মোঃ হাবিবুল্লাহ খান রাব্বী ॥
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা’র সভাপতিত্বে বঙ্গমাতার ৯১তম জন্মবার্ষিকীতে দেশের সকল জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত সুবিধাভোগীদের তালিকা অনুযায়ী ৬৪ জেলার ৪ হাজার অসচ্ছল নারীকে সেলাই মেশিন ও মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে ২ হাজার নারীকে দুই হাজার টাকা করে মোট ৪০ লাখ নগদ টাকা ও সেলাই মেশিন বিতরণ কার্যক্রম উদ্ধোধন করা হবে।
প্রথমেই খবর নিব, পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ শফিকুল আলম বাবুল খান তার উপজেলা থেকে কতোটি নাম দিয়েছেন। গণমাধ্যমের এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, গত জুন মাসের মাসিক সভায় ১৭টি দপ্তরের কর্মকর্তা, ইউ এন ও, উপজেলা চেয়ারম্যানসহ গণমাধ্যম ও আমন্ত্রীত অতিথিদের উপস্থিতিতে তার বক্তব্যে উপজেলা প্রশাসকের কাছে দীর্ঘ দুবছরের বেশী অতিক্রম হলো, অদ্যবদি সরকার কর্তৃক বিভিন্ন সময় ও বিভিন্ন পর্যায় জন গণের জন্য ত্রান সামগ্রী আসে। তিনি উপজেলার ১ লক্ষ ৭৫ হাজার ভোটারের প্রতিনিধি সেই আলোকে জনগণের স্বার্থে ভাইস চেয়ারম্যানের কোঠা অনুযায়ী সরকার কর্তৃক বিজিডি, বিজিএফ, মুজিব বর্ষের ঘর, ঘর পোড়া ব্যাক্তিদের জন্য টিন অথবা প্রতিবন্ধীদের সহযোগিতা, বয়স্ক ভাতা ইত্যাদি, কোন প্রকার বরাদ্ধকৃত ত্রান সামগ্রী তিনি পাবেন কিনা জানতে চাইলে?
উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম রাকিবুল আহসান রাগন্বিত কন্ঠে আক্রমন মুলক ভাষায় ভাইস চেয়ারম্যানকে বলেছেন- তুমি যে, কিছু পাবা তা ! কোন মেনুয়ালে লেখা আছে। পাশা-পাশি ইউ এন ও’র কাছে একাধীকবার একান্ত পরিষরে তার প্রাপ্তির কথা তুলে ধরলেও অপ্রশাঙ্গিক, কাকে কি! দেবো না দেবো এমন কথা বলে এরিয়ে যায়। বিশেষ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মুজিব বর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীনদের ভূমি ও গৃহহীনদের ঘর, বিনা মূল্যে উপহার দিচ্ছেন। এরই ধারা বাহিকতায় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ভূমিহীন বা গৃহহীনদের কারো নাম দিতে চাইলে ইউ এন ও তা প্রত্যাখান করেন।
একদিকে উপজেলার ১৭টি দপ্তরের ৯টি দপ্তরের স্থায়ী কমিটির সভাপতি ভাইস চেয়ারম্যান। মাসিক সভা সরকারী ম্যানুয়ালে থাকলেও নীয়ম মাফিক সভা করেনা দপ্তরগুলো। ভাইস চেয়ারম্যান সভাপতি হিসাবে কর্তৃপক্ষকে একাধীকবার সভা করার কথা বললেও তারা কর্নপাত করেননা। এর কারণ জানতে চাইলে, ভাইস চেয়ারম্যান বিষদ ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, নামে মাত্র সভাপতি কিন্তু স্বাক্ষরের কোনো পাওয়ার না থাকায় দপ্তরের কর্মকর্তারা জনগণের প্রতিনিধিদের বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে অনিয়ম আর দূর্নীতি চালিয়ে চাচ্ছে বহাল তবিয়েতে।
অপর দিকে উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউ এন ও কর্তৃক অ-সুন্দর আচরণে রীতিমতো হতবাক। না পারে কইতে আর না পারে সাইতে। এমন বেহাল দশা থেকে উত্তোরনের জন্য ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ শফিকুল আলম বাবুল খান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেণ। কারণ এ সমস্যার সমাধান একমাত্র প্রধানমন্ত্রী ছাড়া কেউ দিতে পারবেনা। কর্তৃপক্ষদের নেই দেশ প্রেম – আছে দ্বায়িত্বের আড়ালে অর্থ বানিজ্য।
উপজেলার ১ লক্ষ ৭৫ হাজার ভোটারের প্রতিনিধি হওয়া সত্বেও দু’ বছর অতিবাহিত হলেও কাউকে কোন প্রকার ত্রান সামগ্রী দিতে না পারায় জনগণের নানা বিধও প্রশ্নের সম্মুক্ষীন হন তিনি। নিজের কাছে জনগণের প্রশ্নের কোন উত্তর না থাকায় শেষ পর্যন্ত –
গণমাধ্যমের সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে বিষয়টি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের মাননীয় মন্ত্রী, বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি আকর্ষন করে বলেন, বিষয়টি জরুরী ভিত্তিতে সরেজমিনে তদন্ত পূর্বক উক্ত সমস্যার সমাধান কামনা করেছেন তিনি।
ধারাবাহিক পর্বের দ্বিতীয় পর্ব দেখতে নির্ভুল বার্তা লাইক দিয়ে সঙ্গে থাকুন