নির্ভুল বার্তা ডেস্ক :
কুয়াকাটার বাস টার্মিনাল ময়লা আবর্জনায় ডাস্টবিনে পরিণত হয়েছে। ফলে বাতাসে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পরিবেশ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ভোগান্তিতে যাত্রী সাধারণসহ কুয়াকাটায় আগত ভ্রমণ পিপাসু পর্যটক। কুয়াকাটা পৌর মেয়রের অবহেলা ও ময়লা আবর্জনা ফেলার সু নির্দিস্ট কোন ডাস্টবিন না থাকায় এমন বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে কুয়াকাটর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশিত বাস টার্মিনালটি। এখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলার কারণে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। আর এই দুর্গন্ধের কারণে পরিবেশ দূষণ হয়ে মশা মাছির উপদ্রব যেন বেড়েই চলছে বাস টার্মিনাল এলাকা। এভাবে ময়লা-আবর্জনা পড়ে থাকলে ডায়রিয়া, কলেরা, আমাশা ইত্যাদি রোগ জীবানু ছড়ানোর শঙ্কায় রয়েছেন স্থানীয়রা। দেশী বিদেশী অনেক পর্যটক রাতে পরিবহণে যাত্রা শুরু করে সকালে এসে নামেন পৌর বাস টার্মিনালে। প্রথমেই পৌর মেয়রের এমন অব্যবস্থাপনার দৃশ্য দেখে খারাপ ধারণা নিয়ে তাদের ভ্রমণ কার্যক্রম শুরু করেন। অনেকে সকালে টার্মিনালের ভিতরে থাকা হোটেলগুলোতে নাস্তা খাওয়ার কাজ সেরে ফেলেন। নাস্তা খেতে বসে দুর্গন্ধে ঠিকমত খাবার খেতে পারছেন না এমন অভিযোগ অনেক পর্যটকসহ যাত্রী সাধারণের।
খুলনা থেকে আগত পর্যটক লায়েকুজ্জামান লাক্কু দম্পত্তি বলেন, সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের মনোরম দৃশ্য অবলোকন করার জন্য ভ্রমণ পিপাসু পর্যটক আসেন কুয়াকাটা। কিন্তু পর্যটন এলাকার বাস টার্মিনালের এমন বেহালদশা আমাদেরকে রীতিমত ভাবিয়ে তুলছে।
ঢাকা থেকে আগত পর্যটক জহিরুল ইসলাম বলেন, পদ্মা সেতু হওয়ার পরে ঢাকার অনেক লোক এখন কক্সবাজর না গিয়ে ঝুঁকছেন দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার দিকে। কিন্তু এখানকার বাস টার্মিনালে নেমেই চোখে পড়ে ময়লা-আবর্জনার স্তুপ, যেটা খুবই দু:খজনক এটা পর্যটন শিল্পের জন্য নিয়মিত হুমকির স্বরূপ।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবীদ সমিতি (বেলা) বরিশাল বিভাগীয় সমন্বয়কারী লিঙ্কন বায়েন বলেন, পর্যটন কেন্দ্র পৌরসভা এলাকায় যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলার কোন সুযোগই নেই, পৌর কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সু-নির্দিষ্ট জায়গায় ময়লা-আবর্জনা ফেলার ব্যবস্থা করতে হবে। বিশেষ করে সরকার প্লাস্টিক বর্জের উপর খুবই গুরুত্ব দিয়েছেন। প্লাষ্টিক জাতীয় কোন পণ্য একবারের বেশী ব্যবহার করতে পারবে না এবং ব্যবহারের পর সু-নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। তাই কুয়াকাটা পৌর বাস টার্মিনালে ময়লা-আবর্জনা ফেলে পরিবেশ দূষণ করলে একদিকে পর্যটক মুখ ফিরিয়ে নিবে, অপরদিকে পর্যটন শিল্পের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
এ ব্যাপরে কুয়াকাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদার বলেন, বাস টার্মিনালের জন্য নির্ধারিত ক্লিনার রয়েছে, তাদের কাজ হচ্ছে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা, টার্মিনালে ময়লা থাকলে এখনই পরিস্কার করার ব্যবস্থা করতেছি।