অনলাইন ডেক্স:
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, গত ১২ বছরে দেশের প্রতিটি মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন মির্জা ফখরুল সাহেবরা দেখেও দেখেন না। মন্ত্রী আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে তথ্যভবন মিলনায়তনে বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিষদ (বিএসপি) আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিবের সাম্প্রতিক মন্তব্য ‘বিজয় মিললেও মুক্তি মেলেনি’—এমন বক্তব্যের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আসলে তারা (বিএনপি) সব সময় বিভ্রান্তির মধ্যে ভোগেন এবং তা থেকে মানুষকেও বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালান। উন্নয়নের বিষয়ে তাদের আমি আইএমএফ এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের পরিসংখ্যান দেখার অনুরোধ জানাচ্ছি। বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ৬০০ ডলার থেকে ২ হাজার ৬৪ ডলারে উন্নীত হয়েছে এবং দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকা মানুষের হার ৪১ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে—এগুলো পড়লে বিভ্রান্তি কেটে যাবে। অবশ্যই সমালোচনা করবেন, কিন্তু নিজের বিভ্রান্তি থেকে জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা কখনো দেশ ও জাতির জন্য শুভ নয়।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশকে আরও এগিয়ে নিতে, ২০৪১ সাল নাগাদ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছে দিতে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ গণমাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কারণ, মানুষের মনন তৈরিতে, তৃতীয় নয়ন খুলে দেয়ার ক্ষেত্রে এবং দায়িত্বশীলদের আরও দায়িত্ববান করার ক্ষেত্রে সংবাদপত্র তথা গণমাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।বিজ্ঞাপন
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ১২ বছর আগে দৈনিক সংবাদপত্র ছিল ৪৫০টি, এখন সাড়ে ১২০০। অর্থাৎ প্রায় তিন গুণ। টেলিভিশন ছিল ১০টি, এখন ৩৫টি। একইভাবে অনলাইন মাধ্যম আইপিটিভি থেকে শুরু করে সব গণমাধ্যমের ক্ষেত্রে ব্যাপক বিপ্লব ঘটেছে।
এর পাশাপাশি কিছু সমস্যাও যুক্ত হয়েছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই সমস্যাগুলো আমাদের সম্মিলিতভাবে মোকাবিলা করতে হবে। সংবাদপত্রের মান, সংবাদের গুণগতমান ধরে রাখা এবং যে কারো হাতে যেন সাংবাদিকতার পরিচয়পত্র না যায়, সে নিয়েও আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’
তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মোজাফফর হোসেন পল্টু সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন।