কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১১৪ পটুয়াখালীর-৪, নৌকার মাঝি অদক্ষ হওয়ায় ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ¦ মোঃ মাহবুবুর রহমান তালুকদার জনসমর্থনে শীর্ষে রয়েছেন। রোববার সন্ধ্যায় পটুয়াখালীর মৎস্যবন্দর আলীপুর শেখ রাসেল সেতুর নীচে এক উঠান বৈঠকে লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক মো: আনছার উদ্দিন মোল্লা একথা বলেন।
তিনি বলেন, এখানকার মানুষ এ অঞ্চলের উন্নয়নের রূপকার হিসেবে সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্মী বান্ধব আলহাজ¦ মোঃ মাহবুবুর রহমান তালুকদারকে চিনেন। মাহবুব তালুকদার বঙ্গবন্ধুর কণ্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে প্রধান মন্ত্রীর মাধ্যমে কুয়াকাটা, মহিপুর ও রাঙ্গাবালী উপজেলায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন।
তিনি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কুয়াকাটাকে আধুনিক পর্যটন কেন্দ্র রূপান্তরিত করে এখানকার মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন করেছে। এছাড়া মহিপুর থানা, পায়রা বন্দর, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, সাবমেরিন কেবল ল্যান্ডিং স্টেশন, শেরেবাংলা নৌ-ঘাঁটি, মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র নির্মাণ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ অবদান। এসকল কাজের সংসদ সদস্য হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করেছেন সাবেক বার বার নির্বাচিত সাংসদ আলহাজ¦ মোঃ মাহবুবুর রহমান তালুকদার। তাই পটুয়াখালী-৪, আসনের মানুষ অযোগ্য, অদক্ষ নৌকার মাঝি পরিবর্তন করে দক্ষ মাঝি হিসেবে ঈগল প্রতিকে ভোট দিয়ে মাহবুব ভাইকে জয় যুক্ত করে শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে বদ্ধ পরিকর।
তিনি জনগনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ঈগল প্রতিকের জনসমর্থন দেখে জনগন থেকে বিচ্ছিন্ন নেতা পটুয়াখালী-৪, আসনের নৌকার অযোগ্য মাঝি অধ্যক্ষ মহিব্বুর রহমান ও তার সমর্থকরা পাগল হয়েগেছে। তাদের অনেকেই বলে বেড়ান প্রয়োজনে ভোট কেটে নিব। এরকমের গুঞ্জনের প্রেক্ষিতে ২১ ডিসেম্বর মহিপুর কো অপারেটিভ মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে এক পথসভায় বলেছি, শেখ হাসিনার অঙ্গিকার অবাধ, সুষ্ঠ নির্বাচন উপহার। সেখানে যদি লতাচাপলীতে কেহ ভোট কাটার চিন্তা করেন তাহলে তার হাত কেটে দেব, আমার এই বক্তব্যটি বিকৃত করে একটি চক্র আমাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার লক্ষ্যে নানা রকম ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। এই ষড়যন্ত্রের কারণে আমি গ্রেফতারও হতে পারি, কিন্তু আপনারা বিচলিত হবেন না, বিজয় আপনাদের হবেই ইনশাআল্লাহ।