নির্ভুল বার্তা ডেস্ক :
পটুয়াখালীর মহিপুর জেলেদের চাল বিতরণে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ পাওয়াগেছে। অভিযোগে জানাযায়, গত দুই তিনদিন ধরে মহিপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের জেলে তালিকার চাল বিতরণ শুরু করে। তারই ধারাবাহিকতায় সোমবার সকালে ৫নং ওয়ার্ডের জেলেদের চাল বিতরণ করা হয়। এতে প্রত্যেক জেলেদের ৮০ কেজি করে চাল দেয়ার কথা থাকলেও সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার আ: ছোবাহানকে ভোট প্রদান করছেন এমন ব্যক্তিদের দিচ্ছেন ৮০ কেজি এবং অন্য জেলেদের দেয়া হচ্ছেন ৪০ কেজি এমন এন্তার অভিযোগ ওই মেম্বারের বিরুদ্ধে। অপরদিকে মেম্বারের বাড়ির ভাড়াটিয়া মাহিনুর বেগমকে দেয়া হয়েছে একটি স্লিপ, সে স্লিপে সোহেল নামের জনৈক ব্যক্তির নাম দেখা যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে মাহিনুর বেগমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মেম্বারের স্ত্রী আমাকে একটি স্লিপ দিয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ সরকার অবরোধ চলাকালিন সময় বেকার জেলেদের মাঝে যে, সহায়তা দিয়ে থাকেন তাতে তাদের প্রয়োজন মিটেনা, তারপরে যদি পরিষদের সদস্যরা নিজের বাসাবাড়ির কাজে লিপ্ত থাকা তথা কে তাকে নির্বাচনে ভোট দিয়েছে এমন ব্যক্তিদের মধ্যে চাল বিতরণ করা হয় তাহলে এদেশের দুর্নীতি কমবে কিভাবে ? এভাবে চাল বিতরণ হলেতো প্রকৃত জেলে বঞ্চিত হবেই।
জেলে কার্ডধারী চাল না পাওয়া আবু জাফর বলেন, মেম্বার সাহেবের বাড়ির ডাল, মরিচের ফসলি ক্ষেতে যারা সহযোগিতা করছেন তাদের মাঝে টোকেন দিয়ে এসব চাল বিতরণ করা হয়।
জেলে তালিকার কার্ডধারী অনেক জেলের অভিযোগ সরকারী অনুমোদনকৃত তালিকার বাহিরে বিতরণের সময় আলাদা মাষ্টার রোল তৈরী করে মেম্বার তার নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য প্রকৃত জেলেদের চাল না দিয়ে অনিয়ম তান্ত্রিকভাবে চাল বিতরণ করছে।
চাল নিতে আসা জাকির, জালাল ফরাজী বলেন, একজন ব্যক্তির নামে চাল বরাদ্ধ ৮০ কেজি কিন্তু মেম্বার সাহেব অধিকাংশ জেলেদের ৪০ কেজি করে দিচ্ছে কেন জানি না।
এব্যাপারে অভিযুক্ত ইউ,পি সদস্য আ: ছোবাহান বলেন, আমি নাম পেয়েছি ২‘শ ৬৮ টি কিন্তু আমার ওয়ার্ডে জেলে আছে তিন শতাধিক, এখন যারা পায়নী তারা এমন অভিযোগ দিচ্ছে।
এ বিষয় মহিপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যোন মো: ফজলু গাজী বলেন, আমার ইউনিয়নে কার্ডধারি জেলে আছে দুই হাজার দু‘শত বত্রিশ জন, বরাদ্ধ পেয়েছি ১৭ শত। যারা চাল পায়নী তারাতো একটু এদিক সেদিক দৌড় ঝাপ দিবেই, তার পরেও নামের তালিকায় কিছু ভুল ভালো হতে পারে সেটা আমি দেখতেছি।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, বিষয়গুলো দুঃখ জনক। আমদের পক্ষ থেকে খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রবিউল ইসলাম বলেন, জেলেদের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, কারণ জেলে চাল ভিন্ন খাতে দেয়ার কোন সুযোগ নেই।