কুয়াকাটা প্রতিনিধিঃ
কুয়াকাটায় সৌদি প্রবাসী দেশে ফিরে স্ত্রীর খোঁজ না নিয়ে ভাবীর কু-পরামর্শে নতুন বিয়ের স্বপ্নে বিভোর নিষ্ঠুর স্বামী। বড় ভাবীর চাচাতো বোনকে ছোট দেবরের বধু বানানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে, সু-কৌশলে দেবরের গড়া ১০ বছরের সুখের সংসার ভাংতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বড় ভাবী পারভীন বেগম। ঘটনাটি ঘটছে মহিপুর থানার লতাচাপলী ইউনিয়নের পুনামা পাড়া গ্রামে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ১৬ অক্টোবর লতাচাপলী ইউনিয়নের পুনামাপাড়া গ্রামের আব্দুল মজিদ জমাদ্দারের তিন পুত্র এর মধ্যে ছোট পুত্র মোঃ ছগির জমাদ্দার পার্শ্ববর্তী ধূলাসার ইউনিয়নের গঙ্গামতি গ্রামের মোঃ দেলোয়ার ফকিরের কন্যা মোসাঃ রাবেয়া বেগমের সাথে শরিয়া মোতাবেক বিবাহ হয়।
রাবেয়া বেগম জানান, বাবার বাড়ি ছেড়ে স্বামীর বাড়ি প্রথম দিন পা রাখতে না রাখতেই দেখতে পায় মান-অভিমানের ছড়া-ছড়ি, শশুর-শাশুরী, স্বামী আর দুলাভাই ছাড়া ভাই-বোন ও ভাবিড়া কেউ-ই এ বিয়েতে রাজি ছিলোনা। যাই হোক ঘরে শাশুরী আম্মা অসুস্থ্য বিছানায়, তার সেবাযতœ দিয়ে সংসার জীবন শুরু হয়। বেশ শান্তিতেই চলছিলো আট বছরের দাম্পত্ব্য জীবন এর মধ্যে ৬ বছরের একটি পুত্র সন্তানও রয়েছে। পার্শ্ববর্তী অনেক যুবকরাই বিদেশে কাজ করছে। অতি সুখের আশায় ছগির জমাদ্দারও অনেক স্বপ্ন দেখিয়ে তিনিও সৌদি আরব পাড়ি জমান ১৬ অক্টোবর ২০২১ইং।
স্বামী বিদেশ যাওয়ার পর পরই শুরু হয় বড় ও মেঝো যাল (ভাবী)’র চক্রান্ত। ভালো থাকা, ভালো খাওয়া, স্বজনদের সাথে হেসে কথা বলা- এগুলো তাদের চোখের হাল। আর এসব কিছুই বানোয়াট করে বিদেশে তার স্বামীর কাছে বার্তা পাঠাতেন তার যাল বা ভাবীরা। মাত্র দেড় বছরের মধ্যেই স্বামী বিদেশ থেকে দেশে রওয়ানা দেন। যে দিন সৌদি থেকে দেশের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিবেন সেদিনও তার সাথে কথা হয়। কি আর বলবো- এক বুক ভালোবাসা আর চাতক পাখির মতো তাকিয়ে থাকা চোক থেকে অসহ্য যন্ত্রনার জল ¯্রােত ধারায় বইছে। কিন্তু দেশে আসার পর থেকে স্বামী যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এক সাগর কষ্ট নিয়ে এ কথা গুলি বলতে হচ্ছে। এর পরে শুনতে পান অপ্রসাঙ্গিক এবং সম্মান হানিমুলক পরকীয়া করার মিথ্যা অপবাদ’র কথা। বড় ভাসুর (বাদশাহ জমাদ্দার)’র স্ত্রী পারভীন বেগম খুবই দাজ্জাল প্রকৃতির মহিলা, পারভীন দেখতে অসুন্দর তাই সুন্দর কাউকে দেখলে ওর ঘৃনা হয়। নিজেদের মধ্যে কারো সুখ তার সয় না। যে কোনো ভাবে ওই সংসারে অসুখ সৃষ্টিতে যা লাগে, সেটা উনি করবেই। ছগির বিদেশ থেকে আসার পর পারভীনের চাচাতো বোন বিবাহ দেবে এমন আশ্বাস দিচ্ছে ছগিরকে। অপর দিকে ছগিরের মোবাইল ফোন পর্যন্ত পারভীনের কাছে রাখে, ছগিরকে কোথাও কথা পর্যন্ত বলতে দেয়না। বর্তমানে ছগির কোন এক গোপন রহস্যে পারভীনের কাছে জিম্মী।
এব্যাপারে ছগির জমাদ্দারের কাছে জানতে, তার মুঠো ফোনে কল করলে তার ভাবি পারভীন বেগম ফোনটি রিসিভ করেন এবং ছগিরের সাথে কোন কথা থাকলে তার কাছে বলতে বলেন তিনি।
মোঃ দেলোয়ার ফকির বলেন, তার মেয়ের পরকীয়া সম্পর্কে ছগির জমাদ্দারের বড় ভাই বাদশাহ ও দুলাল জমাদ্দার অদ্যবদি কোনো প্রমান দেখাতে পারেনি। শুধুই বানোয়াট কথা নিয়ে তার মেয়ের সংসার ভাংতে শুরু করছে এবং তার ৬ বছরের (সোহাগ) নামের একটি নাতি অবুজ শিশু আটক করে রেখেছে। তিনি আরো জানান, ছগির জমাদ্দার বিদেশ থেকে আসার পর তাদের কাউকে জিজ্ঞেস করাতো দুরের কথা উল্টো এলাকায় ব্যাবসা করবে তাই টাকা চাচ্ছে। এ জন্য তিনি যৌতুক মামলা করেছেন এবং তার ৬ বছরের অবুজ নাতি না দিলে শিশু নির্যাতন মামলা ও করবেন।
স্বামীর বাড়ি থেকে আপন ছোট ভাইর সাথে বাবাড় বাড়ি যাওয়াটাও কি পরকীয়া ? অন্যের প্ররোচনায় সাজাঁনো সংসার বিনষ্ট করা, অবুজ শিশুটির প্রতি অবিচার করা, নিজের স্ত্রীর প্রতি অবিশ্বাস সৃষ্টি করে, মনের ভিতর কষ্ট জমিয়ে তিলে তিলে শেষ হওয়া কোনো জ্ঞানী মানুষের কাজ নয়। বরং ছগির জমাদ্দারের এই মুহুর্তে তার স্ত্রী সন্তান নিয়ে শান্তিপূর্ন ভাবে সংসার পরিচালনা করাই তার জন্য উত্তম কাজ বলে বিবেচ্য এমনটাই শেষ বক্তব্যে বলেন রাবেয়া বেগম।