নির্ভুল বার্তা ডেস্কঃ
একটি একটি করে দেশের মাটিতে টানা নয়টি ওয়ানডে জিতে ফেলল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। ঘরের মাঠে টানা ওয়ানডে জয়ের নিজেদের রেকর্ড থেকে তবু এক ম্যাচ দূরে তামিম ইকবালের দল। ২০১৪ সালে জিম্বাবুয়ে সিরিজ থেকে ২০১৫ সালের ভারত সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ পর্যন্ত টানা ১০ ম্যাচ জিতেছিল মাশরাফি বিন মুর্তজার বাংলাদেশ। আগামীকাল শেষ ওয়ানডেটা জিতে শ্রীলঙ্কাকে প্রথমবারের মতো ধবলধোলাই করতে পারলেই সেই রেকর্ড ছুঁতে পারবেন তামিমরা।
আরেকটি ঝলমলে পরিসংখ্যান ধরে রাখতেও শেষ ম্যাচে জয় দরকার বাংলাদেশের। পরিসংখ্যানটা সর্বশেষ পাঁচ বছরে ওয়ানডেতে ঘরের মাঠে পারফরম্যান্সের। যে হিসাবে ২০১৬ সালের ২৭ মে থেকে ঘরের মাঠে বাংলাদেশই সবচেয়ে সফল ওয়ানডে দল। শেষ ম্যাচে হারলে বিশ্বকাপ সুপার লিগে পয়েন্ট হারানোর পাশাপাশি যে ওই সম্মানটাও হারাতে হবে।
গত পাঁচ বছরে দেশের মাটিতে বাংলাদেশ ওয়ানডে খেলেছে ২৫টি। এর ১৯টিতেই এসেছে জয়। বাকি ছয় ম্যাচে দেখতে হয়েছে হার। শতকরা হিসেবে এ সময়ে দেশের মাটিতে বাংলাদেশ জিতেছে ৭৬ ভাগ ম্যাচ। গত পাঁচ বছরে দেশের মাটিতে যেসব দল কমপক্ষে ১০ ম্যাচ খেলেছে তাদের মধ্যে শতকরা জয়ের হিসাবে বাংলাদেশই সবার ওপরে। এ সময়ে দেশের মাটিতে বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সিরিজ হেরেছে মাত্র একটি—২০১৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।
এ সময়ে দেশের মাটিতে শতকরা ৭৫ ভাগ জয় নিয়ে দুইয়ে নিউজিল্যান্ড। কিউইরা নিউজিল্যান্ডে ৪০টি ওয়ানডে খেলে জিতেছে ৩০টিতে, হেরেছে ১০টিতে। খুব একটা পিছিয়ে নেই দক্ষিণ আফ্রিকাও। গত পাঁচ বছরে ঘরের মাঠে খেলা শতকরা ৭৩.৮১ ভাগ ওয়ানডে জিতেছে প্রোটিয়ারা। সিরিজের শেষ ম্যাচে হেরে গেলে এই দুই দলের পেছনে পড়ে যাবে বাংলাদেশ।
গত পাঁচ বছরে দেশের মাটিতে ওয়ানডে জয়ের শতকরা হিসাবে সবচেয়ে পেছনে আয়ারল্যান্ড। ঘরের মাঠে ২৩ ম্যাচ খেলে আইরিশরা এ সময়ে জিতেছে ৭ ম্যাচ। শতকরা হিসাবে যা ৩০.৪৩ শতাংশ। জিম্বাবুয়ে, শ্রীলঙ্কা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজও অবশ্য খুব একটা এগিয়ে নেই আইরিশদের চেয়ে। গত পাঁচ বছরে তিনটি দলই ঘরের মাঠে ৪০ শতাংশের কম ওয়ানডে জিতেছে।