অনলাইন ডেক্স:
সুনামগঞ্জের দক্ষিণ সুনামগঞ্জে পাওনা টাকা না পেয়ে জামিনদার স্কুলের দপ্তরীকে গাছে বেধে পেটানো বহিষ্কৃত সেই যুবলীগ নেতা শাহনুর মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার ভোররাতে পার্শ্ববর্তী জামালগঞ্জ উপজেলা ভীমখালী ইউনিয়নের লালবাজার থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার ওসি কাজী মুক্তাদির হোসেন বলেন, ‘তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে শাহনুর মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে আজ আদালতে সোপর্দ করা হবে।’
প্রসঙ্গত, পাওনা টাকা না পেয়ে গত ৬ ডিসেম্বর রবিবার জেলার দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার শিমুলবাঁক ইউনিয়নের মুক্তাখাই গ্রামের বাসিন্দা ও মুক্তাখাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী তোফায়েল আহমেদকে গাছে বেঁধে মারপিট করে একই গ্রামের মনোয়ার আলীর ছেলে শাহনুর মিয়া। মারপিটের ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এরপর যুবলীগ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়। এ ঘটনায় ৮ ডিসেম্বর মঙ্গলবার নির্যাতনের শিকার ওই দপ্তরী মো. তোফায়েল আহমদ বাদী হয়ে অভিযুক্ত শাহনুর মিয়ার বিরুদ্ধে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানায় নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মুক্তাখাই গ্রামের বাসিন্দা ও মুক্তখাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী তোফায়েল আহমদ জামিনদার হিসাবে তার আপন চাচাতো ভাই শাহজাহানকে একই গ্রামের শাহানুর মিয়ার নিকট থেকে জামিনদার হয়ে প্রায় দুই বছর আগে এক লক্ষ টাকা ধারে এনে দেয়। ঋণ গ্রহীতা শাহজাহান মিয়া নির্ধারিত সময়ে টাকা না দেওয়ায় বিষয়টি নিয়ে গ্রামে একাধিকবার শালিস বৈঠকও হয়। কিন্তু জামিনদার তোফায়েল আহমদ ও তার চাচাতো ভাই শাহজাহান মিয়া ঋণের টাকা পরিশোধ করেননি। এরপর ঋণগ্রহীতা শাহজাহান মিয়া মুক্তখাই গ্রাম থেকে অন্যত্র চলে যায়। দীর্ঘ দুই বছরেও পাওনা টাকা না পেয়ে ৬ ডিসেম্বর রবিবার দুপুরে মুক্তাখাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী মো. তোফায়েল আহমদকে বিদ্যালয়ের সামনে পেয়ে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে গাছের গোঁড়ায় বেধে মারপিট করে পাওনাদার শাহনুর মিয়া। এসময় অকথ্য ভাষায় গালিগালাজও করে। মারপিটে তোফায়েলের শরীরের বিভিন্ন জায়গা জখম হয়। পরে স্থানীয় লোকজন তোফায়েল আহমদকে উদ্ধার করে। দপ্তরী তোফায়েলকে মারপিটের ভিডিও ৮ ডিসেম্বর মঙ্গলবার ফেসবুকে ভাইরাল হলে এলাকায় তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়।