মোঃ হাবিবুল্লাহ খান রাব্বী ॥
পটুয়াখালী জেলাধীন মহিপুর থানার ১১নং ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নে মনোশাতলী গ্রামে আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে এম এ খায়ের মোল্লা গ্রুপ’র তিন ফসলা জমি কর্তন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ২৭ জুন ২১ইং দুপুর ১২ টার দিকে এম এ খায়ের মোল্লা গ্রুপ’র ভাড়াটিয়া স্থানীয় একটি চক্র প্রভাব খাটিয়ে জোর পূর্বক বেকু মেশিন দিয়ে জমি কর্তন করে শ্রেনী পরিবর্তন করে দখলে নিচ্ছে। মোকাম যুগ্ম জেলা জজ ১ম আদালত, পটুয়াখালী। দেং মোং নং- ৪২৫/ ২০১৯ইং প্রেক্ষিতে গত দুই হাজার ২০ সালের ১২ অক্টোবর নিষেধাজ্ঞা জারী করে আদালত। অদ্যবদি পারেনি কোন কাগজ দেখাতে।
মামলার বাদী মোঃ শহিদুল ইসলাম খান চড়ম অসহায়ত্বতার লোম হর্ষক বর্ননা দিয়ে বলেন, তিনি হঠাৎ স্টক করে প্যারালাইস্ট হয়ে বাম হাত অপাশ হওয়াসহ দু’চোখ অন্ধ হয়ে বিছানায় কাতর। ঠিক সেই সময় তার নিজের চিকিৎসা ও ভরন পোষনের জন্য মামলার বিবাদী তার স্ত্রী মাসুদা বেগমের নামে নিজ নামীয় জেলা সাবেক বাকেরগঞ্জ হালে পটুয়াখালী ষ্টেশন সাব রেজিঃ খেপুপাড়া অধীনে জে এল ২৮ নং মনোশাতলী মৌজা ও কিসমতের অর্ন্তগত এস এ ১১০/১ নং খতিয়ানের ৪৬/৪৭/৬০/ ৬১/৬৩/ ৮/২/৩/৫/৪৫/৮৬/৮৭/৮৯/৮৬-২৪৪/৮৬-২৪৫ নং দাগের অংশ হইতে ২৩.২৫ একর ভূমি আমমোক্তার নামা শর্তে ২৭-০৩-২০১১ইং খেপুপাড়া সাব রেজিঃ দেওয়া হয়। যাহার দলিল নং- ২৫৩১ ও ২৫৩২।
উল্লেখ্য শহিদুল ইসলাম খানের অসুস্থ্যতার সুযোগে রাক্ষুসে ও লোভী স্ত্রী মাসুদা বেগম পরিকল্পিত ভাবে উক্ত জমি আমমোক্তার নামা না লিখে, হেবা ঘোষনা পত্র দলিল লিখাইয়া, পড়িয়া শুনানের সময় আমমোক্তার পড়িয়া শুনাইয়া স্বাক্ষর নেয়। দলিল হওয়ার কিছু দিনের মধ্যেই তার চিকিৎসা ও ভরন পোষনের ব্যাপক অনিয়ম পেয়ে খোঁজ নিতেই স্ত্রীর চক্রান্ত ধরা পরে। সে আর স্ত্রী নেই, তাকে তালাক প্রদান করেছে এবং উল্লেখিত মৌজা ও দাগ খতিয়ানের জমি আমমোক্তার নামা নয়, সেটি হস্তগত বা হেবা ঘোষনা পত্র দলিল করেছিলো। এ ঘটনা জানতে পেরে আদালতে মামলা আনায়ন করলে আদালত ওই জমিতে নিষেধাজ্ঞা জারী করেছে।
আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে প্রায় ১ এক মাস পরে মাসুদা বেগম জমি অন্যত্র বিক্রি করে আরেক চক্রান্তকারী ক্রেতা এম এ খায়ের মোল্লা।
আদালতের নিষেধাজ্ঞার জমিতে দীর্ঘদিন সাইন বোর্ড দেয়া ছিলো অভিযুক্ত খায়ের মোল্লা গ্রুপ বিভিন্ন সময় মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করছে। গত ১৭-০৫-২১ইং ওই সাইন বোর্ড ফেলে দিয়ে উল্টো তার বর্গাচাষী ৬ জন কৃষকের বিরুদ্ধে মোকাম কলাপাড়া উপজেলা বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করায়। মামলা নং-৬৮৪। মামলার বাদী মনসাতলী গ্রামের রমনী চন্দ্র সিকদার। মামলায় বর্নিত জে এল ২৮ নং মনসাতলী মৌজায় ১৩৯ নং খতিয়ানের এস এ ৩৭/৩৮/৪০/৪১/৪২/৪৩/৪৪/৪৪-২৩৯/৩৮-২৪০/৪১-২৪১/৪২-২৪২ দাগে তার নিজ নামীয় কোন জমি নাই। এবং সে অদ্যবদি কোন প্রকার কাগজ দেখাতে পারেনি। এম এ খায়ের মোল্লার খয়ের খা হয়ে রমনী চন্দ্র সিকদার একাধিক মিথ্যা মামলা দিয়ে শহিদুল ইসলামের জমি বর্গাচাষী স্থানীয় কৃষক মেনাজ সিকদার, জাকির হোসেন, সুজন সিকদার, খলিল মৃধা, রফিক আকন ও ফিরোজ মৃধাকে চড়ম ভাবে হয়রানী ও আর্থিক ক্ষতিগ্রস্থ্য করছে।
শহিদুল ইসলাম খান আরো জানান, ১৬ জুন তার জমি চাষাবাদ করার সময় মহিপুর থানার এস আই বায়োজিদ সেখানে গিয়ে বিবাদী পক্ষের ভূমিতে প্রবেশ নিষেধাজ্ঞার সাইন বোর্ড দেখেও হাল চাষে বাঁধা দিয়ে বন্ধ করে দেয় এবং কাগজ পত্র নিয়ে থানায় যেতে বলে।
অপর দিকে শহিদুল ইসলামের শুভাকাঙ্খী মোঃ জাকির হোসেন পিকু বলেন, তারা বিষয়টি জেলা প্রশাসককে অবহিত করেছেন। এতো কিছুর পরেও আদালতের নিষেধাজ্ঞাকৃত জমিতে বেকু মেশিন লাগিয়ে তিন ফসলা জমি কর্তন করে জোর পূর্বক ভোগ দখল নিচ্ছে।
এক সময়ের ধনাট্যবান আর শক্তিশালী শহিদুল ইসলাম খান এখন প্রতিব›ধী, অচল, শক্তিহীন, ক্ষমতাহীন তাই কাগজ পত্রে বা আইনানুগ ভাবে সঠিক থাকলেও অর্থাভাবে নির্বিকার, নেই জন-জনতা, স্ত্রীর প্রতারণার ফাঁদে পিষ্ঠ। নিজের জমি ফিরে পেয়ে চিকিৎসা আর স্বাভাবিক ভাবে ভরন পোষনের মাধ্যমে জীবন জাপন করতে দেশের সর্বোচ্চ স্বেচ্ছাসেবী আইন শৃংখলা বাহিনীসহ স্বচ্ছ মানবাধিকার সংগঠনের সরেজমিনে তদন্ত পূর্বক ব্যাবস্থা গ্রহনের জোর দাবী জানান তিনি।
এব্যাপারে মহিপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ মনিরুজ্জামান’র কাছে জানতে চাইলে এ বিষয় তাকে কেউ অবগত করেন নাই, অভিযোগ পেলে সে যেই হোক ব্যাবস্থা নেয়া হবে