কুয়াকাটা (পটুয়াখীলী) সংবাদদাতা :
কুয়াকাটার লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হামলা। এঘটনায় মহিপুর থানায় একটি মামলা হয়েছে। পুলিশ মামলার আসামী গ্রেফতার করলে থানা ঘেরাও করে তিন শতাধীক জনতা। ঘেরাওকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের লাঠি চার্জে অন্তত ১৪ জন এবং পুলিশের ৪ সদস্য আহত হয়েছে। শুক্রবার বিকেল চারটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে এ ঘটনায় ওই ইউনিয়নে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানাগেছে, লতাচাপলী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের পরাজিত মেম্বার প্রার্থী আব্দুল জলিল ঘরামীর ছোট ভাই মোঃ খলিল ঘরামীর নেতৃত্বে ২৫-৩০ জন সমর্থক বৃহস্পতিবার সকালে বিজয়ী প্রার্থী আবুল হোসেন কাজী’র সমর্থক কবির মোল্লাকে বেধড়ক মারধর করেন। বর্তমানে কবির মোল্লা বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এ ঘটনায় কবির মোল্লার স্ত্রী মোসাঃ শিউলী বেগম বাদী হয়ে শুক্রবার দুপুরে খলিল ঘরামীকে প্রধান আসামী করে মহিপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। থানা পুলিশ মামলার প্রধান আসামী খলিল ঘরামীকে গ্রেফতার করেন। পরে আব্দুল জলিল ঘরামী থানায় গিয়ে তার ভাই খলিল ঘরামীকে মুক্ত করতে ব্যর্থ হয়। পরে বিকাল তিনটার দিকে তিন শতাধীক জনতা থানার সামনে জড়ো হয়ে থানা ভবণ ঘেরাও করেন।
তাদের ঘেরাও কর্মসূচী পন্ড করতে পুলিশ বার বার অনুরোধ করলেও ঘেরাওকারীরা ¯েøাগান দিতে থাকেন। পরবর্তীতে পুলিশ বাঁশি বাজিয়ে ছত্রভঙ্গ করতে গেলে ঘেরাওকারীরা ইট নিক্ষেপ করেন। এতে পুলিশের নারী সদস্য নাহার, এসআই আব্দুল হালিম, সদস্য ওবায়দুল ও মিলন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত এসআই আব্দুল হালিমকে কলাপাড়া উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অপরদিকে ঘেরাওকারীদের মধ্যে ১৪জন আহত হয়েছে বলে আহত সূত্রে জানাগেছে। আহতরা হচ্ছে দুলাল (৩৫), রানা (২০), মনির মোল্লা (৪০), কাদের মাঝি (৭০), রাজ্জাক (৪৮), ইলিয়াছ (৩৬), রায়হান (১৮), বিউটি (৫০), মোসলেম (৭৫), মোঃ ফরিদ (২৩), ইউসুফ (২৭), আঃ সালাম (৩৫), সাফিয়া (৭০), ও মহিবুল (৪২)।
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার আবুল খায়ের বলেন, কলাপাড়া উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন পরবর্তী সংহিসতার মামলায় একজনকে গ্রেফতারের পর তার ভাইয়ের নেতৃত্বে তিন শতাধিক নারী পুরুষ তাকে মুক্ত করতে থানাভবন ঘেরাও করে। আজ দুপুর থেকে ঘেরাও করে রাখলেও বিকেল পর্যন্ত তাদের সরে যেতে অনুরোধ করা হয়। এতে তারা কর্ণপাত করেনি। পরে পুলিশ তাদের বাঁশি বাজিয়ে ও লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করেছেন। এ ঘটনায় পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে জলিল ঘরামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।