কলাপাড়া প্রতিনিধিঃ
কলাপাড়া উপজেলার ৪নং মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নে বনকর্মকর্তাদের দূর্নীতি ধরা হয়েছে এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পূর্ব মধুখালী গ্রামের প্রবীন ব্যাক্তি মোঃ আবুল কাশেম খান বলেন, বেড়িবাঁধের পার্শ্বে বনবিভাগের গাছ রয়েছে এ ছাড়া তাদের বাড়ির সামনে নিজেদের রোপন করা রেন্টিগাছ আছে। কিন্তু বন বিভাগের মার্কিন করা গাছ ছাড়াও তাদের রোপনকৃত গাছ যা মাদ্রাসা ও মসজিদের কাজে ব্যাবহার করার জন্য রাখা হয়েছে। গত ১৬ জানুয়ারী উক্ত গাছ কতিপয় স্থানীয় যুবকরা কাটতে শুরু করে। তাদেরকে বাঁধা দিলে তারা সরকারী ভাবে গাছের কন্টাক্ট পেয়েছে বলে জানায়। কন্টাক্টের কাগজ পত্র দেখতে চাইলে দীর্ঘ দুই থেকে আড়াই বছর পূর্বের কন্টাকের কাগজ দেখান তারা। স্থানীয়রা স্মরনাপন্ন হন বালিয়াতলী বিটকর্মকর্তা ও মহিপুর রেঞ্জ অফিসারের। বিট কর্মকর্তা ওহাব মিয়াও একই কাগজের কন্টাকের কথা বলেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আইউব আলী কাগজ পর্যালোচনা করে দেখেন উক্ত কাগজে মহিপুর রেঞ্চাধীন বালিয়াতলী ফরেষ্ট ক্যাম্পের আওতায় উপকূলীয় সবুজ বেষ্টনী প্রকল্প। এর অর্থায়নে ১৯৯৮-৯৯ সনে পোল্ডার নং – ৪৭/৪ এর পূর্ব মধুখালী মজিদ তালুকদারের বাড়ী স্লুইজ গেট হতে মিঠাগঞ্জ মজিজ মুন্সীর বাড়ী পর্যন্ত ২.৫০ কিঃ মিটার বাধঁ বাগান। এই এলাকা পূর্ব মধুখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থকে প্রায় ১ থেকে দেড় কিঃ মিটার উত্তরে। কিন্তু এলাকার মানুষদেরকে বোকা বানিয়ে বালিয়াতলী ফরেষ্ট ক্যাম্পের বিট কর্মকর্তা ওহাব মিয়া ইজারাদারদের কাছ থেকে উৎকোচের বিনিময়ে পূর্ব মধু খালী হাই স্কুল সংলগ্ন মসজিদ, মাদ্রাসা সহ এলাকার ইজারার পূর্বে সরকারী ভাবে গননা এবং নাম্বার দেয়া হয়নি এমন গাছ কর্তন করিয়ে দূর্নীতি করে যাচ্ছে, যা সুস্পষ্ট।
ওই ইজারাদার হান্নান মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিট অফিসার যেখান থেকে দেখিয়ে দিয়েছেন, সেখান থেকেই তারা গাছ কাটা শুরু করেছেন। এ বিষয় মহিপুর রেঞ্চ কর্মকর্তা মোঃ আবুল কালাম জানিয়েছেন, তিনি নতুন যোগদান করেছেন এ বিষয় পূর্বের কর্মকর্তারা বলতে পারবেন। তিনি আরো বলেন, কাগজ পত্রে উল্লেখ আছে, সে অনুপাতেই কাজ করা উচিৎ বলে তিনি মনে করেন। ৬ টি গাছ কর্তন করা হয়েছে যা ওখানের স্থানীয় ইউপি সদস্য ও প্রবীন ব্যাক্তি মোঃ আবুল কাশেম খানের জিম্মায় রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে দূর্নীতির সাথে জড়িত বালিয়াতলী ক্যাম্পের বিট কর্তা মোঃ ওহাব মিয়ার কাছে জানতে যাওয়া হয় ক্যাম্পে কিন্তু সেখানে তাকে পাওয়া যায়নি। একাধিকবার তার মুঠোফোনে যোগযোগ করার চেষ্টা করলেও ফোনটি রিসিব না করায় তার বক্তব্য দেয়া যায়নি। তবে দূর্নীতির সাথে তার সংশ্লীষ্টতা রয়েছে তা ইজারার কাগজ পত্রে যথেষ্ট প্রমাণ মিলছে। স্থানীয়রা ওই সকল দূর্নীতিবাজ কর্তাব্যাক্তিদের বিচার দাবী করেণ।