নির্ভুল বার্তা ডেস্ক:
কুয়াকাটার আলীপুর নব্বই উর্ধ এক বিধবা মায়ের মাথা গোজার ঠাই টুকু প্রভাবশালীদের কবল থেকে রক্ষায় প্রশাসন সহ বিভিন্ন জনের দ্বারস্থ হচ্ছেন। অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, খাজুরা নিবাসী ছয়জদ্দিন বেপারীর মৃত্যুতে তার ভিটা বাড়ি বিক্রি দিয়ে স্ত্রী জহরা বিবি আলীপুর নিবাসী হারুন ঘরামীর তিন তলা বিশিষ্ট ৯ হাজার স্কয়ার ফিটের একটি ভবন ক্রয় করে বসবাস শুরু করেন।
সূত্রে জানাযায়, হারুন ঘরামী তার নানা কারণ ও ঠেকাবশত: নগদ টাকার প্রয়োজনে এস এ ৩৪ নম্বর জে,এল লতাচাপলী মৌজার ১০৪২ নম্বর খতিয়ানের ৯৪৪ ও ৯৪৯ নম্বর দাগের মধ্যে ০.০৭১০ একর জমির উপর নির্মিত তিন তলা বিশিষ্ট ৯ হাজার স্কয়ার ফিটের একটি ভবন বিক্রয় করার প্রস্তাব দেন। পরে খাজুরা নিবাসী প্রয়াত ছয়জদ্দিন বেপারীর বিধবা স্ত্রী জহরা বিবি তার স্বামীর শেষ সম্বল টুকু বিক্রি দিয়ে সুখে শান্তিতে থাকার জন্য ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা মূল্য নির্ধারণ সাপেক্ষে কুয়াকাটা পৌরসভার সাবেক পৌর মেয়র ও পৌর আ‘লীগ সভাপতি আ: বারেক মোল্লার মাধ্যমে ১১ জুলাই নগদ ১ কোটি ৫ লাখ টাকা পরিশোধ করে একটি বায়না চুক্তি পত্র সম্পাদন করে বসবাস শুরু করেন।
কিন্তু ঐ জমি জহরা বিবির সাথে কথা বলার আগে দাতা হারুন ঘরামী বিভিন্ন জনের সাথে জমি বিক্রয়ের কথা বার্তা বলেছেন। তার মধ্যে হেলাল আকন একজন। হেলাল আকন‘র সাথে জমি বিক্রয়ের দর দামে না হওয়ায় বিধবা মায়ের কাছে বিক্রয় করে দেন তিনি। হাফিজুর রহমান সিদ্দিক কুয়াকাটা হুজুর এর ভগ্নিপতি হেলাল আকন এ সংবাদ পেয়ে দাতাকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ক্ষমতার দাপটে প্রভাব খাটিয়ে থানায় নিয়ে সাব-কবলা দলিল না হওয়ার শর্তে একটি মুচলেখা রাখেন এমন অভিযোগ ওই নারীর। হারুন ঘরামী প্রভাবশালী ওই মহল ও প্রশাসনের তোপের মুখে সাব কবলা দলিল দিতে কালক্ষেপন করছেন।
ওই পরিবার সূত্রে জানাযায়, পর্যটন নগরী কুয়াকাটার উন্নয়ন ধারা অব্যহত থাকায় কুয়াকাটা ও তার পাশ^বর্তি জায়গা জমির দাম কয়েকগুণ বেড়ে যায়। ফলে জহরা বিবির বসত ভিটার দাম বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েকগুণ। যেকারণে স্বামীর মৃত্যুতে তাদের বসত ভিটা বিক্রি দিয়ে সে টাকা দিয়ে আলীপুরের ওই ভবনটি ক্রয় করেন তিনি। শেষ সম্বল মাথা গোজার ঠাই টুকু প্রভাবশালীদের কু নজর পড়ায় দিশেহারা বিধবা ওই পরিবারটি। তাই প্রভাবশালীদের ষড়যন্ত্রের কবল থেকে তার ক্রয়কৃত বসত বাড়ি রক্ষায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সু দৃস্টি কামনা করছেন।