কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা:
পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে দশ দিনের ছুটির আমেজে দেশের অন্যতম সমুদ্রকন্যা কুয়াকাটা সৈকতে ভিড় জমিয়েছে হাজারো পর্যটক। ঈদের ছুটি শুরু হতেই পর্যটকরা দলবদ্ধভাবে ছুটে এসেছেন এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা সমুদ্রসৈকতে। ফলে সৈকত এলাকা এখন পর্যটকসমাগমে মুখর ও প্রাণবন্ত।

Oplus_0
ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ভ্রমণপিপাসু মানুষের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে কুয়াকাটা। বিশেষ করে ঈদের দিন বিকেল থেকে শুরু করে ঈদের পরদিন পর্যন্ত সৈকতের প্রতিটি প্রান্তে মানুষের সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ, সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখার আকর্ষণে কুয়াকাটা এখন যেন উৎসবমুখর পর্যটন নগরীতে রূপ নিয়েছে।

Oplus_0
কুয়াকাটার আবাসন ব্যবসায়ী ও হোটেল মালিকরা জানিয়েছেন, ঈদের আগেই অধিকাংশ হোটেল-মোটেল ও রিসোর্ট বুকিং হয়ে গেছে। অনেক পর্যটক আগেভাগে অনলাইনের মাধ্যমে কক্ষ বুক করে রেখেছিলেন। পর্যটকদের নিরাপত্তা ও স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিতে স্থানীয় প্রশাসন এবং ট্যুরিস্ট পুলিশ কর্তৃপক্ষ নিয়মিত টহল দিচ্ছে এবং গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে নজরদারি বাড়িয়েছে।
একজন পর্যটক, ঢাকার বাসিন্দা জহিরুল ইসলাম বলেন, “প্রতিদিনের কর্মব্যস্ত জীবন থেকে ছুটি পেয়ে পরিবার নিয়ে কুয়াকাটায় এসেছি। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর নিরিবিলি পরিবেশ সত্যিই মন জয় করে নিয়েছে।”
অন্যদিকে, স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদ মৌসুমে পর্যটক বাড়ায় তাঁদের ব্যবসায়িক গতিবেগ বেড়েছে। হোটেল, রেস্টুরেন্ট, দোকান-পাট এবং পরিবহন সেক্টরে ঈদের ছুটিতে ভালই বেচাকেনা হচ্ছে।

Oplus_0
এদিকে পর্যটকদের নিরাপত্তা ও সার্বিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ রিজিওনের পরিদর্শক (ইনচার্জ) তাপস চন্দ্র রায় জানান, “পর্যটকদের নির্বিঘ্নে আনন্দ উপভোগের জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশ সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েছে। সৈকতের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে টহল, সিসিটিভি ক্যামেরা ও কুইক রেসপন্স টিম নিয়োজিত রয়েছে।”
উল্লেখ্য, কুয়াকাটা বাংলাদেশের একমাত্র সৈকত, যেখান থেকে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত একসঙ্গে দেখা যায়। ঈদের ছুটি উপলক্ষে এমন মনোরম স্থান ঘুরে দেখতে পর্যটকদের আগ্রহ বরাবরই বেশি থাকে।
পবিত্র ঈদুল আযহা ঘিরে পর্যটকদের এমন উপচে পড়া ভিড় স্থানীয় অর্থনীতিতে প্রাণ সঞ্চার করেছে। তবে একইসঙ্গে পরিবেশ সচেতন মহল পর্যটকদের সৈকত পরিচ্ছন্ন রাখার আহ্বান জানিয়েছে।