নির্ভুল বার্তা ডেস্ক :
কুয়াকাটার আলীপুর জমি জমার পূর্ব শত্রæতার জের ধরে হালিম হাওলাদার (৪৫) নামের এক ব্যবসায়ীর দু‘হাত ও পায়ের রগ কেটে দিয়েছে ‘শাহিন-সুমন‘ ক্যাডার বাহিনীর প্রধান শাহিন ও তার সন্ত্রাসীরা। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে মৎস্যবন্দর আলীপুর হোটেল মোশারেফের দোকানে।
এঘটনায় আহত হালিমের ভাই মো: মস্তফা হাওলাদার বাদী হয়ে ২১ সেপ্টেম্বর ৬জনকে আসামী করে মহিপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, মামলা নং ০৯/২৩।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, ঘটনার রাতে হালিম নাস্তা খাওয়ার জন্য আলীপুর মোশারেফের হোটেলে এসে নাস্তা খেতে বসেন। এরই মধ্যে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ওৎপেতে থাকা শাহিন ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী দেশীয় অস্ত্র চাপাটি, দা ছেনা দিয়ে হালিমের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে হাত ও পায়ের রগ কেটে বীরদর্পে চলে যায়। হালিমের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা এসে গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কুয়াকাটার ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বরিশাল শেবাচিমে প্রেরণ করেন। তার শারিরীক অবস্থার আরও অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেলে স্থানান্তর করা হয়।
সূত্রে আরও জানাযায়, আহত হালিম ও শাহিন সম্পর্কে চাচা ভাতিজা হয়। তাদের মধ্যে পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছে। এনিয়ে কিছুদিন পূর্বে শাহিন ও তার বড় ভাই রাসেলের সাথে হালিম ও তার ভাইদের সাথে মার পিট হয়। সে ঘটনাকে কেন্দ্র করে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে শাহিনের নেতৃত্বে সুমন, রাজু, রিয়াজ বানাই ও রুবেল প্রকাশ্যে এমন সন্ত্রাসী তান্ডব চালিয়ে হাত ও পায়ের রগ কেটে দেয়।
উল্লেখ্য যে, এই বাহিনীর নেতৃত্বে কুয়াকাটা-আলীপুর সহ উপকূলীয় এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে নারী ও মাদকের রমরমা ব্যবসা পরিচালিত হয়ে আসছে। এদের সন্ত্রাসী তান্ডবের ভয়ে অনেকেই মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না।
এ ব্যাপারে লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো: আনছার উদ্দিন মোল্লা বলেন, ‘শাহিন-সুমন‘ ক্যাডার বাহিনী নেপথ্যে পরিচালনা করেন মো: নজরুল ফকির। তার নেতৃত্বেই এই বাহিনী বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সন্ত্রাসী তান্ডব সহ অসামাজিক কার্যকলাপ চালিয়ে আসছে, আমি এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কামনা করছি।
এবিষয় মহিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো: ফেরদৌস আলম, খান বলেন, এঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে, আসামী গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে।