মোঃ হাবিবুল্লাহ খান রাব্বী ॥
কুয়াকাটা বঙ্গোপসাগরে নি¤œ চাপের সৃষ্টি হওয়ায় এফ বি রাসেল-২ নামের ট্রলারের রুপালী ইলিশ ধরার কট জাল মুক্তার মালা – ১১ নামের ট্রলারের জালের সাথে পেচিয়ে যায়। এ সুযোগে চট্রগ্রামের বেঙ্গল মেরিনের মুক্তার মালা -১১ নামের ট্রলারের মোঃ আলা উদ্দিন মাঝি প্রায় দুই’শ ফুট জাল কেটে নিয়ে যায়। ৮ সেপ্টেম্বর রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টা হইতে ৯ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৮টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।
সমুদ্রে নি¤œচাপ থাকার কারণে মৎস্যবন্দর মহিপুর-আলীপুর ট্রলার নিয়ে আশ্রয় নেয়। মোসলে উদ্দিন কোম্পানি তার ট্রলারের প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা মূল্যের ২০০ ফুট জাল হাড়িয়ে দিশে হারা। খুঁজতে খুঁজতে সন্ধান মিলে মহিপুরের জননী প্লান্ট বরফ কলের ওখানে মুক্তার মালা -১১ নামের ট্রলারটিতে আরো দুটি ট্রলারের জাল নিয়ে এসেছে।
মাঝি আলা উদ্দিন জালের বিষয়টি অশিকার করলেও স্থানীয় মহিপুর সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ ফজলুগাজীর ফয়সাল-৪ নামের ট্রলারের ৩০/৪০ ফুট জাল এবং অন্যটি চট্রগ্রামের ইকবাল কোম্পানীর বাকুলিয়া নামের ট্রলারের ৪০ ফুট জাল উদ্ধার করা হয় ওই ট্রলার থেকে।
এদিকে মোসলে উদ্দিন কোম্পানীর রাসেল-২ নামের ট্রলারের ২০০ ফুট জাল উদ্ধার করতে ওই ট্রলারের কাছে যেতে চাইলে তাকে যেতে না দিয়ে উল্টো মানহানী মুলক আচারণ করে ফিরিয়ে দেয়।
বিষয়টি চেয়ারম্যান মোঃ ফজলু গাজীর কাছে অবহিত করলে তিনি অভিযুক্ত আলাউদ্দিন মাঝিকে ট্রলার থেকে জাল অন্যত্র সড়াতে বাঁধা প্রদান করে এবং সমাধান দেয়ার কথা বললেও তার কথা অমান্য করে জাল অন্যত্র সড়িয়ে নেয়।
এব্যাপারে মোঃ মোসলেহ উদ্দিন কোম্পানী মহিপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টার দিকে ফয়সালা হওয়ার কথা রয়েছে।
এব্যাপারে মহিপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন, অপরাধী যেই হোক না কেনো। অপরাধ করে পার পাওয়ার কোন সুযোগ নাই।