মোঃ হাবিবুল্লাহ খান রাব্বী, (সম্পাদক) দৈনিক র্ণির্ভূল বার্তাঃ
বাংলাদেশ সরকারের সারাদেশ ব্যাপী যে উন্নয়নের অগ্রগতি বিশেষ করে পদ্মা সেতুর মতো মেগাপ্রকল্প মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দূর্দর্শীতার কারণে এবং নিজ অর্থায়নে বাস্তবায়োন। দক্ষিন বাংলার বঙ্গপসাগর সৈকত উপকূলনগরী বন্দর পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা এবং কুয়াকাটা পৌরসভায় শত শত কোটি টাকার মেঘা প্রকল্পের কাজ চলমান। সেখানে কেন ? নৌকা মার্কার পরাজয় ঘটবে এটা অত্যন্ত ভাবনীয় বিষয়। নেতার দোষ না ! নের্তৃত্বের ?
মহিপুর প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোঃ হাবিবুল্লাহ খান রাব্বী’র কুয়াকাটা পৌর নির্বাচনে আ’লীগ মনোনীত প্রার্থীর পরাজয়ের কারণ কি? এমন প্রশ্নের জবাবে, মোঃ শফিকুল আলম বাবুল খান, কলাপাড়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান, সাংগঠনিক সম্পাদক উপজেলা আ’লীগ, সভাপতি আওয়ামী যুবলীগ কলাপড়া উপজেলা শাখা, তিনি বলেন, গত ২৮ ফ্রেবুয়ারী কুয়াকাটা পৌরসভা নির্বাচনে কয়েকটি উল্লেখ যোগ্য বিষয় রয়েছে। যা তার ব্যাক্তি গত ভাবে রাজনৈতিক চেতনার আলোকে অভিমত প্রকাশ করেছেন। যেমনঃ- প্রথমত একজন রাজনৈতিক নেতা এবং জনগনের প্রতিনিধি দুইটার আভিধানিক অর্থ ভিন্ন। আ’লীগ মনোনীত প্রার্থী ও কুয়াকাটা পৌর আ’লীগের সভাপতি আঃ বারেক মোল্লা দীর্ঘদিন পর্যন্ত জনগনের প্রতিনিধি এবং দলের প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। দ্বায়িত্ব পালন কালে ত্রুটি বিচ্যুতি থাকতে পারে এটাই সাভাবিক। কিন্তু এখানে কাজ করতে গেলে যেমন ত্রুটি হয়, তবে রাজনৈতিক অঙ্গনে কর্মীদরদী নেতা হওয়া আবশ্যক। সে আলোকে তার রাজনৈতিক অঙ্গনে কর্মীদরদী নেতা হিসাবে দূর্বলতা প্রকাশ পায়। দ্বিতীয়ত ঃ- রাজনৈতি নেতা আর জনগনের প্রতিনিধি ভাবধারা একাধিক, সে দৃষ্টিকোন থেকে একজন প্রার্থীর ৪০% ভোট তার নিজ গুনে পেতে হবে। আর ২০% দল,মত,আত্মীয়-স্বজন প্রতিবেশী বন্ধু-বান্ধব মিলিয়ে পাবে। তাহলে ৬০% ভোট চলে আসবে। নিজের গুনের যে ৪০% ভোট রয়েছে, সেখানে তিনি কতোটা অর্জন করতে পেরেছেন? বিষয়টি তার কাছে প্রশ্নবিদ্ধ।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ডিজিটাল পদ্ধতিতে ণির্ভূল র্ণিণয়ের মাধ্যমে সমাজ ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করার নীতিগত ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে চলছে। সেখানে আঃ বারেক মোল্লা রাজনৈতিক অঙ্গন ও জনগনের প্রতিনিধি হিসাবে নিজেকে কতোটা ণির্ভূল সৃষ্টি করতে পেরেছেন? এটাও একটা ভাবনীয় বিষয়।
তবে গণতন্ত্রের মূলমন্ত্র ণির্ভূল, ণির্মল, সুন্দরের পুঁজারী এবং সাধারণ জনগণ স্বচ্ছ ভোটাধিকার প্রয়োগে বিশ^াসী, যা এ সরকার সকল স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অদ্যবদি প্রমাণ রেখেছেন। সে ব্যাপারে তার দূরদর্শীতা থাকা চাই। এটি একটি কারণ, একজন প্রার্থীর।
দক্ষিন জনপদের শতকাড়া ৭০ ভাগ মানুষ স্ব-শিক্ষিত। সেখানে কমনসেন্স বিদ্যা বলতে একটি শব্দ আছে, বাংলায় বলে সাধারণ জ্ঞান। এই বিদ্যাটি জনগনের প্রতিনিধি এবং রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্বদে মাঝে থাকা চাই। যে বিদ্যাটি কাগজ কলমে শিখানো যায় না, চলার পথে সৃষ্টি হয়।
রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি কথা চলমান নেতাকর্মীদের জন্য। (টু-স্টপ ফরোয়াডিং, অন-স্টপ ব্যাক) কেনো দু’পা সামনে দিয়েছো-বোঝার জন্য এক-পা’ পিছনে দেও। রাজনৈতিক নেতা ও জনগণের প্রতিনিধির সর্বদা মনে রাখা চাই। আমার লেখার শেষ লগ্নে কবি গুরু রবিন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি উক্তি বা বাক্য বলে লেখার ইতি টানবো। ‘আঘাতের ভয় যদি কেউ নিরব থাকো-দূর্ভাগ্য বলতে একটি শব্দ আছে-সে তোমাকে নিরবে আঘাত করবে’। বাবুল খানের ব্যাক্তিগত অভিমত আ’লীগ মনোনীত প্রার্থী আঃ বারেক মোল্লার পরাজয়’র প্রথম হ্্েরস তার বেলায় তিনি, বাকিটা —-?।
কুয়াকাটা পৌর নির্বাচনে গত ২৮ ডিসেম্বর নৌকা মার্কার পরাজয়ে- আমজনতার কষ্টের বারি ধারায়, প্রকৃতিও আহত। মার্কা নয় ব্যাক্তির চাহিদা যেন ভোটারদের কাছে অপরিহার্য।