মোঃ মাহতাব হাওলাদার, মহিপুর।।
পটুয়াখালীর মহিপুরে তিন সন্তানের জননী এক গৃহবধূ (৩০) ও তার পরকীয়া প্রেমিককে আপত্তিকর অবস্থায় হাতেনাতে ধরার ঘটনায় স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।
রোববার (১৩ নভেম্বর) রাত ৭.০০ টার দিকে মহিপুর সদর ইউনিয়নের নিজশিববাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, তিন সন্তানের জননী মহিপুর সদর ইউনিয়নের নিজশিববাড়িয়া গ্রামের এক মাদ্রাসা শিক্ষকের স্ত্রীর সঙ্গে একই ইউনিয়নের পুরান মহিপুর গ্রামের মোঃ ইউনুস তালুকদারের ছেলে মোটরসাইকেল চালক মোঃ ইব্রাহিম (৩২) এর পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিলো। যা তার স্বামী টের পেয়ে ঘটনার দিন রাতে স্ত্রীকে কলাপাড়া যাওয়ার কথা বলে লোকজন নিয়ে বাড়ির পাশে ওঁৎ পেতে থাকেন। এই সুযোগে ওই গৃহবধূ তার পরকীয়া প্রেমিক ইব্রাহিমকে ফোনে ডেকে বাসায় নিয়ে আসেন।
এসময় পরকীয়া প্রেমিকসহ ওই গৃহবধূকে রাতের অন্ধকারে ঘরের পাশে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পেয়ে তার স্বামী ও স্থানীয়রা হাতেনাতে ধরে আটকে রাখেন। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন এবং বিষয়টি ফয়সালা করে দিবেন বলে ওই গৃহবধূ ও তার পরকীয়া প্রেমিককে তার বাড়িতে নিয়ে যান। কিন্তু কোনো ফয়সালা না করেই তাদেরকে ছেড়ে দেন তিনি।
এদিকে এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর স্বামীর বিরুদ্ধে তার পরকীয়া প্রেমিকের পিতা মোঃ ইউনুস তালুকদার মারধরের মিথ্যা অভিযোগ কলাপাড়া বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় গৃহবধূর সাথে পরকীয়া প্রেমিকের অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগে তার স্বামী মোঃ জামাল হোসেনও মামলা করেছেন।
গৃহবধূর স্বামী জামাল হোসেন বলেন, ‘অনেকদিন ধরেই মোটরসাইকেল চালক ইব্রাহিমের সাথে আমার স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিলো। যা আমি বুঝতে পেরে ঘটনার দিন ওঁৎ পেতে থাকি। এমন সময় ইব্রাহিম এসে আমার স্ত্রীর সাথে আপত্তিকর অবস্থায় মিলিত হয়। তখন আমি গিয়ে ইব্রাহিমকে কয়েকটা চড়থাপ্পড় দিয়ে স্ত্রীকে ঘরে নিয়ে যাই। এসময় আমার ডাকাডাকি শুনে বাড়ির পাশের লোকজন এসে তাকে উত্তম-মধ্যম দিয়ে আমাদের মেম্বারের কাছে খবর দিলে তিনি এসে তার জিম্মায় নিয়ে যান। পরে কোনো ফয়সালা না করে মেম্বার তাদেরকে ছেড়ে দেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘ইব্রাহিমকে সামান্য চড়থাপ্পর ছাড়া মারধর করা হয়নি। আমাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ ভিত্তিহীন। এখন ঘটনাটি অন্যভাবে সাজিয়ে তারা আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার পাঁয়তারা করছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মহিপুর সদর ইউপি’র ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার মুঠোফোনে বলেন, ‘স্থানীয়রা পরকীয়া প্রেমিকসহ ওই গৃহবধূকে আটক করে আমাকে খবর দেয়। আমি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উভয়কে আমার বাড়িতে নিয়ে আসি। পরে তাদেরকে চিকিৎসার জন্য কলাপাড়া হাসপাতালে পাঠাই।’
এবিষয়ে মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোন্দকার মোঃ আবুল খায়ের বলেন, এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ পেয়েছি। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।