ঢাকাSaturday , 4 September 2021
  1. blog
  2. Catalog of articles
  3. dating
  4. dating-advice
  5. Discussione
  6. erotic lingerie
  7. Forum dei Sahaj Yogi dell'Ucraina
  8. Mail Order Brides
  9. Online dating
  10. Vari
  11. Varie
  12. washine machine
  13. Болталка
  14. ВордПресс
  15. Головна
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কুয়াকাটায় গণধর্ষনের আসামী গ্রেপ্তারকৃত জংলা শাহ আলম’র ফাঁসি চায়, ধর্ষীতাসহ তার পরিবার ও এলাকাবাসী॥

rabbi
September 4, 2021 7:13 am
Link Copied!

মোঃ হাবিবুল্লাহ খান রাব্বী ॥
কুয়াকাটায় গণধর্ষনের আসামী গ্রেপ্তারকৃত জংলা শাহ আলম’র ফাঁসি চায়, ধর্ষীতাসহ তার পরিবার ও এলাকাবাসী। কুয়াকাটায় আলোচিত গণধর্ষনের প্রধান আসামী ও তার সহযোগিকে ধ্রীত করেছে থানা পুলিশ। গত ২৯ আগষ্ট রাত ১১ টার দিকে ধ্রীত করতে সক্ষম হয়েছে। মহিপুর থানার তদন্ত অফিসার এম এ খায়ের’র নের্তৃত্বে অভিযান চালিয়ে রাত ১০ টার দিকে লতাচাপলী ইউনিয়নের খাজুরা গ্রামের বনরে ভিতরে থাকার নিজ বাড়িতে গ্রেপ্তার করে জংলা শাহ আলমকে এবং রাত ১১টার দিকে লেম্বুর চর এলাকা থেকে জাহাঙ্গীরকে ধ্রীত করে।
তদন্ত অফিসার এম এ খায়ের বলেন, গণধর্ষনের সহযোগি ছিলো জাহাঙ্গীরের স্বীকারোক্তি। আদালতে স্বীকার বা জবানবন্ধি দিলেই আসামীতে নাম অর্ন্তভুক্ত হবে। ৩০ আগষ্ট বিকাল ৩টার দিকে মহিপুর থানা হতে কলাপাড়া উপজেলা নি¤œ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মহিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামান জানিয়েছেন, অপরাধী যেই হোক, আজ নয় কাল তাকে ধরা পরতেই হবে। অপরাধী যতো বড়োই হোকনা কেন তাদের শাস্তি হবেই। কারণ উপরে একজন বিচারক আছেন।
দীর্ঘ্য প্রায় ৯ মাস পরে মহিপুর থানার তদন্ত অফিসার এম এ খায়ের’র সৎ-সাহসী শুখ¥-দক্ষ ও দ্বায়িত্ব পালনে অভিজ্ঞ, অভিযান পরিচালনার ক্ষেত্রে নিখুত নের্তৃত্বে অভিযান চালিয়ে চিহিৃত বনদস্যু ও স্থানীয় জল দস্যু বাহিনীর প্রধান, গণর্ধষনের প্রধান আসামীসহ প্রায় ১৫টি মামলার আসামী জংলা শাহালম ও তার সহযোগি জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তার এর মধ্য দিয়ে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। যা স্থানীয় নির্যাতিত জনসাধারণ’র মাঝে ব্যাপক সারা জাগিয়েছে। সকলের কামনা আসামীদের বিচার ফাঁসি কার্যকর করা হোক, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এ বিচারটিও প্রধান ভুমিকা পালন করবে।
গত ২০২০ সালের ৭ ডিসেম্বর আনুমানিক রাত সাড়ে ৯টা হতে ভোর সাড়ে ৫টা পর্যন্ত পারভিনকে ধর্ষন করে জোংলা শাহালমসহ তার বাহিনী। এ ঘটনায় গত ৮ ডিসেম্বর মহিপুর থানায় ২ জনের নামসহ আরো ২/৩জন অজ্ঞাত রেখে মামলা করা হয়েছে। মামলা নং-০৮/১৫৭।
ধর্ষিতা মোসাঃ পারভীন বেগম বলেন, গত ২২ নভেম্বর জলদস্যু জোংলা শাহালম বাহিনী অপহরণ করে তার স্বামী ও দুই ছেলে এবং ট্রলারে থাকা স্থানীয় আরো দুই জেলেকে। জলদস্যুরা প্রচন্ড মারধরের পর গরু চুরির মামলা করে ৪জনকে মহিপুর থানা পুলিশে দেয় এবং তার এক ছেলেকে জিম্মী করে রাখে। আসল ঘটনা পুলিশকে বলে দিলে হত্যা করা হবে অপহরণকৃত জেলে সোহেল গাজীকে। জলদস্যুদের হাত থেকে বাচঁতে গরু চুরির মিথ্যা মামলা শিকার করেন জেলেরা। ২৩ নভেম্বর মহিপুর থানার গরুচুরি মামলায় সকল জেলেকে আসামী করা হয়। মামলা নং-১২। ৭৯/৪১১ ধারামতে হাজতে প্রেরণ করায়।
অপরদিকে অপহরণকৃত ছেলেকে উদ্ধারের জন্য ২০ হাজার টাকা মুক্তিপন দাবী করছে দস্যুরা। তিনি অত্যন্ত গরীব বিধায় মহিপুর থানার সহযোগিতায় অপহরণকৃত জেলেকে জংলা শাহালম বাহিনীর হাত থেকে উদ্ধার করে গরু চুরির মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে হাজতে প্রেরণ করে। কিন্তু জলদস্যুদের বিষয় থানা পুলিশের কোন প্রকার ম্যাথাব্যাথা নেই।
একপর্যায় কিছুদিন পর জোংলা শাহালম তাকে মুঠোফোনে গরুচুরি মামলার বাদীর সাথে আপোষ নিস্পত্তি করিয়ে আসামী ছাড়ানোসহ মামলা নিস্পত্তি করিয়া দিবে বলে আস্বাস দেয়। ৪ ডিসেম্বর নাসির নামের জলদস্যুও মুঠোফোনে একওই কথা বলে।
ফলে ৭ ডিসেম্বর কলাপাড়া উপজেলার বালিয়াতলী ইউনিয়নের দিঘর বালিয়াতলী নিজ বাড়িথেকে মহিপুর থানার ৭নং লতাচাপলী ইউনিয়নের লেম্বুর চর নামক পর্যটক স্পটে শাহালমের ফ্রাইর দোকানে বিকাল ৪টায় পৌছায়। শাহালম মামলার বাদী জলিলের সাথে মিমাংশা করিয়ে দিবে এবং জলিল দোকানে আসতেছে বলে অপো করতে হবে। একপর্যায় সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলে জলিলের বাড়িতে যেতে হবে বলে একটি মটর বাইক এনে মটরবাইকের পিছনে বসতে বললে তিনি মটরবাইকে বসেন। পরিকল্পিত ভাবে পথিমধ্যে কয়েকজন লোক মটরবাইক থামিয়েই মারধর শুরু করে এবং টানা হেচরা করে জঙ্গলের মধ্যে নিয়ে গনধর্ষন কালে একজন বলছে তোর ছেলে ছাড়িয়ে নিতে পুলিশকে জানাতে না করে ছিলাম তবুও পুলিশ নিয়ে এসেছিলি কোনো একপর্যায় অজ্ঞান হয় তিনি।
ভোর সাড়ে ৫টার দিকে জ্ঞান ফিরলে জঙ্গলের ছিলাপথে হাটতে হাটতে ঘন্টাখানেক পরে সাগরপার দেখতে পায়। সমুদ্রপারে কিছু সময় বিশ্রামনিতেই ভাড়ায় চালিত মটরবাইক দেখতে পায়। সেখান থেকে মটরবাইকে সকাল ৮টার দিকে বাড়িতে পৌছায়। বিষয়টি তার ভাই আব্বাস মৃধার কাছে জানালে চিকিৎসা ও মেডিকেল করিয়ে ৮ ডিসেম্বর মহিপুর থানায় মামলা করে।
ঘটনার সড়েজমিনে গেলে জানা যায়, জোংলা শাহলম বাহিনীর শুধু এই একটি ধর্ষইন নয়, রয়েছে আরো পর্যটকসহ ৮টি ধর্ষনের ইতিহাস। তালতলী থানার লাউপাড়া গ্রাম থেকে আসা পর্যটকদের জিম্মিকরে ২০১৮ সালের ২২ এপ্রিল রোজ রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে জামাইর সামনে শাশুরী ও স্ত্রীকে ধর্ষন করেও পার পেয়ে যায় ওই বাহিনী। পটুয়াখালীর দুমকী থানা থেকে ঘুরতে আসা পর্যটক দুই বোনকে ২০১৪ সালে ২৪ ডিসেম্বর জোংলা শাহালম বাহিনীর ১১ দস্যু এ ধর্ষন করে। পর্যটকদের গাইড দেয়া এক মটরবাইক চালক বেল্লাল কুয়াকাটা নৌপুলিশ ফাড়ির ইনচার্চ সঞ্জয় মঙ্গলকে জানালে, বেলা সাড়ে ১২টার দিকে লেম্বর বন থেকে দুই বোনকে উদ্ধার করে। নিজেদের এলাকায় সম্মান হারাতে না চেয়ে মামলায় অনেকেই রাজি না হওয়ায় আসামীরা পার পেয়ে যায়। এ ভাবেই দিনে পর দিন একের পর এক ধর্ষন ও ছিনতাই কাজে লিপ্ত থাকে ওই গ্রুপ। সমুদ্র থেকে বিশাল জলদস্যু র‌্যাব বাহিনী নির্মুল করতে সম হলেও জোংলা শাহালম বাহিনীকে কেউ কিছুই করতে পারেনা কারণ কি? এমন প্রশ্ন ছুড়ছে খাজুরা ও লেম্বুর চরের এলাকাবাসী।
বনবিভাগের বিশাল অংশ জুড়ে দখল করে বসত ভিটা র্ণিমান করে চালিয়ে যাচ্ছে একের পর এক জলদস্যুতা, বনদস্যুতা, গনধর্ষনসহ পর্যটক ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা। এব্যাপারে বন বিভাগ ওই দস্যুবাহিনীর কাছেও জিম্মি।
এব্যাপারে খাজুরা বিট অফিসে কর্মরত শাহালম জানিয়েছেন, খাজুরা ও লেম্বুর চর এলাকার মানুষগুলো খুবই মারাত্মক প্রকৃতির, দায়া, মায়াহীন। মুষ্টিময় দু-একজন মানুষ ভালো থাকলেও অধিকন্তমানুষ চুরি করে বনের গাছ কেটে বিক্রি করা তাদের নেশাও পেশা। মাঝে মধ্যে সুযোগ পেলে নারীদের সতিত¦ কেড়ে নিতেও ভুল করেনা। এর মধ্যে উল্লেখ যোগ্য জোংলা শাহালম, নাসিরউদ্দিন, সোহেল ফকিরসহ ইউপি মেম্বারসহ অপরাধমুলক কর্মান্ডে জড়িত। সত্য কথা বলতে গেলে তাকে মেরেও ফেলতে পারে, একবার শারীরীক নির্যাতন করেছে। বনবিভাগ সংশ্লীষ্ট কর্তৃপে অবহিত করলে তারা মামলা করার পরামর্শ দেয়। জঙ্গলের মধ্যে অফিস, থাকেন তিনি একা, এর মধ্যে স্থানীয় ওই কুচক্রি মহলের নামে মামলা দিলে পরের দিন এসে প্রানে মারলেও এর কোন বিচার হবেনা। ফলে গণধর্ষনের প্রধান আসামী জংলা শাহ আলমের ফাঁসি হলেই এলাকার ধর্ষক চক্রেও হাত থেকে রক্ষা পাবে বহু মা বোনের সতিত¦।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।