হাফিজুর রহমান আকাশ, কুয়াকাটা থেকে,
পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটায় করোনার প্রভাব বিস্তার রোধে সরকারি নিষেধাজ্ঞার পরে শতাধিক হোটেল-মোটেল বন্ধ রয়েছে। জীবন-যাত্রায় এক ধরনের স্থবিরতা নেমে এসেছে। কোথাও নেই প্রাণচাঞ্চল্য। সবকিছু স্থবির হয়ে গেছে। নিত্য আয়ের মানুষসহ মধ্যবিত্তরা এমনিতেই টানাপড়েনে দিন কাটাচ্ছেন।
এরমধ্যে ১৪ এপ্রিল থেকে আবারও কঠোর লকডাউনের ঘোসনা দিয়েছে সরকার। কিন্তু কিস্তি আদায়ের দৌরাত্ম থামেনি। সোমবার সকাল থেকে কুয়াকাটাসহ কলাপাড়া উপজেলায় সকল এনজিও তাঁদের ঋণের কিস্তি আদায় করছে। কিন্তু কিস্তি আদায় থেমে নেই। শুধু এনজিও নয়, উপজেলা সমাজসেবা এবং সমবায় অফিসের নিবন্ধিত সমবায় সমিতিগুলো নিজেদের মতো পরিচালিত ঋণের দৈনিক, সাপ্তাহিক, পাক্ষিক ও মাসিক কিস্তি আদায় অব্যাহত রেখেছে। এমনকি সূদী মহাজনরাও দোকানে দোকানে গিয়ে কিস্তি আদায় অব্যাহত রেখেছে। মাঠ পর্যায়ে যথাযথ মনিটরিং না থাকায় সরকারের দেয়া সেবা পায়না সাধারণ মানুষ। অনেকে অভিযোগ করেছে নিত্য পণ্রের দাম বেড়েছে। ঘোড়া আমখোলার ভ্যান চালক আবুল হোসেন (বাদশা মিয়া) জানান, এহন আর আগের মত টিরিপ অয়না। আবার পুলিশ আইলে লড়ায় হেইতে ভয় হরে। মানুষ ও নাই বাজারে। কাইলগো ১৫০ টাহা পাইছি হ্যা দিয়া চাউল কিনছি। কিস্তি কেমনে দিমু আল্লায় জানে।