অনলাইন ডেক্স:
জাপানে দুদিন ধরে ভারী তুষারঝড়ের পর মহাসড়কে আটকে পড়ে আছে এক হাজারের বেশি যানবাহন। বিভিন্ন স্থানে যানবাহনের দীর্ঘ এই সারি ছাড়িয়ে গেছে মাইলের পর মাইল। রাজধানী টোকিওর সঙ্গে নিগাতাকে সংযুক্তকারী কানেটসু এক্সপ্রেসওয়েতে আটকে পড়া চালকদের খাবার, জ্বালানি ও কম্বল বিতরণ করেছে কর্তৃপক্ষ। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিদে সুগা মন্ত্রিপরিষদের জরুরি বৈঠক ডেকেছেন এবং জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
জাপানের কিয়োডো নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কানেটসু এক্সপ্রেসওয়ের একাধিক স্থানে যানজটের খবর পাওয়া গেছে। গত বুধবার রাতে একটি ট্রেলার (বড় আকারের ট্রাক) তুষারে আটকে গেলে এ যানজট সৃষ্টি হয়।
বুধবারের ওই তুষারপাত এ বছরের তীব্র ঠান্ডা পড়ার ঘটনা, যা সপ্তাহের শেষ পর্যন্ত চলতে পারে।
পুলিশ ও হাইওয়ে অপারেটর ইস্ট নিপ্পন এক্সপ্রেসওয়ে কোম্পানির বরাত দিয়ে কিয়োডো নিউজের আরেকটি প্রতিবেদনে বলা হয়, কানেটসু এক্সপ্রেসওয়ের একটি পয়েন্টে যানজট সাড়ে ১৬ কিলোমিটার ছাড়িয়ে গেছে। ভারী যন্ত্রপাতির পাশাপাশি শ্রমিকদের সহযোগিতায় তুষাররের স্তূপ থেকে গাড়িগুলোকে বের করার চেষ্টা চলছে। স্থানীয় সময় আজ শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত প্রায় এক হাজার গাড়ি আটকে ছিল।বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার রাতে বার্তা সংস্থা এএফপিকে নিগাতা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার একজন কর্মকর্তা বলেছেন,‘ আমরা চালক ও যাত্রীদের উদ্ধারের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। রাতেও উদ্ধারকাজ চালিয়ে যেতে প্রস্তুত আমরা।’
এ ধরনের আরেকটি যানজট সৃষ্টি হয়েছে পাশের জোশিনেতসু এক্সপ্রেসওয়েতে। সেখানে ৩০০ গাড়ি আটকা পড়েছিল। বুধবার থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ওই যানজট স্থায়ী হয়েছিল।
দেশটির আবহাওয়া সংস্থা সূত্রে জানা গেছে, বুধবারের ওই তুষারপাত এ বছরের তীব্র ঠান্ডা পড়ার ঘটনা, যা সপ্তাহের শেষ পর্যন্ত চলতে পারে। গত বুধবার সন্ধ্যা থেকে শুরু হওয়া তুষারঝড়ে দেশটির উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলে প্রায় ১০ হাজার ঘরবাড়ি বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
জাপান যখন করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলা করছে, তখন এই তীব্র তুষারঝড়ের কবলে পড়তে হলো দেশটিকে। এতে দেশটির হাসপাতালগুলোর ওপর ব্যাপক চাপ সৃষ্টি হয়েছে।