শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৯ টায় মহিপুর মৎস্য মালিক সমিতির অফিসে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে বিরতিহীনভাবে চলে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত। এতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন মহিপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মো. ফজলু গাজী। প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্বে ছিলেন হারুনর রশিদ।
নির্বাচনে মোট ৬০৭ জন ভোটারের ৫৬৪ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। কার্যনির্বাহী পরিষদের ৯ সদস্যের ৪ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় ৫ পদে মোট ১১ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
এতে সভাপতি পদে আব্দুস সালাম সরদার অটোরিকশা প্রতীকে ২৭৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আনোয়ার হোসেন হরিণ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৫৬ ভোট।
সাধারণ সম্পাদক পদে দেলোয়ার সর্দার গোলাপ ফুল প্রতীকে ৪৫৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ইউনুচ আলী খান চশমা প্রতীকে ৯১ ভোট পেয়েছেন।
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে সাইদুল হাওলাদার ইলিশ প্রতীকে ৩৩৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আব্দুর রব হাওলাদার আম প্রতীকে পেয়েছেন ২০৫ ভোট।
সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ফারুক হাওলাদার হাঁস প্রতীকে ৩৫০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ইলিয়াস হাওলাদার কলস প্রতীকে ২০১ ভোট পেয়েছেন।
কার্যনির্বাহী সদস্য পদে মনির হোসেন খান কবুতর প্রতীকে ২৮৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি কুদ্দুস হাওলাদার গাড়ি মার্কায় পেয়েছেন ২৬০ ভোট।
সভাপতি পদে বিজয়ী হয়ে আব্দুস সালাম সরদার বলেন, ‘আমি অটোরিকশা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছি। ভোটাররা আমাকে নির্বাচিত করায় তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমি সকল মৎস্য শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে কাজ করে যাবো, ইনশাআল্লাহ।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার হাজী মো. ফজলু গাজী বলেন, ‘অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এতে মহিপুর থানা পুলিশ সার্বিক সহযোগিতা করেছে। ভোটাররা উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়ে তাদের পছন্দের প্রার্থীদের বিজয়ী করেছেন।’
উল্লেখ্য, মৎস্য শ্রমিকদের কল্যাণে কাজ করার লক্ষ্যে ২০০০ সালের মে মাসে মহিপুর-আলিপুর মৎস্য হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতি ৩ বছর পরপর সংগঠনের কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচন হয়।