কলাপাড়া (পটুয়াখালী) সংবাদাদাতা :
কলাপাড়ায় সাবেক প্রতিমন্ত্রী মুহিববুর রহমান এর নির্দেশে বিনাভোটে নির্বাচিত উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি লিঃ এর চেয়ারম্যান আঃ রাজ্জাক তালুকদার চেয়ার টিকাতে দৌড়ঝাপ শুরু করেছেন।
অফিস ও সমবায়ী সূত্রে জানাযায়, গত ২৫ ফেব্রæয়ারী ২০২৪, সমবায় সমিতি বিধিমালা ২০০৪ এর ২৭ বিধি মোতাবেক কলাপাড়া ইউসিসিএ লিঃ এর নির্বাচন তফসিল ঘোষণা করেন মুহিব-আশিক নির্দেশিত নির্বাচন কমিটি। তফসিল অনুযায়ী ৪ মার্চ সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৩ টা পর্যন্ত ইউসিসিএ লিঃ কার্যালয় থেকে ফরম বিক্রয়ের কথা থাকলেও মুহিব গুন্ডা বাহিনীর অন্যতম হোতা রাজ্জাক তালুকদারের সন্ত্রাসী পুত্র সাবেক কলাপাড়া ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশিক তালুকদার ও তার ক্যাডাররা ভয় ভীতি দেখিয়ে কোন প্রার্থীকে ফরম সংগ্রহ করতে দেয়নী। অপরদিকে সমবায়ী বিধি উপেক্ষা করে ৭ মার্চ আট সদস্যদের একক প্রার্থীর তালিকা ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিটি। পরবর্তীতে সমবায় সমিতি আইন ও বিধিমালা অনুসরণ না করে ২ এপ্রিল উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি লিঃ এর বিনা ভোটের এ পকেট কমিটি ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিটি।
অভিযোগ সূত্রে আরও জানাযায়, নির্বাচনে অংশ নিতে গিয়ে অনেকে রাজ্জাক তালুকদার ও তার ছেলে আশিক তালুকদারের তোপের মুখে পড়ে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছে এমন এন্তার অভিযোগ রয়েছে।
উল্লেখ্য যে, জুলাই-আগস্ট কোটা সংস্কারের দাবী নিয়ে আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের জীবন দেয়ার পর ছাত্র-জনতা যৌথভাবে দেশ সংস্কারের আন্দোলন শুরু করে। অবশেষে ০৫ আগস্ট বৈষম্য বিরোধি ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার সমন্বিত অংশগ্রহণের মাধ্যমে জনগণের বিজয় হয়। তবে এই বৈষম্য বিরোধি ছাত্র আন্দোলন ঠেকাতে (জুলাই ও আগস্ট) সারাদেশে স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ ও তার সহযোগি সংগঠনের সন্ত্রাসিরা বিক্ষোভ কর্মসূচীর নামে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করে। তারই ধারাবাহিকতায় কলাপাড়া এলাকায়ও বৈষম্য বিরোধি ছাত্র আন্দোলন ঠেকাতে বিভিন্ন কর্মসূচী পালিত হয়। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সে সকল কর্মসূচীতে আশিক তালুকদারের সম্পৃক্ততা বিদ্যমান। প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের সাথে সাথে ভোটহীন সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা ও জেলা-উপজেলা পরিষদের সকল প্রতিনিধিদের (ইউ,পি সদস্য ও কাউন্সিলর ব্যতিত) সরকারীভাবে অপসারণ করা হয়েছে। অথচ এতকিছুর পরেও আশিক তালুকদারের বাবা এখনও কলাপাড়া ইউসিসিএ লিঃ এর চেয়ারম্যান পদে বহাল তবিয়াতে। এনিয়ে সমবায়ী ও সুশীল সমাজে নানাবিধ প্রশ্ন উঠেছে। কালাচানপাড়া কৃষক সমবায় সমিতি লিঃ এর ম্যানেজার মো. মিজানুর রহমান বলেন, রাজ্জাক তালুকদার উপজেলার ধানখালী ইউনিয়ন বিএনপি’র কোন এক নেতাকে ইউসিসিএ লিঃ এ সহ সভাপতি পদ দিবেন এমন আশ^াস দিয়ে নিজের চেয়ার ঠিক রাখতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। সতেরো বছর আওয়ামী স্বৈরাচারী শাসনামলে বিএনপি ও তার সহযোগি সংগঠনের নেতা কর্মী তথা আলেম ওলামাদেরকে যেভাবে নির্যাতন, গুম, খুন এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করা হয়েছে তা ইতিহাস হয়ে থাকবে। অথচ রাজ্জাক তালুকদার বিএনপি’র কতিপয় স্বার্থান্বেসী লোকের ছত্র ছায়ায় আশ্রায় নিয়ে এখন নতুনরূপে আবার ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তাই রাজ্জাক তালুকদারকে বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন কলাপাড়া উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি লিঃ এর সমবায়ীরা।
এ ব্যাপারে রাজ্জাক তালুকদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি বিএনপি’র এক নেতাকে গোপনে ইউসিসিএ লিঃ এর একটি পদ দিয়ে রেখেছি, যাতে আমার অফিসে না আসা লাগে। ওই নেতা অফিসে এসে কাজ করবেন, আর আমার কোন কাগজ পত্রে স্বাক্ষর লাগলে তা বাসায় বসে সেরে ফেলবো।