কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি :
কুয়াকাটার দিয়ারআমখোলায় আধুনিক পদ্ধতিতে জৈব সার ব্যবহার করে ভূট্টা ও সব্জি চাষের সফলতায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। বুধবার বেলা ১১টার দিকে ‘কারিতাস বরিশাল অঞ্চল’ প্রয়াস প্রকল্পের উদ্যোগে প্রগতিশীল কৃষক এছাহাক প্যাদার ভূট্টা ক্ষেতে স্থানীয় কৃষকদের নিয়ে কৃষক মাঠ দিবস পালনের লক্ষে এক সভায় এমন সফলতার কথা জানান প্রান্তি চাষিরা।
সভায় কৃষক আ: ছালাম বলেন, কীটনাশক সারের প্রয়োগ কমিয়ে কেঁচো ও জৈব সার ব্যবহার করে সকল প্রকার সব্জি চাষে অধিক ফলন পেয়েছি, যা প্রতি বছরের তুলনায় দ্বিগুন।
কৃষি কাজে সফলতা আনতে তথা বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলীয় এলাকার প্রান্তিক জনগোষ্ঠির জলবায়ু পরিবর্তন জনিত সহনশীল চাষাবাদে কীটনাশক সারের প্রয়োগ কমিয়ে কেঁচো ও জৈব সার ব্যবহার বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ দিবস পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ‘কারিতাস প্রয়াস প্রকল্পের কলাপাড়ার মাঠ কর্মকর্তা মোঃ জামাল হোসেন।
এসময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলাপাড়া উপজেলার (লতাচাপলী) উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা, মোঃ আশ্রাব আলী, উপকূলীয় মানব উন্নয়ন সংস্থা (সিকোডা)’র নির্বাহী পরিচালক ও বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ) কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মোঃ মিজানুর রহমান, কারিতাস প্রয়াস প্রকল্প’র (এ এন্ড এলপিইডাবিøউ) মিঠু রানী দাস, কাজল ঘরামী, বেঞ্জামিন স্বপন, মোঃ জাহিদুল ইসলাম সহ প্রয়াস প্রকল্প’র অন্যান্য কর্মী বৃন্দসহ স্থানীয় শতাধীক প্রান্তিক চাষি।
আলোচনা সভায় মাঠ দিবসের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও কার্যক্রম তুলে ধরা হয়। এ প্রকল্পের মাধ্যমে উন্নতমানের ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদন, ব্যবহার তথা সব্জির ক্ষেত উঁচু, বস্তা পদ্ধতিতে শাক সব্জি চাষ ও মালচিং পদ্ধতি ব্যবহার করে অতি বৃষ্টি ও খরায় অধিক ফলন সম্ভব বিধায় সকলকে এ বিষয় সচেতন হওয়ার আহবান করা হয়।
পরে স্থানীয় কৃষক এছাহাক প্যাদার ভূট্টা ও কৃষক ছালাম হাওলদারের মিশ্র সব্জি ক্ষেতে ভার্মি কম্পোস্ট ব্যবহারে অধিক ফলন পাওয়ায় তাদের ফসলী মাঠ পরিদর্শন করা হয়।
মাঠ দিবস পালন সম্পর্কিত অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন কারিতাস প্রয়াস প্রকল্প’র (এ এন্ড এলপিইডাবিøউ) অসিম কুমার বিশ্বাস।