মোঃ হাবিবুল্লাহ খান রাব্বী :
মহিপুরে চান্দিনা ভিটি জোর পূর্বক দখল করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ১৩মে সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে মোসাঃ সালমা বেগম অভিযোগ করে বলেন, তিনি পার্শ্ববর্তী বাড়িতে যায়, এদিকে বিপিনপুর গ্রামের মাহাবুব মুসুল্লী, মিরাজ মুসুল্লী ও স্বপন মুসুল্লী জোর পূর্বক তাদের ভাড়া টিয়া ঘরের তালা ভেঙ্গে ঘরের প্রবেশ করে এবং ঘরের বেড়ার টিন ছুটিয়ে তাদের নিজেদের ঘরের তালা ছুটিয়ে ঘরে ঢুকে খাটের বিছানা পত্র উল্টিয়ে কিছু না পেয়ে আলমিরা থেকে নগদ ২০ হাজার টাকা ও একটি স্বর্নের চেইন ও একটি আংটি নিয়ে যায়। সন্ধ্যার দিকে বাসায় এসে ঘরের বেহাল দশা দেখে বাজারের কতিপয় লোক ডেকে তাদেরকে দেখিয়ে স্বাক্ষী রেখেছেন।
বাজারের ভিটি সংক্রান্ত বিষয়ে মোকাম কলাপাড়া বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করা করা হয়েছে। মামলাটি তদান্তধিন রয়েছে। তদন্তের শেষ তারিখ ৩১-০৫-২২ইং। তদন্ত প্রতিবেদনের পূর্বেই পুলিশের সহযোগিতায় দখল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে।
মোঃ নুরুল হক জানিয়েছেন ওই ভিটির মালিক মোঃ সেলিম হাওলাদারের কাছ থেকে ২০১৬ সালে তিনি ক্রয়সূত্রে মালিক। সেই কাগজ পর্যন্ত দারোগার কাছে দেয়া হয়েছে। বর্তমানে মাহাবুব মুসুল্লীর কাছ থেকে টাকা পয়সা খেয়ে প্রশাসনিক শক্তির জোর খাটিয়ে জোর পূর্বক দখল করে দিয়েছে ওদেরকে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত বিপিন পুর গ্রামের আপ্তার উদ্দিন মুসুল্লীর পুত্র মাহাবুব মুসুল্লী জানিয়েছেন, তিনি ভিটি মালিক সেলিম হাওলাদার এর কাছ থেকে ক্রয় করেছেন। সে সময় স্বাক্ষী হিসাবে বাজার কমিটির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ খলিলুর রহমান ও মহিপুর এস আর ও এস বি সমিতি লিঃ এর সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন দুলাল উপস্থিত ছিলেন এবং তাদের স্বাক্ষর রয়েছে। উক্ত কাগজ প্রতিবেদন তৈরী করার স্বার্থে মাহাবুব মুসুল্লীর কাছে চাইলে তিনি দিবো দিবো বলে দেয়নি। পরিশেষে ঘর দখলের সময় সড়েজমিনে গেলে কাগজের ব্যাপারে আলাপ করলে তিনি বলেন, কাগজ থানায় আছে।
এব্যাপারে ডাঃ রুহুল আমিন দুলাল বলেন, চান্দিনা ভিটি পূর্বে বিক্রি হয়েছে কিনা তা জাচাই বাছাই করার কোনো জায়গা নেই, ফলে ভিটির মালিক সেলিম যখন মাহাবুব মুসুল্লীর কাছে বিক্রি করেছেন তখন তারা উপস্থিত ছিলেন এবং স্বাক্ষী হিসাবে স্বাক্ষর করেছেন। পরবর্তীতে নুরুল হক কবিরাজ জানিয়েছেন তার কাছে সেলিম উক্ত ভিটি ২০১৬ সালে বিক্রি করেছে।
এদিকে মাহাবুব মুসুল্লী বাদী হয়ে মহিপুর থানায় বাজারের ভিটি তার এ মর্মে অভিযোগ করলে, মহিপুর থানার এস আই বেল্লাল হোসেন বিবাদী নুরুল হককে তার কাগজ পত্র দেখাতে বললে, ভিটি তার তা প্রমাণ করতে না পাড়ায় এস আই বেল্লাল ঘর ভাড়াটিয়া ক্রোকারিজ বেল্লালের কাছ থেকে ঘরের চাবি নিয়ে মাহাবুব মুসুল্লীর দখলে দিয়ে দেয়।
এ ঘটনায় ঘর ভাড়াটিয়া বেল্লাল জানিয়েছেন, মহিপুর থানার এস আই বেল্লাল ঘরের চাবি চাইলে, পুলিশের সাথে ঝামেলায় জড়াবেনা বলে দারোগার কাছে চাবি দিয়েদেন।
অভিযোগকারী সালমা বেগম আরো জানান, বিবাদীরা রমাজানের মধ্যে থানায় অভিযোগ করে। এস আই বেল্লাল বলেছেন রমজানের মধ্যে নয়, ঈদের পরে এ নিয়ে বসবেন। কিন্তু ঈদের পরেও বসেনি ফলে তার স্বামী ঢাকায় চাকুরী করে বিধায় ঢাকা চলে যায়। এদিকে সুযোগ বুঝে ভিটি দখল করে নেয়া হয়েছে। বর্তমানে ১৪ মে সকালে মাহাবুব মুসুল্লী তার পরিবার নিয়ে পুরোটাই দখল করে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে এস আই বেল্লালের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নুরুল হকের কাছে কাগজ পত্র দেখতে চাইলে, দেখাতে পারেনি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে মূল মালিক সেলিমের কাছে জানতে চাইলে তাকে জানিয়েছেন, নুরুল হক কবিরাজের দলিল ভ‚য়া ও জাল-জালিয়াতি। টাকা পয়সার বিনীময় দখল করে দিয়েছেন! এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ওটা সম্পূর্ন মিথ্যা।