মো: হাবিবুল্লাহ খান রাব্বী :
বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপনে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের লীলাভূমি খ্যাত কুয়াকাটা সৈকতে আজ সকাল থেকেই দেশের নানা প্রান্ত থেকে আগত পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। ‘পহেলা বৈশাখ’ ঘিরে কুয়াকাটা যেন রঙে, আলোয়, সংস্কৃতির ছোঁয়ায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
আজ সূর্য ওঠে ভোর ৫টা ৪৮ মিনিটে, আর সেই অপূর্ব মুহূর্তকে ধারণ করতে সৈকতে ভিড় জমে রাত থেকেই। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে অনেকেই হাতে লাল-সাদা পতাকা, মাথায় ফুলের মালা আর মুখে বর্ষবরণের গান নিয়ে উল্লাসে ফেটে পড়েন। ঐতিহ্যবাহী পান্তা-ইলিশ, বাঙালি সাজ, সকালে পৌর প্রশাসকের উদ্যোগে মঙ্গল শোভাযাত্রা ও নৃত্যগীতের মধ্য দিয়ে পর্যটকেরা দিনব্যাপী আনন্দে মেতে উঠেন।
ঢাকা থেকে আসা পর্যটক আসাদুজ্জামান জানান, “কুয়াকাটার সূর্যোদয় দেখার অভিজ্ঞতা অন্যরকম। বছরের শুরুটা এমন একটি দৃশ্য দিয়ে করতে পারাটা সত্যিই সৌভাগ্যের বিষয়।”
পটুয়াখালী জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সৈকত ও আশপাশে বাড়ানো হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল। এছাড়া, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও ট্যুরিস্ট পুলিশ পর্যটকদের সহায়তায় সর্বদা সক্রিয় রয়েছেন।
কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. আঃ মোতালেব শরীফ জানান, “বর্ষবরণ উপলক্ষে হোটেল মোটেলগুলো প্রায় পূর্ণ। আমরা আশা করছি এবারের পহেলা বৈশাখে পর্যটকদের উপস্থিতি মোটা মুটি ভালো হবে।”
সূর্যোদয়ের সময় কুয়াকাটার পূর্ব দিগন্তজোড়া আকাশ পর্যটকদের মুগ্ধ করে সূর্যোদয়ের অপরূপ দৃশ্য অবলোকন করে। অপরদিকে সূর্যাস্তের সেই লাল আভা যেন নববর্ষের রঙে নতুন করে রাঙিয়ে দেয় সবার মন।