য ‘ এ দিন থেকে শত বছর আগে’ প্রকাশিত হতে যাচ্ছে অমর ২১ শে বই মেলা ২০২১। তিনি ২৪টি পাঠ্য পুস্তকের প্রণেতা। তার লেখা প্রাকাশিত কাব্যগ্রন্থ ০৫টি এবং গল্পগ্রন্থ ০২টি।
শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে ১১ নং ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নে কমিউিনিটি ক্লিনিক ও ডালবুগঞ্জ সরকারী প্রাঃ বিদ্যালয়ে জমি দান করেণ। এ ছাড়া ডালবুগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, হাজী আব্দুস সোবহান সিকদার মডেল একাডেমী(মাধ্যমিক বিদ্যালয়) ও খেপুপাড়া পাবলিক লাইব্রেরীর আজীবন দাতা সদস্য। কলাপাড়া প্রেসক্লাবের সাবেক সহ-সভাপতি ও গণমাধ্যমে তার বেশ অবদান রয়েছে।
মহিপুর থানাধীন ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠা কালে ১১ নং ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের প্রশাসক নিযুক্ত হন। ২ বছর সময়কালীন অবহেলিত ইউনিয়নটির যোগাযোগ ব্যাবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে বর্তমান প্রেক্ষাপটে সচেতনমহল, সুশীল সমাজ অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন সিকদারের বিকল্প কাউকে দেখছেন না। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি দেশকে মধ্যম আয়ের দেশ হিসাবে রুপান্তরিত করতে উন্নয়নচেতা ও সৎ নির্ভিক নির্লোভী দক্ষ্য নেতা অধ্যক্ষ মোঃ দেলোয়ার হোসেন সিকদারকে বাংলাদেশ আ’লীগ দলীয় ভাবে মনোনীত করে নৌকা মার্কার চেয়ারম্যান পদ-প্রার্থী হিসাবে ১১নং ডালবুগঞ্জ ইউনিয়ন বাসীকে উপহাড় দিবেন জননেত্রী শেখ হাসিনা, এমনটাই দাবী ও প্রত্যাশা ব্যাক্ত করেন দল-বল ছেড়ে ইউনিয়নের সচেতন মহল।
বাংলাদেশটি নদী মার্তৃক দেশ, তাই নদী নালার শাখা প্রখায় ইউনিয়নটির ৬টি ওয়ার্ড একপার্শে ও ৩টি ওয়ার্ড নদীর অপর পাশের্^। উত্তরমনোশাতলী উলুম রশিদিয়া নূরানী হাফিজিয়া ও কওমিয়া মাদ্রাসা এবং নদীর অপর পাশের্^ মেহেরপুর সরকারী প্রাঃ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন ও ডালবুগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সে যাতায়াতের সুবিধার্থে নিজের অর্থায়নে আংশিক বাঁধ ণির্মান ও ভাষমান ব্রিজ কোন কাজটি করলে ভালো হবে, তারই ধারা বাহিকতায় সরেজমিনে পরিদর্শন করেন তিঁনি।
এ সময় অবসর প্রাপ্ত অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন স্যার ইউনিয়নের উন্নয়ন বিষয়ক, রাজনৈতিক জীবন, চাকরীজীবনের পাশাপাশি সাহিত্য চর্চাসহ বিভিন্ন দিক তুলে ধরে, তাঁর বাকী জীবনটুকু সমাজ সেবায় নিয়োজিত রাখার প্রত্যয় ব্যাক্ত করেন। উপনির্বাচনে বাংলাদেশ আ’লীগ কর্তৃক মনোনয়ন পাওয়া না পাওয়া নিয়ে গণমাধ্যমের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আ’লীগের চেয়ারম্যান জননেত্রী শেখহাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিবেন। সে সিদ্ধান্ত মেনেনিতে তিনি বদ্ধপরিকর। মনোনীত করলে চেয়ারম্যান হিসাবে নির্বাচন করবেন, মনোনীত না করলেও বয়সের শেষ সীমানা পর্যন্ত সাধ্যঅনুয়ায়ী অত্র অঞ্চলের মাটি ও মানুষের সেবায় নিঃস্বার্থে নিজেকে আত্মনিয়োগ করবেন বলে উপস্থিত জন সাধারণের মাঝে এমনটাই আশ^াস দেন।