মোঃ হাবিবুল্লাহ খান রাব্বী
যাকে দিয়ে অপরাধ দমন করবো, সেই হচ্ছে বড় অপরাধী।
বুঝি সবাই-মুখ খুলিনা কেউ – এটাও অপরাধ ॥
আসুন নিজের অবস্থান থেকে নিজে অপরাধ দমন করার শফত নেই।
তাহলেই ভালো থাকবো,
ভালো থাকবে পরিবার আর তাতে সৃষ্টি হবে দেশপ্রেম।
ক্ষুদা, দারিদ্রতা ও বেকারত্ব পালিয়ে বেড়াবে, সফলতায় পূর্নতা পাবে উন্নত হবে দেশ।
পড়ুন, নিজের লেখা বা নিজের বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের প্রচারে – বিজ্ঞাপন দিয়ে ‘দৈনিক নির্ভুল বার্তা’ অনলাইন পত্রিকার উদ্দেশ্য –
সত্যবানী প্রকাশে যাত্রা –
দৈনিক নির্ভুল বার্তা-
স্লোগানকে ধারণ করে, দেশ, জাতি তথা সমাজের
অপশক্তির প্রতিকার ও মুখোশ উম্মোচন করতে, সঙ্গে থাকুন।
জাতীয় মানবাধিকার সংবিধান আইন এবং বিচারকের দৃষ্টি আকর্ষন, দ্রুত ট্রাইবুনালে শাস্তির বিধান ও প্রয়োগ প্রযোজ্য। রাজ্যের উন্নয়নের ক্ষেত্রে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ন অধ্যয়। সরকারকে নজরদারীতে রেখে রাজ্যের উন্নয়ন ও ক্ষতিকারক দিক গুলোর তথ্য মন্ত্রনালয় যুক্ত। রাষ্ট্র নায়ক রাজ্যের তথ্য বিভাগের কাছে তথ্য দিতে বাধ্য। গণমাধ্যমের তথ্য বিভিত্তিক সমস্যা সমাধানের জন্য দ্রুত (ট্রাইবুনাল) বিচার বিভাগ শতভাগ বাস্তবায়ন করতে পারলেই;-
র্দূনীতি মুক্ত হবে দেশ – অভাব মুক্ত হবে জাতি।
মুষ্ঠিময় কিছু পরিবার ছাড়া বাকি পরিবার গুলো জীবন আর জীবিকা নির্বাহে অকান্তিম পরিশ্রমের ন্যায্য পারিশ্রমিক না পাওয়ায়, সংসার জীবন টানা হেচড়ার মধ্যে চলছিলো, কেউবা মানবেতর। বর্তমান প্রাক্ষাপটে বাংলাদেশের মানুষের জীবন ব্যাবস্থায় খাদ্য, বাস-স্থান, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, যাতায়াত ব্যাবস্থার উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহন যোগ্য মুলক। প্রজারা ! রাষ্ট্র নায়কের প্রতি কৃতজ্ঞ। কিন্তু, সরকারের নিযুক্ত ‘দপ্তর’ ভিত্তিক দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্তা ব্যাক্তিরা পাঠ্য শিক্ষায় প্রথম শ্রেনীর হয়ে, নীতি ! ‘লোভ’ নামের এক মহামারী রোগে আক্রান্ত। অভাবতো দুরের কথা, যেখানে দেশের একেবারে প্রত্যন্ত অঞ্চলের কানা-কঞ্চির যোগাযোগ ব্যাবস্থাও বিশ্বমানের তৈরী করা সম্ভব ছিলো বা আছে।
বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়, বক্তব্যে ব্যাক্ত করেছিলেন এ কারণে যে, বিশ্বের অন্যান্য রাষ্ট্র বা আয়োতনের তুলনায় বাংলাদেশের আয়তন খুবই ক্ষুদ্র। আয়তন ১ লক্ষ্য ৪৭ হাজার ৫৭০ বর্গ কিলোমিটার। দেশটি নদী মার্তৃক দেশ এর মধ্যে দক্ষিন উপকূলীয় এলাকা বন্যা কবলীত হলেও সম্পদে পরিপূর্ন।
এ দেশের ভূ ও ভূতলে জীবন্ত প্রস্ফুটান্ত কাল ধারা অতিক্রমের সম্পদ বা উৎপাদন ব্যাবস্থা যথেষ্ট পরিমান। রাজ্যের পরিকল্পনা বিভগ, ব্যাবস্থাপনা বিভাগ, বাস্তবায়ন বিভাগ, অর্থ বিভাগ ও পরিদর্শন বিভাগের কর্মকর্তা ব্যাক্তিদ্বয় দ্বায়িত্বে ন্যায় পরায়ন হলেই যথেষ্ট। জীবন সংসার পরিচালনার ক্ষেত্রে উচ্চ বিলাসিতাকেও হাড় মানিয়ে চুড়ায় ছুটতে প্রত্যেকেই যেন ব্যাস্ত। নিজের বুকে হাত দিয়ে সৎ সাহস দেখানোর মতো প্রথম শ্রেনীর সেই শিক্ষত মেধাবী পুরুস্কার প্রাপ্ত রাষ্ট্র সংশ্লীষ্ট মন্ত্রনালয়ের কোনো কর্তা ব্যাক্তি নেই বললেই চলে। ফলে বাংলাদেশের সোনার ছেলেরা প্রথম শ্রেনীর শিক্ষাগত যোগ্যতা দ্বারা লোভ পরিহার করতে পারেনি। যা কিনা ইসলাম ও কোরআনের আদর্শের দ্বিতীয় শ্রেনীর শিক্ষার্থীর শিক্ষা দ্বারা সম্ভব (পরীক্ষিত)।
ছোট মুখে বড় কথা নয়, এক যুগ ধরে গণমাধ্যমে যুক্ত থেকে রাজ্য, রাজনীতি, ও জন-জীবন ব্যাবস্থার সকল প্রকার ন্যায়, অন্যায়, প্রত্যক্ষ, পরক্ষ ভাবে দেখা, শোনা ও জানার আলোকে নিক্ষুত বিশ্লেষনের আংশিক ফলাফল প্রকাশ মাত্র।
মন্ত্রনালয়ের সচিব যখন, মন্ত্রী মহোদ্বয়কে অর্থ লোপাট করার কৌশল শিখায়, স্বাস্থ্য বিভাগ ও খাল খননের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাত করেছে ওরা। এ ঘটনায় তদন্ত কর্মকর্তারা কাগজে কলমে দেখেছে কাজ সম্পন্ন, কিন্তু সড়েজমিনে গেলে এর বাস্তবায়ন পায়নি তারা। তদন্ত কর্তাব্যাক্তিরা গণমাধ্যমে জানিয়েছেন, এর সঠিক প্রতিবেদন জমা দিবেন দপ্তরে। দ্রুত ট্রাইবুনাল নাই, সবই যেন কাগজে কলমে।
শিক্ষা-দীক্ষা বেশী করলে বড় চাকরী লওয়া যায়, আর কাগজে, কলম ঘুরাইতে পারলেই, লক্ষ-কোটি টাকা চুরি করা যায়। আর যেমন তেমন মানুষ তাদেরকে জিজ্ঞাসা করার মতো সাহসই পায়না, দেশের কোথায়ও গেলে, পুলিশি পাহাড়ায় যায় তারা, ছোট খাটো গণমাধ্যমের দু-চার লাইন লেখায় কি হবে? বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত নেই মানবাধিকার। বিভিন্ন দেশে বিদেশে একেকজনার বাড়ি-ঘর, বানিজ্যক প্রতিষ্ঠান আছে, যা চৌদ্ধ গুষ্ঠি খাইলেও কমবেনা, বউ সন্তান নিয়ে দু-মুঠো ভাতের ক্ষুধায় রাতের আধাঁরে গ্রামের বাড়ি চাল চুরি করা সেই চোর টি এই কথা শুনে, আফসুস করলো আহ! কেনো পড়া-লেখা করলাম না, লজ্জায় আত্মহুত্ম করলো।
যোগ্য, দক্ষ, নীতিবান বাঙ্গালীদের পিতৃতূল্য নেতা ও স্বাধীন বাংলাদেশের বিশ্বস্ত রাজা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তৎকালীন ৭ কোটি মানুষের শীত নিবারণের জন্য ৭ কোটি কম্বল এনে ছিলেন। কম্বল বিতরণ শেষে বঙ্গবন্ধুর নিজের কম্বলটি পায়নি। সে সময় তার উক্তিটি এমন ছিলো- সবাই পায় স্বর্নের খনি, আর তিনি পেয়েছেন চোরের খনি।
বিচার বিভাগ! চোরের হাত কেটে দিন। তাহলে আর কখনো কেউ চুরি করবেনা। হাত না কেটে ছেড়ে দিলে, চুরি আরো বাড়বে, চলবে মারা-মারি, হানা-হানি, হিংসায়-প্রতিহিংসায় বিশৃংখল থাকবে সমাজ। মামলার ভারে পেশকারের পকেট ভরে, বিচারক একা অতিষ্ট, সময় সঙ্কির্নতায় দা¤পত্য জীবনে কলহের সৃষ্টি – কেউ শান্তিতে নেই। জোর যার মুল্লুক তার বাগধারায় নয়, বাস্তবে তা হয়।
রাজনৈতিক দল গুলো, অপরাজনীতির ¯্রােতধারায় বহমান। রাজার কথা শোনার সময় নাই, নেতাই এখন রাজা হতে চায়। পাপ আর মৃত্যুকে কেউ পরোয়া করেনা। তাই লোভের কোলেই সুখ খোঁজে সবাই।
জন্ম, কর্ম, মৃত্যু ও ফলাফল
জন্ম ঃ হোক যথাতথা
কর্মঃ হোক ভালো
মৃত্যু ঃ আছে কি আমল নামা
ফলাফলঃ কর্ম ভালো হলে নিশ্চিত ফল ভালো, যা নিজেরটা নিজেই বুঝতে পারতেছেন। ভালো কর্ম না হলে, ফল নিশ্চিত খারাপ। এসব কথা সবাই জানি কিন্তু মানিনা।
আসুন জানবো এবং মানবো।
এই আমাদের পড়া-এই আমাদের ধরা।