হাফিজুর রহমান আকাশ, কলাপাড়া উপজেলা প্রতিনিধি।।
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা-সংলগ্ন লতাচাপলী ইউনিয়নের দিয়ার আমখোলা এলাকার একটি কালভার্ট ভেঙে খালে পড়ে যায় আষাঢ় মাসে তখন লতাচাপলী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আনছার উদ্দিন মোল্লা ও ওই ওয়ার্ড এর ইউপি সদস্য মোঃ হারুন অর রশিদ এর উদ্যোগে প্রথমে কাঠ ও পরে মাটি দিয়ে চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়। আজ জোয়ারের পানির স্রতে আবার ও বাঁধ টি বেঙ্গে যায়। বর্ষার অজুহাতে এটি পুনর্নির্মাণে কোনো উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। এতে ছয়টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী চরম দুর্ভোগে পড়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, লতাচাপলী ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের মাঝ দিয়ে চলে গেছে কুয়াকাটা খানাবাদ ডিগ্রি কলেজ থেকে শুরু হয়ে মুসুল্লিয়াবাদ ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসা পর্যন্ত দিয়ার আমখোলা সড়ক। এই সড়কের আশপাশেই রয়েছে পশ্চিম দিয়ার আমখোলাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, অঞ্জুপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মুসুল্লিয়াবাদ এ কে মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং একটি নুরানি মাদরাসা। জনগুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তার কালভাটর্টি ভেঙে যাওয়ায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা চলাচলে বেশ সমস্যায় পড়েছেন।
এ অঞ্চলের নারীদের চিকিৎসার একমাত্র আশ্রয়স্থল আজিমপুর কমিউনিটি ক্লিনিক, যেখানে যেতে হয় এই রাস্তা দিয়ে। এ ছাড়া দেশের দক্ষিণ উপকূলের অলংকারখ্যাত রাখাইন সম্প্রদায়ের আবাসস্থল এ রাস্তার পাশে অবস্থিত। পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটায় আসা পর্যটকরা রাখাইনদের সংস্কৃতি ও হস্তচালিত তাঁতশিল্প দেখতে এখানে আসেন। কালভার্টটি না থাকায় সবাইকে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।
এলাকাবাসী জানান, কুয়াকাটা খানাবাদ ডিগ্রি কলেজ থেকে মুসুল্লিয়াবাদ এ কে মাধ্যমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত চার কিলোমিটার রাস্তা এখনো পাকা হয়নি। বর্ষা মৌসুমে হাঁটুসমান কাদা হয়। ফলে এ রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করা খুবই কষ্টকর। বৃষ্টি থাকলে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে যেতে পারে না। কাঁচা রাস্তার দুর্ভোগের সঙ্গে যোগ হয়েছে ভাঙা কালভার্ট।
আবু জাফর বলেন, কালভার্ট ভাঙার পর আমরা একটি খেজুরগাছ দিয়ে চলাচল করছি। এখানে পড়ে গিয়ে এক এনজিও কর্মীর পা ভেঙে গেছে। এখন এটাকে যদি সংস্কার করা না হয়, তাহলে আরও বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আমার ছেলের স্কুলে পরিক্ষা চলছে কিন্তু সে যেতে পারছে না।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, এই রাস্তায় কাদা হওয়ার কারণে তারা বর্ষাকালে নিয়মিত স্কুলে যেতে পারে না। তারা কালভার্ট নির্মাণের পাশাপাশি রাস্তাটি পাকা করার দাবি জানায়।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য হারুন অর রশিদ ভদ্র বলেন, চলতি বছর দুপাশের খাল খনন করা হয়েছে। অতিরিক্ত পানির স্রোতে কালভার্টটি ভেঙে গেছে। উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এটি মেরামতের আশ্বাস দিয়েছেন। আমি ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিলে প্রথমে কাঠ পরে মাটি দিয়ে চলাচলের ব্যবস্থা করেছিলাম এখন আবারও বেঙ্গে গেছে। তবে এখন বিশ ফুটেরও বেশি বেঙ্গে পরেছে। লতাচাপলী ইউনিয়ন চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছি।
লতাচাপলী ইউপি চেয়ারম্যান মো. আনছার উদ্দিন মোল্লা বলেন, কালভার্টটি সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে অবহিত করা হয়েছে।