কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) : সংবাদদাতা :
কুয়াকাটার আলীপুর আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রæতার জেরে ফের সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে ইসমাইল (২৫ কে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ভিলেইনী স্টাইলে রড দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে ছিদ্দিক বাহিনী ওরফে হল ছিদ্দিক ও তার সন্ত্রাসীরা।
ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার সন্ধ্যা ৮টার দিকে কুয়াকাাটর মৎস্য বন্দর আলীপুর সোহেলা সিনেমা হল এলাকায় ছিদ্দিকের বাড়ির সামনে। স্থানীয়রা ইসমাইলকে উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করেন। আহত ইসমাইল বর্তমানে হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানাযায়, কর্মজীবি জেলে ইসমাইল রবিবার সন্ধ্যার পরে ইউসুফ কোম্পানির গদিতে কাজ সেরে বাসায় যাচ্ছে। পথিমধ্যে হল ছিদ্দিকের বাসার সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ওৎপেতে থাকা হল ছিদ্দিক ও তার লাঠিয়াল বাহিনী ইসমাইলের পথ রোধ করে আটকে ফেলে। পরে তারা ইসমাইলকে বাসার বাউন্ডারীর মধ্যে নিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে এলোপাতারী রড দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। ইসমাইলের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা জড়ো হলে সন্ত্রাসীরা শটকে পরে। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে।
লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মো. ইউসুফ কোম্পনি বলেন, ‘আলীপুরের হল ছিদ্দিকের বাসায় বিভিন্ন সময় অসামাজিক কার্যকলাপ পরিচালিত হয়ে আসছে’। ‘আমি পরিষদের সদস্য হিসেবে তাদের এহেন কাজে বাঁধা প্রদান করলে তারা আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়’। ‘এমনকি সম্প্রতি হল ছিদ্দিক ও তার সন্ত্রাসীরা পারিবারিকভাবেও আমার অনেক ক্ষতি সাধন করে ফেলেছে’। ‘যার মামলা আদালতে চলমান রয়েছে’। ‘সেই পূর্ব শত্রæতার জের ধরে আমার গদিতে কাজ করে ইসমাইল রবিবার সন্ধ্যাার পরে বাসায় যাওয়ার পথে তারা ইসমাইলকে ভিলেইনী স্টাইলে গলায় ফাঁস লাগিয়ে মেরে রক্তাক্ত জখম করেছে’।
উল্লেখ্য গত ৯মার্চ রাতে শতাধিক মানুষের উপস্থিতিতে আলীপুর থ্রী পয়েন্ট এলাকায় এভাবে ভিলেইনী স্টাইলে সন্ত্রাসী হামলা চালায় কতিপয় সন্ত্রাসীরা। এতে কলেজ শিক্ষার্থী ছাবিবুর, শোহানুর, আবুল বাশার ও ব্যবসায়ী আবু তোহা গুরুতর আহত হয়। আহতদেরকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আলীপুর প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করেন। বুধবার গভীর রাতে সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত এ হামলার দৃশ্য এসে পৌছেছে সংবাদ কর্মীদের হাতে। যাতে ধরা পড়েছে নির্মম নির্যাতনের চিত্র। তবে এর সাথে জড়িত দু’জনকে আটক করছে মহিপুর থানা পুলিশ।
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ খায়ের কাওসার বলেন, অপরাধিদের ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।