মাইনুদ্দিন আল আতিক, কুয়াকাটা :
পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটি, সাপ্তাহিক ছুটি ও সরকারি বন্ধ মিলিয়ে দীর্ঘ ১০ দিনের ছুটিকে ঘিরে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত রূপ নিয়েছে উৎসবের মিলনমেলায়। ঈদের দিন সকাল থেকেই পর্যটকদের ভিড়ে মুখর হয়ে উঠেছে স্নিগ্ধ ঢেউ ও অপার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা এই সৈকত।
শনিবার (৭ জুন) ঈদের নামাজ শেষে সকাল থেকেই কুয়াকাটার বিস্তৃত উপকূলে ভিড় জমাতে থাকেন হাজারো মানুষ। কুয়াকাটা যেন হয়ে উঠেছে আনন্দ, উচ্ছ্বাস ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের এক মহোৎসব। বেচা-বিক্রিও বেড়েছে বলে জানিয়েছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
পটুয়াখালীর পাশাপাশি বরগুনা, ঝালকাঠি, ভোলা, বরিশালসহ আশপাশের জেলা থেকে মানুষজন পরিবার-পরিজন নিয়ে ছুটে এসেছেন কুয়াকাটায়। পর্যটকদের পদচারণায় প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে সৈকতের বিভিন্ন পর্যটন স্পট—লেম্বুর বন, শুঁটকি পল্লি, ঝাউবাগান, গঙ্গামতি ও বৌদ্ধ বিহার।
সৈকত ঘুরে দেখা গেছে, কেউ সাঁতার কাটছেন, কেউ দলবেঁধে ছবি তুলছেন, কেউ আবার ছাতাবেঞ্চিতে বসে ঢেউয়ের গর্জন শুনে সময় কাটাচ্ছেন। অনেকেই ঘোড়ার গাড়ি, মোটরবাইক কিংবা ইজিবাইকে সৈকতের একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
ঝালকাঠি থেকে আসা পর্যটক রাকিব রায়হান বলেন, ‘সকালে বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে এসেছি। সমুদ্রের ঢেউয়ে সাঁতার কেটে উল্লাস করেছি– এক কথায় অসাধারণ সময় কাটছে।’
বরিশাল থেকে আসা রিফাত-রিংকি দম্পতি বলেন, ‘আমরা সুযোগ পেলেই কুয়াকাটায় আসি। এখানের পরিবেশটা সত্যিই অসাধারণ। সমুদ্রে গোসল করাটা আরো দারুণ লাগে। সূর্যোদয়-সূর্যাস্ত বারবার দেখেও যেন মন ভরে না।’
কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল এমপ্লয়েজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইব্রাহিম ওয়াহিদ বলেন, ‘ঈদের ছুটিকে কেন্দ্র করে পর্যটকদের সংখ্যা বাড়ছে। আগামীকাল রোববার (৮ জুন) থেকে আরও বেশি ভিড় প্রত্যাশা করছি।’
পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ সতর্কতা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, ‘সব স্পটে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। ট্যুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি থানা ও নৌ পুলিশ এবং গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রয়েছে। দর্শনার্থীরা নিশ্চিন্তে আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন।