পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় এবার কলাপাড়ার ইউএনও রবিউল ইসলাম এর বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগে আলেম ওলামা ও দাড়ি টুপি নিয়ে কটুক্তির অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১০ টায় ইমাম সমিতি মহিপুর থানা শাখা এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা মাঈনুল ইসলাম মান্নান অভিযোগ করেন, গতকাল বৃহস্পতিবার ধর্মপ্রাণ মুসুল্লিরা মসজিদের সম্পত্তি উদ্ধারের জন্য বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করে। এসময়ে ইউএনও রবিউল ইসলাম এর এর অপসারণ দাবি করে তৌহিদি জনতা।
ধর্মপ্রাণ তৌহিদী জনতার আন্দোলনেরর খবর পেয়ে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার রবিউল ইসলাম UNO Kalapara নামে তার ফেসবুক আইডিতে আলেম ওলামাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আইনের আওতায় এনে শাস্তির হুমকি দেয়। ওই স্টাস্টাসে তিনি আলেম ওলামা এবং দাড়ি টুপি নিয়ে কটাক্ষ করেন। আমরা ইমাম সমিতির নেতৃবৃন্দ ইউএনওর আলেম ওলামাদেন নিয়ে বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
সংবাদ সম্মেলনে এসময় উপস্থিত ছিলেন, কুয়াকাটা বাইতুল আরোজ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম কারী মোঃ নজরুল ইসলাম, সাগর সৈকত জামে মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি মাওলানা মোস্তফা কামাল সহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় কারী নজরুল ইসলাম বলেন, ১৩ বছর আমি ওই মসজিদে ইমামতি করেছি। মসজিদের পশ্চিম পাশে মহাসড়ক সংলগ্ন ডোবা ভরাট করে মসজিদ কমিটি মাটি ভাড়া দেয়। যা দিয়ে মসজিদের ইমাম মোয়াজ্জিনদের বেতন দেয়া হতো। সরকারি জমি দাবী করে ইউএনও ওই মার্কেট ভেঙে দেয়। তার দাবী ওই জমি মসজিদ কমিটি ক্রয় করেছেন।
তিনি আরো বলেন, ওই জমিতে ইউএনও নিজ অর্থায়নে মার্কেট নির্মাণ করছে। এর প্রতিবাদ করলে তিনি জেল জরিমানার হুমকি ধামকি দেয়।
সাগর সৈকত জামে মসজিদের ইমাম মুফতি মোস্তফা কামাল অভিযোগ করেন, ইউএনও মসজিদের নাম করে পাবলিক টয়লেট, মার্কেট নির্মাণ করছে। এজন্য তার বিরুদ্ধে আইনী নোটিশ দিলেও তিনি তার জবাব দিচ্ছেন না। তার অভিযোগ ইউএনও নিজেই সরকারি জমি দাবী করে নিজেকে সভাপতি ঘোষণা করে। মুসুল্লিরা তাকে সভাপতি মানে না।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত মুসুল্লিরা বলেন, ইউএনও মসজিদের জন্য ৩০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে বলে মিথ্যাচর করছ।
ইমাম সমিতি এ সময় ইউএনও রবিউল ইসলাম এর অপসারণ সহ আলেম ওলামা ও দাড়ি টুপি নিয়ে কটাক্ষ করার জন্য তার শান্তি দাবি করেন।