মহিবুল্লাহ পাটোয়ারী, স্টাফ রিপোর্টার :
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য কিনতে আসা উপকারভোগীদের হাতে হাতে কার্ড। কার্ড থাকলেই পণ্য পাবেন, তাই তো সবার মুখে হাসি। চৈত্রের তাবদাহ উপেক্ষা করে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়েছেন কার্ডধারীরা দীর্ঘ লাইনে।
আজ বুধবার দুপুরে পটুয়াখালীর মহিপুরে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে। ভর্তুকি মূল্যে চিনি, মসুর ডাল ও সয়াবিন তেল—এই তিন পণ্য কিনতে সকাল থেকে কেন্দ্রে কেন্দ্রে মানুষের উপচে পড়া ভিড়।
দুপুর ১২ টায় মহিপুর শেখ রাসেল সেতুর নিচে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন মহিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলু গাজী। এসময় তার সাথে ছিলেন ইউপি সদস্য সেলিম হাওলাদার, জামাল হাওলাদার, সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, টিসিবির পণ্যের জন্য নারী ও পুরুষের পৃথক দুটি দীর্ঘ লাইন। প্রচণ্ড রোদ উপেক্ষা করে তাঁরা লাইনে দাঁড়িয়েছেন। সবার হাতে হাতে কার্ড। কার্ডে ছবিও আছে উপকারভোগীদের, যাতে অন্য কেউ পণ্য কিনতে না পারেন।
নিজের ছবি সংবলিত কার্ড নিয়ে টিসিবির পণ্যের জন্য অপেক্ষা করছেন উপকারভোগীরা। হুড়োহুড়ি না করে ক্রেতারা সুশৃঙ্খলভাবে দাঁড়িয়ে আছেন। আজ বুধবার থানা শহরের শেখ রাসেল সেতুর নিচ এলাকায় নিজের ছবি সংবলিত কার্ড নিয়ে টিসিবির পণ্যের জন্য অপেক্ষা করছেন উপকারভোগীরা।
হুড়োহুড়ি না করে ক্রেতারা সুশৃঙ্খলভাবে দাঁড়িয়ে আছেন। এসময়
দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মহিপুর এলাকার বাসিন্দা বিউটি বেগম বলেন, সকালে এসে দেখেন, দীর্ঘ লাইন। তবে আগের মতো হুড়োহুড়ি নেই। সবাই কার্ড নিয়ে আসছেন। একজনের পণ্য আরেকজন নিতে পারছেন না। কার্ডের ব্যবস্থা করায় তাঁর সুবিধা হয়েছে বলে জানান তিনি।
নজীবপুর গ্রামের বাসিন্দা আবুল মিয়া বলেন, ‘৪৬০ টাকায় ডাল, চিনি ও সয়াবিন তেল কিনলাম। বাজার থেকে কিনতে গেলে আরও ২২০ থেকে ২৩০ টাকার মতো বেশি লাগতো। সেই টাকা দিয়ে সবজিসহ অন্য কিছু কেনা যাইবে।’
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মো:শহীদুল হক বলেন, ন্যায্যমূল্যে আজ প্রথম পর্যায়ে পণ্য দেওয়া শুরু হলো। ৩০ মার্চ পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে। একজন উপকারভোগী কার্ডধারী প্রতি ধাপে একবার পণ্য পাবেন। দ্বিতীয় পর্যায় শুরু হবে আগামী ৩ এপ্রিল থেকে। উপজেলার ১২ টি ইউনিয়ন ও ২ টি পৌরসভায় ২১ হাজার ৪৪০ জন কার্ডধারী এসব পণ্য পাবেন।