মোঃ মাহতাব হাওলাদার, মহিপুর।।
নিখোঁজ জেলেদের অপেক্ষায় মহিপুর মৎস্য বন্দরে ভিড় করছেন জেলেদের স্বজনরা বঙ্গোপসাগরে গত দুই দিনে মাছ ধরার ১১টি ট্রলার ডুবে ৩৪ জেলে নিখোঁজ হয়েছেন। তাদের ফিরে পেতে শনিবার (২০ আগস্ট) সকাল থেকেই পটুয়াখালীর মহিপুর মৎস্য বন্দরে ভিড় করছেন স্বজনরা। স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠছে পরিবেশ।
স্বজনরা জানান, জীবিকার তাগিদে সমুদ্রে গিয়ে নিখোঁজ হওয়ার পরে তাদের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। নিখোঁজদের মধ্যে কারও বাবা, ভাই, ভাতিজা কিংবা কারও ছেলে রয়েছে। স্বজনরা সমুদ্রের দিকে তাকিয়ে আছেন হয়তো, নিখোঁজ জেলেরা অন্য কোনো ট্রলারে জীবিত ফিরবেন সে আশায়।
কুয়াকাটার বাসিন্দা নুরুল হক বলেন, ‘সমুদ্রে গিয়ে আমার এক ভাই ও ভাতিজা নিখোঁজ রয়েছে। তারা যে ট্রলারে ছিল তাতে চারজন অন্য ট্রলারে এলেও আমার স্বজনরা আসেনি। এখন বসে আছি তাদের অপেক্ষায়। জানি না তাদের ভাগ্যে কী আছে।’
নিখোঁজ জেলেদের সন্ধানে এরই মধ্যে দুটি ট্রলার পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন কুয়াকাটা-আলীপুর মৎস্য সমবায় সমিতির সভাপতি আনসার উদ্দিন মোল্লা।
তিনি বলেন, ‘গভীর সমুদ্রে যাওয়া মাছ ধরার ট্রলারের নিরাপত্তার জন্য জিপিএস সিস্টেম স্থাপন করা হলে এ ধরনের দুর্ঘটনার সম্ভাবনা অনেকটা কমে আসবে।’
কুয়াকাটা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আখতার মোর্শেদ বলেন, ‘গভীর সমুদ্রে যাওয়ার মতো উদ্ধার যান না থাকায় এ ধরনের কাজে আমাদের অনেকটা বেগ পেতে হয়। উন্নতমানের সরঞ্জামাদি পেলে আমাদের কাজের গতি আরও বাড়বে।’
শুক্রবার (১৯ আগস্ট) ভোর থেকে হঠাৎ শুরু হয় ঝড়ো হাওয়া। উত্তাল হয়ে ওঠে বঙ্গোপসাগর। সাগরে জাল ফেলে টিকে থাকতে পারছিলেন না জেলেরা। তবে সহস্রাধিক মাছ ধরার ট্রলার নিরাপদে পৌঁছালেও ১১টি ট্রলার সমুদ্রে ডুবে যায়। এতে নিখোঁজ রয়েছেন ৩৪ জেলে।