বুধবার বেলা ১১ টায় কলাপাড়া রিপোর্টার্স ইউনিটতে অনুষ্ঠিত হয় এ সংবাদ সম্মেলন। এসময় ক্ষতিগ্রস্থ পারিবারের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলার মরিচবুনিয়া এলাকার আবুল খা। উপস্থিত ছিলেন ক্ষতিগ্রস্থ হোসনেয়ারা বেগম।
লিখিত বক্তব্যে আবুল খা বলেন, ২০১৪ সালে পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভূমি অধিগ্রহণ শুরু হয়। ২০১৮ সালে শুরু হয় প্লান্টের নির্মাণ কাজ। অধিগ্রহণের শুরুতে অনেকের মত আমাদের জমিও অধিগ্রহণ করা হয়। কিন্তু গাছপালা, পুকুর, ঘরবাড়ির ক্ষতিপূরণের টাকা পরিশোধ করা হলেও অদ্যাবধি আমাদের পাঁচটি পরিবারের জমির মূল্য দেয়া হয়নি। এসব পরিবারকে আবাসনে পুনর্বাসন করা হয়নি। এ নিয়ে প্লান্টের দায়িত্বশীল অফিসার, জেলা ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় একাধিকবার ছুটে গেলেও কোনো প্রতিকার মেলেনি। এখন পরিবার-পরিজন নিয়ে রাস্তার পাশে ঝুপড়ি ঘরে বসবাস করছি।
আবুল খা বলেন, আবাসনে খালি ঘর থাকা সত্ত্বেও আমরা প্লান্টের দায়িত্বশীল অফিসাররা আমাদের ঘর বরাদ্দ দিচ্ছেনা। অথচ আবাসনে এমন অনেক পরিবার রয়েছে যারা দু’টি ঘর দখল করে রেখেছে।
অপরভূক্তভোগী হোসনেয়ারা বেগম বলেন, স্বামীকে হারিয়েছি, ছেলে নেই। চার মেয়েকে বিয়ে দিয়েছি। বাড়ি ঘর হারিয়ে একা রাস্তার পাশে খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছি।
পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জজ তালুকদার বলেন, অধিগ্রহণ ভূমি অধিগ্রহণ শাখার বিষয়। বাড়ি-ঘরহারা পরিবারের তালিকা শুরুতেই প্রস্তুত করা হয়েছে, তারাই পুনর্বাসন পেয়েছেন।
এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।