পটুয়াখালীর মহিপুর থানার ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের ছাপড়া খালের ওপর গার্ডার সেতু নির্মানের জায়গা নির্ধারন নিয়ে চলছে মতের অনৈক্য। স্থান নির্ধারন ও বরাদ্ধকৃত সেতুটি অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার
অপচেষ্টা চালাচ্ছে একটি মহল। এরকমটা হলে দুর্ভোগে পড়বে কয়েকশ পরিবারের মানুষ। ব্যাঘাত ঘটবে কয়েক হাজার একর জমির চাষাবাদ। তাই নির্ধারন করা জায়গায়ই ব্রিজটি চান এলাকাবাসী।
জানা যায়, ছাপড়া খালের উপর একটি কাঠের সাঁকো দিয়ে দৈনন্দিন শিশু কিশোর বয় বৃদ্ধ ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষকসহ সাধারন মানুষদের পারাপার হতে হয়। অসুস্থ রোগীসহ সাধারন মানুষের চলাচল করতে ভোগান্তী পোহাতে হয়। এ কারনে দীর্ঘদিন ধরে ওই খালের ওপর সেতু নির্মানের দাবি করে আসছেন এলাকাবাসী।
গত ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে মিরপুরের এই ছাপড়া খালের ওপর ১ কোটি ১৪ লাখ দুইশ এক চল্লিশ টাকা ব্যায় নির্ধারন করে ১৫ মিটার দৈর্ঘ্যরে একটি গার্ডার সেতু নির্মান প্রকল্পের বরাদ্ধ হয়। সিডিউল অনুযায়ী স্থান ঠিক থাকলেও অন্যত্র স্থানান্তর করতে উঠে পড়ে লেগেছে একটি চক্র। দীর্ঘকাল ভূক্তভোগীদের প্রত্যাশিত সেতু বরাদ্ধ হলেও বর্তমানে তা বাস্তবায়ন নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। নির্ধারিত জায়গায় সেতু নির্মানের কথা থাকলেও অন্য স্থানে সরিয়ে নেওয়ার গুঞ্জন শুরু হলে স্থানীদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশার সৃষ্টি হয়। তাই সিডিউল অনুযায়ী ব্যক্তি ও খালের নাম ঠিক রেখে প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ডালবুগঞ্জ ও মিরপুর এলাকার মানুষের যাতায়াত করাসহ কৃষি কাজে ব্যাপক উন্নতি হবে এমন
প্রত্যাশা স্থানাীয়দের।
মিরপুর ফজলুল করিম ক্বেরাতুল ক্বুরআন হাফিজিয়া মাদরাসা শিক্ষক মো. মাজহারুল ইসলাম বলেন, আমি এপার মাদরাসায় চাকরী করি আর ডালবুগঞ্জের ওপার মসজিদে ইমামতি করি। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়াইতে দশ বার খালের সাঁকো পার হতে হয়। এই জায়গায় একটি ব্রীজ হইবে শুনছি এখন আবার শুনি অন্য জায়গায় লইয়া যাইবে। আমরাতো তাহলে অনেক বিপদে পড়মু। এব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. বাবুল গাজী বলেন, মিরপুর গ্রামের তিন পাশেই ছাপড়া খাল। এই জায়গায় যে সেতু হওয়ার কথা শুনছি অতীব জরুরীভাবে তা দরকার।
ঠিকাদার মো. আবদুল বারী জানান, আমি সিডিউল অনুযায়ী যেভাবে উল্লেখ আছে, সেই স্থানেই প্রকল্প নির্মান করবো। এর বাইরে করার ক্ষমতা আমার নাই। কেউ বললেও আমি তা করতে পারবো না। এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মোকসেদুল আলম বলেন, ডালবুগঞ্জ এলাকায় যে গার্ডার সেতু প্রকল্পের স্কীম করা হয়েছে এবং কোন জায়গায় থেকে করা হয়েছে তার সত্যতা যাচাই করে সরেজমিনে উপস্থিত হয়ে সিডিউল অনুযায়ী প্রকল্পের বাস্তবায়ন করা হবে।