মোঃ মজিবর রহমান শেখ, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি:
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উন্নয়ন বরাদ্দের অর্থে দূর্নীতির আশ্রয় নিয়ে পাঠাগার গড়ার নামে বিতর্কিত ও শিশুদের পড়ার অনুপযোগী গল্পের বই ও উপকরণ বিদ্যালয়ে পৌঁছে দিচ্ছে একটি মহল। প্রায় এক কোটি সরকারি বরাদ্দের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চক্রান্তে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ৪০৭ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিটিতে এসব গল্পের বই পৌঁছে দিতে মেতে উঠেছে চিহ্নিত একটি মহল বলে অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি দূর্নীতি দমন কমিশন সহ বিভিন্ন দপ্তরে জনৈক শিক্ষকের অভিযোগের পর দূর্নীতির বিষয়টি সামনে আসে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কতিপয় প্রধান শিক্ষক জানান, “ক’দিন পূর্বে ‘বালিয়াডাঙ্গী খেলা ঘর’-এর স্বত্ত্বাধিকারী মাসুদ হাসান ও শফিউল ইসলাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যাালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম ফারুক এবং বাকুন্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এস.কে মানিক শামিম কিছু বিদ্যালয়ে এ সকল গল্পের বই ও উপকরণ প্রথমে পৌঁছে দিলেও অভিযোগ হওয়ার পরে তাঁরা আর সরাসরি এসব গল্পের বই ও উপকরণ পৌঁছে দিচ্ছেন না। বর্তমানে চক্রটির সহায়তায় প্রতিটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নামে সরাসরি ঢাকা থেকে কুরিয়ার সার্ভিসযোগে গল্পের বই পৌঁছে যাচ্ছে কাঙ্খিত ঠিকানায়।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ৪০৭ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিটিতে ১৫ হাজার টাকার গল্পের বই এবং সাড়ে ৩ হাজার টাকার শিক্ষা উপকরণ নিতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বাধ্য করে প্রাথমিক শিক্ষার সাথে জড়িত মহলটি। ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের প্রাথমিক শিক্ষার বিদ্যালয় উন্নয়ন বরাদ্দের অর্থ উত্তোলনের পূর্বেই এ চক্রটি প্রায় কোটি টাকার বাণিজ্য টার্গেট করে এসব গল্পের বই আর শিক্ষা উপকরণ কৌশলে বিদ্যালয়ে বিদ্যালয়ে পৌঁছে দিচ্ছে।
যে সব বই যাচ্ছে স্কুলে স্কুলে: একটি সূত্র জানায়, ভিশন পাবলিকেশন্স-এর সাথে চুক্তিবদ্ধ হবার সাথে সাথে বিদ্যািলয়ের জন্য এ একটি বইয়ের তালিকা প্রকাশনীটি চক্রটির হাতে তুলে দেয়। তালিকাটিতে প্রতিটি বইয়ের দাম ২শ’ টাকা থেকে ১ হাজার ৪শ’ ৫০ টাকা পর্যন্ত দেখানো হয়। সব মিলিয়ে বিভিন্ন আইটেমের বইয়ের দাম সর্বমোট ২৫ হাজার টাকা উল্লেখ করা হলেও শতকরা ৪০ ভাগ কমিশন দেখিয়ে ১৫ হাজার টাকা পরিশোধ মূল্যশ দেখানো হয় ঐ ভাউচারে।
বইয়ের সাথে এ ভাউচারটি প্রতিটি বিদ্যালয়ের পাঠানো হয়। আর এ ভাউচারটি ব্যওবহার করে প্রধান শিক্ষকগণ ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের প্রাথমিক শিক্ষার বিদ্যালয় উন্নয়ন বরাদ্দ (স্লিপ ফান্ড) থেকে বিল প্রস্তুত করে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের মাধ্যোমে টাকা উত্তোলন করে সহকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কিংবা শিক্ষক নেতৃবৃন্দের হাতে তুলে দেওয়ার কথা! প্রধান শিক্ষকদের সাথে যোগাযোগ করে বিদ্যালয়ের গিয়ে দেখা গেছে, পাঠানো বইয়ের মধ্যে জাফর ইকবালের ‘তবুও টুনটুনি’, হুমায়ুন আহমেদ-এর ‘একজন হিমু, নিশিকাব্যা’, অদ্বৈত মল্ল বর্মন-এর ‘তিতাস একটি নদীর নাম’, যাযাবর-এর ‘দৃষ্টিপাত’, বিভূতিভূষণ বন্দ্যো পাধ্যায়-এর ‘আদর্শ হিন্দু হোটেল’, ‘অসনি সংকেত’, প্রবীর ঘোষ-এর ‘মনের নিয়ন্ত্রণে যোগ মেডিটেশন’, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-এর ‘বিসর্জন’, ‘সোনার তরী’, ‘গীতাঞ্জলি’, মানিক বন্দ্যো পাধ্যােয়-এর ‘পদ্মা নদীর মাঝি’, ডা. রমেন মজুমদার-এর ‘ডায়াবেটিস-এ সব খাবেন’, ড. লুৎফর রহমান-এর ‘ধর্ম জীবন, ‘মানব জীবন’, ‘মহা জীবন’, হারুন-অর-রশীদ-এর ‘এই আমাদের বাংলাদেশ’, ছোটদের জগদিশ চন্দ্র বসু’, ‘ছোটদের সুভাস চন্দ্র বসু’, ডা. শ্যা মল চক্রবর্তীর ‘কোন অসুখে কী খাবেন’, ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য । ভিশন পাবলিকেশন্স-এর সরবরাহকৃত তালিকাটিতে মোট ৫২টি বইয়ের নাম উল্লেখ করা হয়। অনেক শিক্ষক বলছেন, “সরবরাহকৃত এ সব বইয়ের অধিকাংশ বিগত আওয়ামী দোসরদের লেখা এবং প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের পড়ার জন্য উপযোগী নয়- শুধু সরকারি অর্থের অপচয় ছাড়া আর কিছুই নয়, আমরা নিরূপায়” । কী ভাবে ব্যবসার টার্গেট নেওয়া হয়: প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বিদ্যালয় উন্নয়ন পরিকল্পনা (স্লিপ) এ প্রতি বছরের ন্যা য় ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে প্রতিটি বিদ্যালয়ে ন্যূনতম ৭০ হাজার ৫ শ’ ৬ টাকার বরাদ্দ পায়। এ অর্থ পেতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সহ স্লিপ প্রণয়ন কমিটি বিদ্যালয়ের বিপরীতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে অনলাইনে একটি উন্নয়ন পরিকল্পনা দাখিল করতে হয়। এ অর্থ দিয়ে বিদ্যালয়ের কী কী উন্নয়ন কাজ করা হবে- তা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ‘আইপেমিস’ সফ্টওয়্যা,রে সাবমিট করার পর সহকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার(এইউপিইও) কে অনুমোদন করতে হয়। এ সুযোগে সে সময় ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে সিনিয়র সহকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোকাদ্দেস ইবনে সালাম, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের দায়িত্বে থাকাবস্থায় প্রধান শিক্ষকদের মাসিক সমন্বয় সভায় মৌখিকভাবে প্রধান শিক্ষকদের বিদ্যালয় উন্নয়ন পরিকল্পনায় লাইব্রেরী স্থাপনের নির্দেশনা প্রদান করেন।
এরই প্রেক্ষিতে প্রধান শিক্ষকগণ বিদ্যালয় উন্নয়ন পরিকল্পনায় লাইব্রেরী স্থাপনের বিষয়টি অনলাইনে অন্তর্ভূক্ত করতে বাধ্য হন। এদিকে সহকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সৈয়দ মোকাদ্দেস ইবনে সালাম, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে কর্মরত অপরাপর সহকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারবৃন্দকে ম্যানেজ করে প্রতিটি বিদ্যালয়ের গল্পের বই সরবরাহের বিষয়টি হাতে নিয়ে ‘ভিশন পাবলিকেশন্স’ নামে একটি প্রকাশনীর সাথে চুক্তিবদ্ধ হন। সাথে সাথে প্রকাশনীটি তাঁদের হাতে একটি বইয়ের তালিকা ধরিয়ে দেয়। বইয়ের তালিকাটি প্রকাশ হবার সাথে সাথেই ঠাকুরগাঁও সদরে শিক্ষকদের মাঝে হইচই শুরু হয়।
একটি সূত্র জানায়, বিগত সরকারের আমলে একটি চক্র প্রাথমিক বিদ্যালয় সমুহে বই সরবরাহের জন্যর ঐ প্রকাশনীর সাথে চুক্তিবদ্ধ হলে প্রকাশনীটি প্রচুর গল্পের বই ছেপে ফেলে-যার অধিকাংশ গল্পের বই বিতর্কিত লেখকের এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পড়ার উপযোগী নয়। বিগত আওয়ামী সরকার পতনের পর ঐ চক্রটি বিদ্যালয় এ সকল বই সরবরাহ করার সুযোগ না পাওয়ায় প্রকাশনীটির গোডাউনে লক্ষ লক্ষ বই পরিত্যকক্ত অবস্থায় থেকে যায়। ঐ প্রকাশনীটি ঠাকুরগাঁওয়ের এ চক্রটিকে নামে মাত্র অর্থে বিদ্যালয়ের বাকীতে গল্পের বই পৌঁছে দেওয়ার চুক্তিতে চুক্তিবদ্ধ হয়। স্লিপের বিল পাওয়ার সাথে সাথে প্রধান শিক্ষকদের কাছ থেকে সহকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারবৃন্দ নিজ নিজ ক্লাস্টার থেকে এ সকল বইয়ের অর্থ দ্রুত সংগ্রহ করে ভাগ-বাটোয়ারা করার কথা! নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কতিপয় প্রধান শিক্ষক জানান, এ সকল অফিসারবৃন্দের সাথে হঠাৎ গজিয়ে উঠা দু’তিনজন শিক্ষক নেতাও এ দূর্নীতি কান্ডের সাথে জড়িত! ব্যবসার সাথে কারা জড়িত: ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসের পূর্বেই সারা দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিপরীতে বিদ্যালয় ভিত্তিক উন্নয়ন পরিকল্পনা (স্লিপ)’র প্রথম কিস্তির (অর্ধেক) অর্থ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর হতে প্রতিটি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে বরাদ্দ ছাড় করা হয়। তার পরপরই ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রুনা লায়লা অন্যথায় বদলি হলে সিনিয়র সহকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সৈয়দ মোকাদ্দেস ইবনে সালাম, ভারপ্রাপ্ত উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
৩১ ডিসেম্বর এর মধ্যে বিল-ভাউচার দাখিল সাপেক্ষে প্রথম কিস্তির অর্থ বিদ্যালয়ের যৌথ একাউন্টের অনুকূলে ছাড় দেওয়ার কথা। ঠিক তখনই তাঁর নেতৃত্বে একটি চক্র এ অর্থ কৌশলে লুটপাটের পরিকল্পনায় মেতে উঠে। স্থানীয় কতিপয় শিক্ষক নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে স্থানীয় হোটেল রয়েল লাউঞ্জে একটি প্রাথমিক আলোচনা হয়। ঐ আলোচনায় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের অপরাপর সকল সহকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এবং স্থানীয় শিক্ষক নেতা জুলফিকার আলী সহ বেশ কয়েকজন শিক্ষক অংশ নেন বলে জানা গেছে। সেখানেই এ অর্থ ব্যায়ের ও ভাগ-বাটোয়ারার একটি পরিকল্পনা করা হয়। পরবর্তীতে প্রধান শিক্ষকগণের মাসিক সমন্বয় সভায় পরিকল্পনা মোতাবেক প্রতিটি বিদ্যাংলয়ে পাঠাগার স্থাপনের বিষয়টি ভারপ্রাপ্ত উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সৈয়দ মোকাদ্দেস ইবনে সালাম, মৌখিকভাবে সকল প্রধান শিক্ষকগণকে নির্দেশনা প্রদান করেন। প্রধান শিক্ষকগণ নিরূপায় হয়ে পাঠাগার স্থাপনের বিষয়টি বিদ্যালয় ভিত্তিক উন্নয়ন পরিকল্পনা (স্লিপ)-এর অন্তর্ভূক্ত করতে বাধ্যা হন। এ বিষয়ে সহকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সৈয়দ মোকাদ্দেস ইবনে সালাম-এর সাথে যোগাযেোগ করা হলে তিনি এ প্রতিবেদককে জানান, “প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়নে সকলের সাথে আলোচনা করে প্রতি বিদ্যালয়ের পাঠাগার স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।” শিক্ষক নেতা জুলফিকার আলী বলেন, “আমি এ রকম একটি দূর্নীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকতে পারি না।”
স্লিপ গাইডলাইনে যা আছে: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গত ২১ নভেম্বর,২০২৩ খ্রি. তারিখের ৩৮.০০.০০০০.০১৪.১৪.০০৭,২০.২৩৯ নং স্মারকের সর্বশেষ ‘ বিদ্যালয় পর্যায়ে উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন নির্দেশিকার ১৩.৫.১ অনুচ্ছেদে স্লিপ অনুদান হতে ব্যনয়যোগ্য ১৭টি কার্যক্রম/খাতসমুহ স্পষ্টভাবে বেঁধে দেওয়া থাকলেও ঐ নির্দেশনায় পাঠাগার স্থাপন কিংবা গল্পের বই ক্রয়ের কোনো নির্দেশনা নেই। মন্ত্রণালয়ের এ নির্দেশনা উপেক্ষা করে বিদ্যালয় পর্যায়ে উন্নয়ন পরিকল্পনা বরাদ্দের অর্থে মোটা অংকের টাকা ব্যয়ের পরিকল্পনা করে চক্রটি। ঠাকুরগাঁও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোফাজ্জল হোসেন-এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,“ আমি এ বিষয়ে কিছুই জানতাম না। স্লিপের অর্থ দিয়ে কী কী কাজ করা যাবে-তা স্লিপের গাইডলাইনে স্পষ্ট উল্লেখ আছে। এর বাইরে গিয়ে এ ধরণের কাজ সমর্থনযোগ্য নয়। ইদানিং এ বিষয়টি শুনেছি। অভিযোগ প্রমাণিত হলে জড়িতদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যিবস্থা গ্রহণ করা হবে।”যাঁর অভিযোগে দূর্নীতির বিষয়টি সামনে আসে: প্রধান শিক্ষকগণের মাসিক সমন্বয় সভায় ভারপ্রাপ্ত উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সৈয়দ মোকাদ্দেস ইবনে সালাম মৌখিকভাবে লাইব্রেরী স্থাপন ও গল্পের বই সরবরাহের বিষয়টিতে নির্দেশনা প্রদানের পরপরই শিক্ষকগণের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। ঐ সভায় এ প্রক্রিয়ায় বই সরবরাহের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি’র ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও মধুপুর খাঁপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যােলয়ের প্রধান শিক্ষক ইমাম গাজ্জালী মাসুম তাৎক্ষণিকভাবে বিরোধিতা করেন। তবুও ঐ চক্রটি পাঠাগার স্থাপনের নামে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার প্রতিটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কৌশলে এ সকল গল্পের বই সরবরাহ অব্যািহত রাখে। পরবর্তীতে, ১৬ মার্চ ইমাম গাজ্জালী মাসুম ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সৈয়দ মোকাদ্দেস ইবনে সালামের একাধিক দূর্নীতির বিষয়ে ঠাকুরগাঁও দূর্নীতি দমন কমিশন ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দাখিল করলে গোটা ঠাকুরগাঁও জেলায় প্রাথমিকের উন্নয়ন বরাদ্দের কোটি টাকার দূর্নীতি নিয়ে চাঞ্চল্যদ সৃষ্টি হয়।
এলাকাবাসী এ দূর্নীতি রোধে সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান।